২০০৪ সালের ৯ জুনের সংবাদ জানায়, দেশজুড়ে তীব্র লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎহীনতার মধ্যেও বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির কোনো উদ্যোগ নেয়নি বিএনপি-জামায়াত সরকার। বিদ্যুৎহীনতায় সেচের অভাবে গ্রামের মানুষের হাজার হাজার হেক্টর কৃষিজমির ধানের আবাদ নষ্ট হলেও, গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সঞ্চালন আরো কমিয়ে দেওয়া হয়। বিদ্যুতের তীব্র দাবির মুখেও ২০০৪-০৫ অর্থ-বছরের জন্য উল্টো ২৬৪ কোটি টাকার বরাদ্দ কমান...
২৩ মার্চ ২০০৪ সালের পত্রিকা থেকে জানা যায়, যশোরে প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা করে লোডশেডিংয়ের কারণে বোরো চাষ হুমকির মুখে পড়ে। এছাড়াও ক্ষুদ্র মারাত্মভাবে ব্যাহত হয় ক্ষুদ্র শিল্প উৎপাদন। জেলায় প্রত্যহ ৯৮ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও মাত্র ১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পেরেছে খালেদা জিয়ার সরকার। ফলে প্রতিদিন বিকাল ৫টার আগেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং বিদ্যুৎ আ...
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার দুর্নীতিবাজ পুত্র বিএনপি নেতা তারেক রহমান গংদের কারণে বিদ্যুৎখাতে চরম বিপর্যয় নামে। দেশে বিদ্যুতায়নের নামে কমপক্ষে ২০ হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করে হাওয়া-ভবন চক্র। ফলে কৃষি-শিল্প-শিক্ষা সর্বক্ষেত্রেই ভয়াবহ বিপর্যয় হয়। ফলন কমে যাওয়ায় তীব্রহয় মঙ্গা, দুর্ভিক্ষে মারা যায় ...
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হলেও সেদিকে নজর ছিল না কারো। এমনকি টর্নেডোর পর গ্রামের জমিতে-বিলে-পুকুরে শত শত মানুষের লাশ পাওয়া গেলেও কোনো কার্যকরী ভূমিকা নেয়নি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। উল্টো তিনি ঘটনাস্থলে যাবেন জন্য দুর্যোগের দুদিন পরেও কোনো সহায়তা দেওয়া হয়নি ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার হাজ...
১৯৯১ সালে ভয়াবহ সাইক্লোনে বৃহত্তর চট্টগ্রামের ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষের মৃত্যু, ৬০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত এবং প্রায় ৪০০০ কোটি টাকার সম্পদহানির কথা স্বীকার করে বিএনপি-জামায়াত সরকার। কিন্তু বাস্তবে মৃতের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি বলে সরেজমিনে প্রতিবেমন প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় গণমাধ্যমগুলো। কিন্তু তারপরেও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া স্মরণকালের সেই শোকাবহ...
২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে, সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরো দেশ লকডাউন করে দিয়ে স্বল্প আয়ের মানুষদের ঘরে ঘরে অর্থ, প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে দেন। ফলে জনসংখ্যাবহুল এই দেশের ভেতরে করেনাভাইরাস সেভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারেনি। এছাড়াও মহামারির সময় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হা...
প্রাকৃতিক দুর্যোগে হতাহত মানুষের দুরাবস্থাকে কাজে লাগিয়ে দেশজুড়ে নিজের দাতা ভাবমূর্তি প্রচারের মতো জঘন্য কাজ করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। শুধু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম না আসায় দুর্যোগে হতাহতদের পাশে না দাঁড়ানোর এমন নির্মম নিকৃষ্ট ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে আর দ্বিতীয়টি নেই। ২০০৪ সালের ১৭ ও ১৮ এপ্রিল প্রথম আলো পত্রিকার সংবাদে এসব তথ্য জানা যায়। দেখা যায়, ১৬...
২০০১-২০০৬ সালের বাংলাদেশ ছিল এক অন্য বাংলাদেশ। বাংলাদেশ না, যেন ছিল মিনি পাকিস্তান। সংখ্যালঘু, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সাংবাদিকদের ওপর হামলা-নির্যাতন, খুন ইত্যাদি ছিল নিত্যদিনের বিষয়। স্বাধীনতাবিরোধি রাজাকারেরা গাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগিয়ে বীরদর্পে ঘুরে বেড়িয়েছে। নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে মানুষের বাড়ি-ঘর এমনকি মানুষকেও জ্বালিয়ে দিছিল খালেদা-নিজামীর সন্ত্রাসীরা। ...
২০০১ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ছাড়াও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নির্বিচারে হত্যা করে ও মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালায় বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতাকর্মীরা। ভোট পাবে না জেনে ভোট যাতে দিতে পারে তাই হত্যা করে, হামলা করে, আগুন দিয়ে ভয় দেখানোর কৌশল অবলম্বন করে খালেদা-নিজামী জোট। একাত্তরে পাকিস্তানি সেনারা যেভাবে ভয়ভীতি দেখিয়েছিলো ঠিক তেমনিভাবে চারদলীয়...
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ২০০১ সালে ক্ষমতায় আরোহনের পর শুরু করে যথেচ্ছ দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, লুটপাট। আর এই কুকর্মের সংবাদ প্রকাশ করলে সাংবাদিকদের ওপর নেমে আসতো মধ্যযুগীয় বর্বরতা। জেলায় জেলায় সাংবাদিকেরা দায়িত্ব পালনের দায়ে ঘর ছেড়ে পালিয়ে বাড়াতেন, প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই। শুধু দুর্নীতিই নয়, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সাংবাদিক-লেখকেরাও অত্যাচারের শিকার হয়েছেন খালেদা-ন...
খালেদা জিয়ার শাসনামলে ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎহীনতার কারণে যেমন সেচের অভাবে জমিতে ফসল পুড়েছে কৃষকদের, তেমনি সার নিয়ে বিএনপি-জামায়াত নেতাদের কেলেঙ্কারির কারণে ক্ষুদ্র চাষিরা আবাদ পর্যন্ত করতে পারেনি। বিদ্যুৎ সঙ্কটে সেচের জন্য ডিজেল বা কেরোসিন দিয়ে পাম্ম মেশিন চালানোর বিকল্প উপায়ও ছিল না কৃষকদের, কারণ ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্যও সিন্ডিকেট করে বাড়িয়ে দ...
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সরকারে থাকার সময় বিদ্যুৎ সেক্টরে হরিলুট চালিয়েছে বিএনপি-জামায়াত সরকার। বিদ্যুতের নামে শুধু নিম্নমানের খাম্বা বসিয়ে প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা লুটপাট এবং বিদেশে পাচার করে খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান। ফলে আওয়ামী লীগ আমলের সাড়ে চার হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হওয়া বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা আরো কমে যায় খালেদা জিয়ার শাসনামলে। যার ফলে বিশেষভাবে...
২০০১ সালে সরকার গঠনের পর থেকে দেশজুড়ে বিদ্যুতায়নের নামে শুধু খাম্বা স্থাপনের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা লুটপাট এবং সেই অর্থ বিদেশে পাচার করে বিএনপি নেতা তারেক রহমান। হাওয়া ভবন থেকে খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান সরকারের বিদ্যুৎ উৎপাদনের টাকা আত্মসাৎ করায়, প্রচণ্ড বিদ্যুৎ সঙ্কটে পড়ে বাংলাদেশ। ফলে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর...
প্রতিটি নির্বাচনের আগে জামায়াত-শিবিরের টার্গেট যেমন দেশজুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া, তেমনি পুলিশ বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে তাদের মনোবল নষ্ট করা। যাতে নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রে বিএনপি-জামায়াত জোট সন্ত্রাসীদের কেন্দ্র-দখল এবং ব্যালট-বাক্স ছিনতাই ও ছাপ্পা ভোট মারার সময় কেউ বাধা না দেয়। ২০০১ সালের নির্বাচনে এভাবেই দেশজুড়ে আওয়ামী লী...
নির্বাচন এলেই বিভিন্ন অজুহাতে হত্যাযজ্ঞ ও নাশকতা চালাতে শুরু করে জামায়াত-শিবির। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন বানচাল এবং ২০০১ সালের স্টাইলে কেন্দ্র দখল করে ছাপ্পা ভোট করে ক্ষমতা দখলের উদ্দেশ্যে ছয় মাস আগে থেকেই বোমাবাজি, অগ্নিসন্ত্রাস ও কুপিয়ে হত্যার মিশন শুরু করে তারা। এমনকি পবিত্র রমজান মাসের দিন-দুপুরেও ঢাকার রাস্তায় পুলিশ সদস্যদের ঘিরে ধরে নির্মমভাবে...
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ নেতাকর্মীরা যেমন চাঁদাবাজি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট করে, তেমনি তারা অসহায় গরিবদের জন্য বরাদ্দ ত্রাণের টিন ও শীতবস্ত্র পর্যন্ত আত্মসাৎ করেছে। গৃহহীন দুস্থ মানুষদের গুহ নির্মাণের জন্য জনগণের করের টাকায় যেসব ত্রাণের টিন দেওয়া হয়েছিল, তা গতদরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ না করে নিজেদের বা...
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পুত্র এবং বিএনপির তৎকালীন জ্যেষ্ঠ মহাসচিব তারেক রহমানের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলা হয়, অথচ বছরের পর বছর ধরে এই শহীদ মিনারেই জেলা শহরের সব সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছিল। এমনকি শহরের নান্দনিকতা বৃদ্ধির নামে বিভিন্ন ইংরেজি শিলালিপি বসানো হলেও হলেও বাংলা ভাষাকে উপেক্ষা করা হয়েছে পুরোদমে। এ...
২০০৬ সালের ২২ নভেম্বর বিএনপির দলীয় কোন্দলে যুবদল কর্মী মোহনকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ভিডিও ফুটেজ দেখে সবাই বিএনপির দুই এবং ইসলামি ছাত্র শিবিরের একজনকে শনাক্ত করে। কিন্তু তারেক রহমানকে ম্যানেজ করে সেই বিচার স্তব্ধ করে দেয় বিএনপির তারেক-ঘনিষ্ঠ নেতারা। বিশেষ করে বিএনপির এমপি এবং সন্ত্রাসীদের গডফাদার হেলালুজ্জামান তালুকদার লালুর মাধ্যমে এসব খুনিদের নিয়েই নিজ...
২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত পাঁচ বছরে উন্নয়নের নামে শুধু বগুড়ার জন্য প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার সড়ক ও স্থাপনা সংস্কারের টাকা বরাদ্দ নেয় তারেক রহমান। এরপর এসব অর্থ দলের ক্যাডারভিত্তিক নেতাদের মধ্যে বণ্টন করে দেয় সে। ফলে দিন আনা দিন খাওয়া অবস্থা থেকে রাতারাতি শত কোটি কোটি টাকার মালিক হয় বিএনপির সন্ত্রাসীরা, গণহারে লুটপাট হয় জনগণের অর্থের। শুধু গাবতলীতেই উন্নয়ন প্রকল্পের ...
নির্বাচনের মাত্র এক সপ্তাহ আগে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের টার্গেট করে বোমা হামলা শুরু করে বিএনপি-জামায়াত জোট। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সরাসরি তত্ত্বাবধানে তালেবান, আল কায়দার মতো জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে নির্বাচনি সহিংসতা চালানো হয়। এমনকি মুফতি আমিনী ও মুফতি শহিদুলের মতো নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গিবাদী সংগঠনের নেতাদেরও মনোনয়ন দেন খালেদা জিয়া। এর ফলে ...