1137
Published on মে 15, 2023১৯৯১ সালে ভয়াবহ সাইক্লোনে বৃহত্তর চট্টগ্রামের ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষের মৃত্যু, ৬০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত এবং প্রায় ৪০০০ কোটি টাকার সম্পদহানির কথা স্বীকার করে বিএনপি-জামায়াত সরকার। কিন্তু বাস্তবে মৃতের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি বলে সরেজমিনে প্রতিবেমন প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় গণমাধ্যমগুলো। কিন্তু তারপরেও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া স্মরণকালের সেই শোকাবহ পরিস্থিতিতে মন্তব্য করেন, 'যত মানুষ মরার কথা ছিল, তত মানুষ মরে নাই।'
অবহেলা করে সরকারের পক্ষ থেকে জনগণকে কোনো সতর্কতা না দেওয়ায় সেই সেই প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গিয়েছিল কক্সবাজার জেলার মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া, কক্সবাজার সদর, চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাঁশখালীসহ দেশের ১৩টি উপকূলীয় জেলার শত শত ইউনিয়ন। ঘণ্টায় ২০০ থেকে ২২৫ কিলোমিটার গতিবেগের প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় এবং ২৫থেকে ৩০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে দেশের উপকূলীয় এলাকা পরিণত হয়েছিল বিরাণভূমিতে। ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়, সহায় সম্বল হারায় মানুষ। বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ভেসে যায় ফসলের ক্ষেত ও লাখ লাখ গবাদি পশু।
অথচ ১৯৯১ সালের সেই ঘূর্ণিঝড়ে ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ মারা যাওয়ার পর সংসদে খালেদা জিয়া নিলর্জ্জের মতো মন্তব্য করেছিলেন, 'যত মানুষ মরার কথা ছিল তত মানুষ মরে নাই'। দুর্যোগের ব্যাপারে আগাম সতর্কতা দেওয়ার রীতি থাকলেও তা না দেওয়া এবং পরবর্তীতে প্রায় ৬০ লাখ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে পুনর্বাসনে কোনো স্থায়ী সাহায্য না করার মাধ্যমে জনগণের জানমালের প্রতি প্রচণ্ড অবজ্ঞা প্রকাশ করে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। কারণ, মানবিক রাষ্ট্র গঠন এবং জনগণের ম্যান্ডেটকে মূল্যহীন মনে করে তারা। তারা চায় সন্ত্রাস করে ভোট নিতে এবং জনগণকে লুটপাট করে খেতে। যা ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত করে দেখিয়েছে তারা।
অথচ আইলা, সিডর, বুলবুল, মোকাহ-এর মতো শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে নিজ দলের নেতাকর্মীকে নিয়ে বিপদগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য করতে টানা কয়েকদিন নির্ঘুম রাত কাটান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকারের মাধ্যমে প্রতিটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তিনি। ফলে অনেক প্রলংকারী দুর্যোগ এলেও জানমালের কোনো ক্ষতি হয়নি বাঙালি জাতির।