মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি এবং প্রাসঙ্গিক কথাঃ ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

বিশ্বের ইতিহাসে প্রতিষ্ঠিত সত্য হচ্ছে বাঙালী জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের সমন্বিত ফসল আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জন। বঙ্গবন্ধুর প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে বহু ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং রক্তের বিনিময়ে সংঘটিত মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে ছিল বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রাম...

বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশ হওয়া সমালোচকদের প্রতি উপযুক্ত জবাবঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ায় স্বাধীনতার পর যারা এ দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলতো তাদের মুখে এখন চপেটাঘাত পড়েছে। সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের মাসব্যাপী একক চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে একটি মহল বলতো, এ দেশ স্বাধীন হয়ে কী করবে। ত...

শরণার্থী ১৯৭১ঃ পথে পথে লাশের মিছিল

মৃত মায়ের বুকের দুধ খাওয়ার চেষ্টা করছিল যে শিশুটি, খুলনার চুকনগর গণহত্যায় বেঁচে যাওয়া সেই শিশুটিই আজকের সুন্দরী দাসী এবং গণমাধ্যমে বারবার আসায় তার কথা আমাদের অনেকেরই জানা আছে। তানভীর মোকাম্মেলের 'জীবনঢুলী' চলচ্চিত্রে চুকনগর গণহত্যার দৃশ্যে অভিনয়ও করেছেন তিনি। সুন্দরীর ভালো নাম রাজকুমারী। নামটি রেখেছিলেন তার পালক মা-বাবা মান্দার দাস ও মালঞ্চ দাসী। রাজকুমারী ...

গেটিসবার্গ থেকে রেসকোর্সঃ সৈয়দ জিয়াউল হক

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়ক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জাতীয় জীবনের ক্রান্তিলগ্নে ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জনগণের উদ্দেশে বক্তৃতা দিয়ে থাকেন। এর মধ্যে কোন কোন বক্তৃতা স্থান ও সময়কে অতিক্রম করে কালজয়ী হয়ে থাকে। ১৮৬৩ সালের ১৯ নবেম্বর গেটিসবার্গে দেয়া আব্রাহাম লিংকনের বক্তৃতা, ১৮১৪ সালের ২০ এপ্রিল ইম্পেরিয়াল গার্ড রেজিমেন্টের উদ্দেশে নেপোলিয়ান বোনাপার্টের ভাষণ, দ্বিতীয় বিশ্...

খুলনা রেলওয়ে ওয়ার্কশপের লোকোশেডে গণহত্যাঃ লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির

১৯৭১-এর ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালির স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা অঙ্কুরে বিনাশ করতে চেয়েছে নজিরবিহীন গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞে। গণহত্যা ঢাকা থেকে ছড়িয়ে পরবর্তী নয় মাসে সমগ্র বাংলাদেশে অব্যাহত ছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ লাখ কিংবা আরো বেশি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এ পর্যন্ত পাঁচ হাজারের অধিক বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এক হাজার বধ্যভূমি চিহ্নিত। আফ...

বঙ্গবন্ধুর ছবিকে স্যালুট করতেন জেনারেল উবানঃ আখতারউজ্জামান

১৯৭১ সালের এপ্রিলের দ্বিতীয় ভাগে আগরতলা পৌঁছাই বিলোনিয়া হয়ে। ফজলুল হক মনির সঙ্গে দেখা শ্রীধর ভিলায়। মনি ভাই বললেন, আবার দেশে যেতে হবে। কী কারণে আসতে হবে বুঝিয়ে দিলেন। তত দিনে প্রবাসী সরকার গঠিত হয়ে গেছে। আমি দিন কয়েক বিশ্রাম নিলাম। প্রবাসী সরকার দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে একটি প্রচারপত্র ছেপেছে। ফজলুল হক মনি বললেন, প্রচারপত্র দেশের ভেতর বিলি করতে হবে। এ ছ...

মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ছিল একটি সেক্টরঃ অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী

১৯৭১ সালে মার্চ মাসটি ছিল আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাস। এই মাসটিতে আমরা বাঙালিরা একত্রিত হয়ে প্রমাণ করেছিলাম– আমরা বাঙালি, আমরা বীরের জাতি। যে আহবানটি আমাদের জানিয়েছিলেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তাঁর ৭ই মার্চের ভাষণে এবং সেই আহবানেই সারা দিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। ২৬শে মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট থেকে কয়েকজন বীর শব্দসৈনিক স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী...

কষ্টের সময়টাকে মুছে দিছে শেখের মাইয়াঃ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আশরাফুল করিম

লেখাটি যখন লিখছিলাম তখনই এলো খবরটি। বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফুল করিম বেঁচে নেই। বুকের ভেতরটা ধুপ করে ওঠে। দিন কয়েক আগেও মুঠোফোনে কথা হয়েছে তাঁর সঙ্গে। গেল ডিসেম্বরে গিয়েছিলাম তাঁর বাড়িতে। শুনেছি মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ নিয়ে বুকেজমা কষ্টের কথা। প্রকাশিত এ লেখাটি তিনি দেখে যেতে পারলেন না! দেশের স্বাধীনতাটা শুধু ভোগ করলাম আমরা। আশরাফুলের মতো পা হারানো যোদ্ধার জন্য তেম...

মার্চ মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে গণহত্যাঃ লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির

১৯৭১ সালের মার্চ মাসে অসহযোগ আন্দোলন চলাকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনী গণহত্যা চালানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে গোপনে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে অস্ত্র ও সৈন্য বোঝাই জাহাজ আনতে শুরু করে। পাকিস্তানি জাহাজ এমভি সোয়াত ১৭ মার্চ চট্টগ্রাম বন্দরের ১৭ নম্বর জেটিতে নোঙর করে। উল্লেখ্য, পাকিস্তান নৌবাহিনীর ঘাঁটির কাছেই ১৭ নম্বর জেটির অবস্থান। পাকিস্তান ন্যাশনাল শিপিং করপোরেশ...

মিছিলে ইপিআর গুলি ছুড়েছিলঃ বদরউদ্দিন আহমদ কামরান

১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। ডাকা হয় জাতীয় অধিবেশন। কিন্তু সেই অধিবেশন ১ মার্চ যখন স্থগিত করা হয়, তখন আমরা বুঝে যাই পাকিস্তানিরা ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছে। পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্রের আভাস পেয়ে সারা দেশের মতো সিলেটের মানুষও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। ধীরে ধীরে ক্ষোভ রাজপথের আন্দোলনে রূপ নেয়। একসময় সিলেটের আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা, ছাত্র-জন...

বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, টঙ্গীতে কিছু বাড়ি ঠিক করে রাখবিঃ কাজী মোজাম্মেল হক

কখনো পায়ে হেঁটে, কখনো নৌকায় করে আগরতলা পৌঁছাই ২০ এপ্রিল। তখন সন্ধ্যা। আমার সঙ্গে রূপগঞ্জের মহিউদ্দিন মিলন। রাতে থাকার ব্যবস্থা হলো একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে। পরদিন দেখা সে সময়ের ছাত্র নেতা সৈয়দ রেজাউর রহমানের সঙ্গে। জানতে চাইলাম শেখ ফজলুল হক মনি কোথায় আছেন, কিভাবে তাঁকে পাই। তিনি শ্রীধর ভিলার ঠিকানা দিলেন। গিয়ে মনি ভাইকে পেলাম। সেখানে আরো ছিলেন আ স ম আবদুর...

স্বাধীনতার প্রথম তরুণ বলা যায় এই মার্চ মাসটিঃ ড. সাখাওয়াত আলী খান

৭১-এর মার্চ যেমন আমাদের জাতির জীবনে বেদনার মাস, তেমনি তা অনন্ত গর্বেরও। সেই মাসটি যেমন ছিল রক্ত ঝরা, তেমনি তা ছিল অনন্য। ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দিলেন ‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো, এই দেশকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ, এমন ঘোষণা বোধ করি পৃথিবীর ইতিহাসেই বিরল। সেই মাসে অকাতরে রক্ত ঝরিয়ে যেন বাঙালি পৃথিবীকে জানিয়ে দিল, নতুন এক রাষ্ট্রের জন্ম হতে চলেছে। ...

জাতির প্রেরণার উৎস ৭ মার্চের ভাষণঃ মোজাফ্‌ফর হোসেন পল্টু

বাঙালির জাতীয় জীবনে মার্চ একটি অবিস্মরণীয় মাস। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে সালাম, বরকত, রফিক ও জব্বারের জীবনদানের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদের যে উন্মেষ ঘটেছিল তা চূড়ান্ত রূপ নেয় ’৭১ সালের এই মাসে। ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে ’৫৪ সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও তরুণ শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যুক্...

অনন্য উচ্চতায় পিতার যোগ্য কন্যাঃ মুহম্মদ শফিকুর রহমান

তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ প্রিয় লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল আমার প্রিয় ব্যক্তিত্বের অন্যতম, যদিও তাঁর সঙ্গে আমার আলাপ নেই। দূর থেকেই তাঁকে ভালোবাসি। ভালোবাসি এ জন্যে যে, তাঁর মনোজগতে লাল-সবুজ পতাকা এবং মুখে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অকুতোভয় উচ্চারণ। তিনি আজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্বাধীনতা ও প্রগতিবিরোধী জঙ্গী অপশক্তি তাঁকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে আঘাত করেছে। আল্লাহ পাকের অশেষ কৃপায় তিন...

বঙ্গবন্ধুর ভাষণ স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির অঙ্গীকারঃ ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আব্দুল মোমেন

৭ই মার্চ বাঙালি জাতির এক অবিস্মরণীয় দিন। আমাদের ৬ ও ১১ দফার স্বায়ত্ত শাসনের সংগ্রামকে বেগবান করে ৭ই মার্চের ভাষণ এটাকে স্বাধীনতা আন্দোলনে রূপান্তরিত করে। ৭ই মার্চের ভাষণে আমাদের কাছে বঙ্গবন্ধু স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন বাংলাদেশ স্বাধীন করার ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে এবং জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা যা আছে...

বঙ্গবন্ধুর ভাষণ অনুপ্রেরণার অফুরন্ত উৎসঃ মো. আমিনুল ইসলাম

১৯৪৭ সালে স্বাধিকারের যে বীজ রোপিত হয়েছিল, তার সুষ্ঠু পরিস্ফুটনের তীব্র একটা আর্তনাদ তাড়া করে ফিরে ২৩ বছর ধরে। অবশেষে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ছিল দীর্ঘ সময়ের অনিবার্য পরিণতি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ কণ্ঠে ঘোষণার মাধ্যমেই সূচিত হলো স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন। এ দিন ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) প্রথিত হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ, যার পূ...

জনকের আলোয় উজ্জ্বলতর মার্চঃ অজয় দাশগুপ্ত

মার্চ মাস এলেই আমরা স্বাধীনতার কথা বলি। এই মাসে আমরা পেয়েছিলাম কালজয়ী এক ভাষণ। জাতির পিতার সেই অমোঘ ভাষণের জন্য আমাদের দেশে যত কথা যত লেখা হোক সেটি এখনও বিদেশে তেমন প্রচার পায়নি। যেভাবে ইতিহাসে ঠাঁই পাওয়া উচিত তাও পায়নি। এর কারণ আমাদের নেতারা সব বিষয়ে করণীয় কাজ করতে চান না। এখন বাংলাদেশের যে উন্নয়ন বিশ্বজুড়ে যে পরিচিত যেভাবে তার কদর বাড়ছে তাতে এই কাজট...

বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও রংপুরের শহীদ শংকুঃ এস.এম. আব্রাহাম লিংকন

মার্চ মাস বাঙালির জীবনে অনন্য ও উথালপাতাল করা মাস। এ মাসেই বঙ্গবন্ধুর সমর্থনে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের পক্ষে ছাত্রনেতা আ স ম রব বাঙালির স্বপ্ন সংগ্রামের পতাকা উত্তোলন করেন। পৃথক পতাকা পৃথক রাষ্ট্রের এক প্রকার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা, যার মাধ্যমে ছাত্ররা কার্যত অফিসিয়ালি পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। এ ঘটনা যে পাকিস্তানিদের আর বিচলিত করেছিল সেটি বুঝতে অসুবিধা হয় না। সমগ্র দেশ অপে...

দুঃসাহসিক অপারেশন জ্যাকপটের বীজ বপনঃ শরীফা বুলবুল

‘অপারেশন জ্যাকপট’ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি নৌবাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর সফলতম গেরিলা আক্রমণ। মুক্তিযুদ্ধের সাফল্যে একটি আলোচিত অভিযাত্রা। সীমাহীন দুঃসাহসিক এ অভিযাত্রায় পাকিস্তানি হানাদাররা হকচকিয়ে গিয়েছিল। তাদের ধারণারও অতীত ছিল এই অভিযান। আর এর বীজ বপন হয়েছিল এই মার্চেই। ১৯৭১ সাল। স্পেন, ফ্রান্স, রোম, জেনেভা হয়ে ভারত! মাতৃভূমির ড...

যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা, অপমানে তখন মরে যেতে ইচ্ছে করতোঃ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মো. আপ্তার আলী

“পাকিস্তান আর্মিদের ক্যাম্প বসেছে বড়লেখা উপজেলাতে। তারিখটা ৩ এপ্রিল ১৯৭১। একটি কাজে বড় ভাইয়ের সঙ্গে যাই উপজেলা সদরে। বাজারের পাশেই মসজিদ। সেখানে তখন ধরে আনা হয় দুই যুবককে। তাদের হাত ও চোখ বাঁধা। পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে আছে রাজাকারেরা। দূরে দাঁড়িয়ে দেখি কী ঘটে? প্রথমে তাদের বেয়নেট দিয়ে খোঁচানো হয়। ‘মাগো’, ‘বাবাগো’- আর্ত চিৎকা...