940
Published on মে 15, 2023২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হলেও সেদিকে নজর ছিল না কারো। এমনকি টর্নেডোর পর গ্রামের জমিতে-বিলে-পুকুরে শত শত মানুষের লাশ পাওয়া গেলেও কোনো কার্যকরী ভূমিকা নেয়নি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। উল্টো তিনি ঘটনাস্থলে যাবেন জন্য দুর্যোগের দুদিন পরেও কোনো সহায়তা দেওয়া হয়নি ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার হাজার হাজার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে।
২০০৪ সালের ১৭ ও ১৮ এপ্রিল প্রথম আলো পত্রিকার সংবাদে এসব তথ্য জানা যায়। দেখা যায়, ১৬ এপ্রিলের ভয়াবহ টর্নেডোতে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার অধিকাংশ এলাকা। প্রথম দিনেই বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক নারী-শিশুর লাশ উদ্ধার হয়। ঘরবাড়ি ও আশ্রয়স্থল ধ্বংস হয়ে যায় গ্রামের পর গ্রামজুড়ে। পরে পতে বসে পড়ে মানুষ। অথচ ঘটনার দুই দিন পরেও রাষ্ট্রীয়ভাবে এসব মানুষের জন্য বলার মতো কিছুই করা হয়নি।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষজনকে উল্টো বলা হয়েছে- প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আসবেন কয়েকদিন পর। ততদিন ধৈর্য ধরে থাকতে। তিনি নিজের হাতে ত্রাণ দেবেন সবাইকে। অথচ ছোট শিশুরা তখন খাদ্যের অভাবে গ্রামজুড়ে আহাজারি শুরু করে। গৃহহীন নারীরা খাদ্যতো দূরের কথা, পরপর দুই রাত রাতের বেলা মাথাগোঁজার ঠাঁই না পেয়ে ত্রাহি অবস্থায় পড়েছে। গ্রামের পুরুষরা জমির ক্ষতিগ্রস্ত ফসল দেখতে গিয়ে জমির ভেতর থেকেও লাশ খুঁজে পাওয়া অব্যাহত রেখেছে।
হাসপাতালে সারি সারি মরদেহ। আর দুই জেলার গ্রামে গ্রামে খাদ্য ও চিকিৎসার অভাবে আরো শত শত মানুষ তখন মৃত্যুপথযাত্রী। অথচ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া একবারও এই দুর্যোগে পতিত অসহায় মানুষদের খোঁজ নেননি। উল্টো প্রশাসনকে বলা হয়েছে, তিনি একসময় ঘটনাস্থলে যাবেন, সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে! ময়মনসিংহ-নেত্রকোণায় যখন সহায়-সম্বলহীন হয়ে হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিল কয়েকদিন ধরে, বিএনপির এমপি-মন্ত্রীরা তখন ঢাকা শহরের হাওয়াভবনে বসে লুটপাটে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছিলো। এটাই ছিল খালেদা জিয়ার শাসনামল।