498
Published on মে 15, 2023২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে, সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরো দেশ লকডাউন করে দিয়ে স্বল্প আয়ের মানুষদের ঘরে ঘরে অর্থ, প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে দেন। ফলে জনসংখ্যাবহুল এই দেশের ভেতরে করেনাভাইরাস সেভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারেনি।
এছাড়াও মহামারির সময় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নিজে প্রতিদিন টেলিভিশন এবং সামাজিক মাধ্যমে মানুষকে সতর্ক থাকার ব্যাপারে সচেতন করেন। এমনকি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং করোনা প্রতিরোধে যা করণীয়, চিকিৎসকদের ও প্রশাসনের লোকদের পাশাপাশি নিজেও প্রচারণা চালান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর নিত্যদিনের সতর্কতা দেখে সতর্ক হয়ে ওঠে প্রত্যন্ত অঞ্চলেরও প্রতিটি মানুষ। ফলে টিকা বের হওয়ার আগেই করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সফল হয় বাংলাদেশ।
কিন্তু তা সহ্য হলো না বিএনপি-জামায়াতের। তারা এরপর মানুষকে ভুল ও উস্কানরিমূলক তথ্য দিয়ে করোনার টিকা নিতে নিষেধ করলো। তারা টিকার ব্যাপারে ভীতি সৃষ্টি করলো। কিন্তু গণমাধ্যমের সংবাদে সাংবাদিকরা প্রকাশ করে দিলেন যে, বিএনপির হাইকমান্ডের সব নেতা-নেত্রীরাই নিজ পরিবারের নিরাপত্তার জন্য টিকা নিয়েছেন। এসব খবর ছবিসহ প্রকাশ হয়ে পড়ায় জনগণের আস্থা হারায় বিএনপি-জামায়াতের হাইকমান্ড। তারা যে সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে টিকা নিতে বিরত রেখে দেশে গণমৃত্যু ঘটাতে চেয়েছিল তা স্পষ্ট হয় দেশবাসীর কাছে।
করোনাকালের বৈশ্বিক বিপর্যয়ের মধ্যেও দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়, ফলে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে তাৎক্ষণিকভাবে নগদ অর্থ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনকি করোনায় স্তব্ধ হয়ে যাওয়া বাংলাদেশে লকডাউনের কারণে শ্রমিক সঙ্কট দেখা দেয়, তখন আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মানবিক কাজে আত্মনিয়োগের নির্দেশ দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে কীভাবে জনস্বার্থে কাজে লাগানো যায়, তা করে দেখিয়ে করোনায় ক্লান্ত বিশ্বনেতাদের চোখ খুলে দেন তিনি। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়ে সাহায্য করেন আওয়ামী নেতাকর্মীরা। ১৯৯৮ সালে দেশের এক-তৃতীয়াংশ বন্যায় ডুবে গেলে, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর ভবিষ্যতবাণী করেছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার দূরদর্শী ভূমিকার কারণেই কোনো মানুষকে আকালে বা চিকিৎসাহীনতায় প্রাণ হারাতে হয়নি। সেবারও সরকার ও প্রশাসনের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রতিটি এলাকায় সাহায্যসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি। এরপরেই আওয়ামী লীগ সরকারের এই প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক যুগপৎ কর্মযজ্ঞকে দুর্যোগ মোকাবিলার রোলমডেল ঘোষণা করে জাতিসংঘ।
বিএনপি-জামায়াত জোট যখন মানুষ মেরে উল্লাস করে, অসহায় মানুষের লাশ ফেলতে চায়, সেই লাশ ব্যবহার করে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র করতে চায়; সেখানে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মহামারি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ সবসময় নিজের জীবন দিয়ে জনগণের সেবা করে। এটাই শেখ হাসিনার মানবিক নেতৃত্ব। রাজনীতিকে বিএনপি-জামায়াত যেমন খুন-গণহত্যা ও অগ্নি-সন্ত্রাসের রূপ দেয়, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ঠিক তার বিপরীতে গিয়ে দেশ ও মানুষের বৃহত্তর কল্যাণের জন্য রাজনীতিকে কাজে লাগাতে চায়।