1328
Published on ফেব্রুয়ারি 11, 2023২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত পাঁচ বছরে উন্নয়নের নামে শুধু বগুড়ার জন্য প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার সড়ক ও স্থাপনা সংস্কারের টাকা বরাদ্দ নেয় তারেক রহমান। এরপর এসব অর্থ দলের ক্যাডারভিত্তিক নেতাদের মধ্যে বণ্টন করে দেয় সে। ফলে দিন আনা দিন খাওয়া অবস্থা থেকে রাতারাতি শত কোটি কোটি টাকার মালিক হয় বিএনপির সন্ত্রাসীরা, গণহারে লুটপাট হয় জনগণের অর্থের।
শুধু গাবতলীতেই উন্নয়ন প্রকল্পের নামে ৫০০ কোটি টাকা বণ্টন করে তারেক রহমান। সেই সুবাদে শুধু এখানেই রাতারাতি কোটিপতি হয় ৩০ জন বিএনপি নেতা। বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান এসব অনিময়ের কথা স্বীকার করে বলেন, ধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতার নামেও অর্থ ছাড় করতে হয়েছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা এবং সাধারণ সম্পাদক রাজাকারপুত্র ভিপি সাইফুল আগে ছিল জীর্ণশীর্ণ বাসায়। বিএনপি সরকারের পাঁচ বছরেই তারা ফিলিং স্টেশন, প্রেসের মালিক, দামি গাড়ি ও বিলাসবহুল বাড়িসহ একাধিক ব্যবসার মালিক হয়। সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান লালুর সহযোগী মাহফুজ সিদ্দীক লিটন ওরফে চাকু লিটন শূন্য থেকে এক ডজন ট্রাক ও নতুন অট্টালিকা এবং একাধিক ব্যবসার মালিক হয়। তারেকের হস্তক্ষেপে বিনাভোটে নির্বাচিত গাবতলী পৌরসভার চেয়ারম্যান রাজাকারপুত্র মোর্শেদ মিল্টনও শত কোটি টাকার ব্যবসার মালিক হয়েছে।
মাদকব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত বিএনপি নেতা নুর মোহাম্মদ আগে তিন হাজার টাকার ভাড়া বাড়িতে থাকলেও, তারেক রহমান ও সাঈদ এসকান্দারের সহযোগিতায় পাঁচ বছরের মধ্যে পাজেরোতে চড়ে আলিশান বাড়িতে বসবাস শুরু করে। জেলা বিএনপির কোষাধ্যাক্ষ শাহে আলম বাই সাইকেল ছেড়ে চেপে বসে দামি গাড়িতে। তারেকের দেওয়া তালিকায় সে হয়ে যায় বিটিআরসির অন্যতম পরিচালক। বগুড়ায় এলে তারেকের মাথায় ছাতা ধরে রাখার বদৌলতে বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম সাইফ গরিবী হাল বদরে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যায় এলজিইডি-এর ঠিকাদারি অর্থ আত্মসাৎ করে।
এছাড়াও খুবই সাধারণ অবস্থা থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে শত কোটি টাকার মালিক হয় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার ডা. ফিরোজ মাহমুদ ইকবাল। গাড়ি-বাড়ি-ব্যবসায় কোটিপতি হয়ে যায় ছাত্রদল নেতা এমআর ইসলাম স্বাধীন, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, আবু তাহের, জাফর, খুনি পল্লী মামুন, ওমর ফারুক খান, জিএম সিরাজের চাচাত ভাই জিএম মাহবুব, ফজলুল হক রতন, দাদন ব্যবসায়ী জাকির, লালুর শ্যালক ঋণখেলাপি শামীম চৌধুরী, শহীদুল ইসলাম বাবলু, আলী আসগর হেনা, কবীর আহমেদ মিঠু, ক্যাডার আমিনুল ইসলাম, পুলিশ পেটানো মামলার আসামি মাহবুব আলম শাহীন, তরকারি ব্যবসায়ী থেকে কোটিপতি ঠিকাদার বকুল প্রমুখ।
ত্রাণ চুরির দায়ে অভিযুক্ত বিএনপি নেত্রী ও শিবগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ নূর আফরোজ জ্যোতিকে সংরক্ষিত আসনে মহিলা এমপি নির্বাচিত হলে হতবাক হয়ে যায় বগুড়াবাসী। এরপর রাতারাতি সেন্টমার্টিন-কক্রবাজার রুটে সি ট্রাক, ঢাকা-বগুড়া রুটে হিনো বাস, ঢাকায় বিলাসবহুল বাড়ির মালিক হয় সে।