বিএনপি-জামায়াতের অপশাসন: বগুড়ায় এক সড়কের কাজ থেকেই শত কোটি লোপাট করে তারেক-লালু গং

1113

Published on ফেব্রুয়ারি 16, 2023
  • Details Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পুত্র এবং বিএনপির তৎকালীন জ্যেষ্ঠ মহাসচিব তারেক রহমানের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলা হয়, অথচ বছরের পর বছর ধরে এই শহীদ মিনারেই জেলা শহরের সব সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছিল। এমনকি শহরের নান্দনিকতা বৃদ্ধির নামে বিভিন্ন ইংরেজি শিলালিপি বসানো হলেও হলেও বাংলা ভাষাকে উপেক্ষা করা হয়েছে পুরোদমে।

এমনকি শহরের একটি রাস্তা সংস্কার বাবদ ১৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ নিলেও, জনদুর্ভোগ এড়িয়ে সময়মতো কোনো কাজ পর্যন্ত সম্পন্ন করা হয়নি। প্রকৌশলীরা জানান, বাংলাদেশে একটা জেলা শহরের ছোট রাস্তা সংস্কারের জন্য এতো টাকার বরাদ্দ ও লুটপাট এর আগে কখনোই হয়নি।

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ সালের প্রথম আলো পত্রিকা থেকে আরো জানা যায়, ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বগুড়ায় প্রতি মাসে বিশাল বহর নিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করতো তারেক রহমান। সেখানে রাত্রিযাপন করতো হেলালুজ্জামান তালুকদার লালুর রংমহল নামে পরিচিত চম্পাভবনে। সরকারি কাজ বাদ দিয়ে এই ভবনের সামনে লাইন দাঁড়িয়ে থাকতো দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা। দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত তৎকালীন বগুড়ার ডিসি রফিকুল মোহামেদের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার কাজ বণ্টন করতো তারেক বিএনপি নেতা ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে।

বনানী-মাটিডালি সড়ক সংস্কারের জন্য প্রায় দেড়শ কোটি টাকার বরাদ্দ আদায় করে তারেক। ত্রিশ কোটি টাকায় যে কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা যেতো, সেখানে দেমঢ় কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে শতকোটি টাকাই বন্টন করা হয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে। ফলে ভূমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে রাস্তার কাজ ঝূলে যায় দীর্ঘসূত্রিতায়। বর্ষাকালে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। এমনকি সাধারণ মানুষদের তুলনায় নেতাদের জমির দামও দেওয়া হয় অনেক বেশি। তারেকের সহায়তায় বগুড়ার মাফিয়া হয়ে ওঠা সংসদ সদস্য লালুর পছন্দের ব্যক্তিদের মাধ্যমে হরিলুট হয় হাজার কোটি টাকার। জনগণের করের টাকায় দলীয় সন্ত্রাসীদের লালন-পালনের এমন দৃষ্টান্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে বেনজির।

সরকারি অর্থ ব্যয়ে ডিসি রফিকুল শহরজুড়ে নিজের কবিতার শিলালিপি স্থাপন করে অনিময়ের নজিরবিহীন ইতিহাস রচনা করে তারেকের মদতে। এমনকি তারেক রহমানের অনুষ্ঠানে তাকে নিয়ে রচিত কবিতাও আবৃত্তি করতেন এই ডিসি। পরবর্তীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সরকারি তদন্তে এই ডিসির অনেক দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে।

তারেক রহমান- হেলালুজ্জামান লালু ও ডিসি রফিকুল সিন্ডিকেটের কাছে বিএনপি-জামায়াতের পুরো শাসনামলজুড়ে বগুড়ার সব কর্মকর্তা-কর্মচারী জিম্মি হয়ে ছিল। তারেককে প্রতিমাসে বগুড়ায় সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য তাদের সরকারি কাজ ফেলে দিনভর তারেকের সঙ্গে থাকতে বাধ্য করা হতো। খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজির মতো জঘন্য মামলার আসামিদের সাথে এক কাতারে দাঁড়াতে বাধ্য করা হতো পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। ফলে উত্তরবঙ্গের সন্ত্রাসের রাজধানীতে পরিণত হয় বগুড়া। আর বগুড়ার বিএনপি নেতারা রাতারাতি কোটিপতি হতে থাকে।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত