জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাস: রাজনৈতিক কর্মসূচির ছদ্মবেশে পুলিশ বাহিনীর ওপর অতর্কিত হামলা ও হত্যার নীলনকশা

621

Published on ফেব্রুয়ারি 23, 2023
  • Details Image

প্রতিটি নির্বাচনের আগে জামায়াত-শিবিরের টার্গেট যেমন দেশজুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া, তেমনি পুলিশ বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে তাদের মনোবল নষ্ট করা। যাতে নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রে বিএনপি-জামায়াত জোট সন্ত্রাসীদের কেন্দ্র-দখল এবং ব্যালট-বাক্স ছিনতাই ও ছাপ্পা ভোট মারার সময় কেউ বাধা না দেয়। 

২০০১ সালের নির্বাচনে এভাবেই দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হত্যাযজ্ঞ ও সাধারণ মানুষের মধ্য আতঙ্ক সৃষ্টি করে ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করতে সমর্থ হয়েছিল বিএনপি-জামায়াতের দুর্বৃত্তরা। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগেও সেই অপকৌশল অবলম্বন করে তারা। এবার নতুন সংযোজন হয় পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা এবং পুলিশ সদস্যদের ওপর হত্যার মিশন।

বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে দেশবাসীকে জিম্মি করে ২০১৪ সালের নির্বাচনে ক্ষমতা দখলের নীলনকশা করেছিল বিএনপি-জামায়াত চক্র। 

২০১৩ সালের ১৮ জুলাই জনকণ্ঠের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হরতালের নামে দেশজুড়ে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায় জামায়াত-শিবির। তাদের চোরাগোপ্তা মিছিলের সশস্ত্র হামলায় রাজধানীর শাহজাহারপুরে শিবিরের অতর্কিত হামলায় গুরুতর আহত হন পাঁচ পুলিশ।

পুরান ঢাকার বংশালে ওসির গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ও ককটেল নিক্ষেপ করে শিবিরের ক্যাডাররা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় জামায়াতের উপর্যপুরি পেট্রোলবোমা হামলায় মৃত্যু ঘটে পুলিশের  জামাল নামের একজন কনস্টেবলের। দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হয় সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানা পুলিশের এসআইসহ তিন পুলিশ সদস্য।

বগুড়ায় পুলিশের ওপর পিকেটিং করে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। এসময় তাদের উপর্যপুরি ককটেলের আঘাতে পিএসআই জুলহাম ও কনস্টেবল রমজান নামের ২ জন পুলিশ গুরুতর আহত হন। বগুড়া থানার ওসি শহিদ আলম বলেন, অল্পের জন্য আমরা প্রাণে বেঁচে গেছি।

১৬ জুলাইয়ের পত্রিকার সংবাদে জানা যায়, হরতালের নামে ঢাকার বাংলামোটর পুলিশ বক্সে মোটরসাইকেল নিয়ে অতর্কিত বোমা হামলা  এবং মহাখালীর ওয়্যারলেস এলাকায় পুলিশের একটি পিকআপ-ভ্যানে পেট্রোল বোমা মেরে অগ্নিসংযোগ করে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা।

১৫ জুলাই জনকন্ঠের সংবাদে থেকে জানা যায়, রাজধানীর পল্টনের সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় এএসআই রকিবুলকে থামিয়ে মাটিতে ফেলে রে ধরে বর্বরভাবে মাটিতে ফেলে পেটায় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। সেখানে অতর্কিত সশস্ত্র মিছিল বের করে আশেপাশের বেশ কয়েকটি মাইক্রোবাস ও কার পুড়িয়ে দেয় তারা। এছাড়াও পল্টন, বিজয়নগর এলাকায় পুলিশের সহকারী কমিশনারের গাড়ি ও পুলিশ কর্মকর্তাদের ২০-২৫টি মোটরসাইকেলে পেট্রোল বোমা মেরে অগ্নিসংযোগ এবং ভাংচুর চালায় এই সন্ত্রাসীরা।

সেই ধারাবাহিকতায় জঙ্গি হামলা চালিয়ে ২০১৪ সালেও দেশজুড়ে থানালুট এবং পুলিশ ফাঁড়িতে রাতের অন্ধকারে নিরস্ত্র ঘুমন্ত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা ও অগ্নিসংযোগ, দিনের বেলায় টহল পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর, এমনকি পেট্রোল বোমা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে প্রায় বিশ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা এবং শতাধিক পুলিশ সদস্যকে আহত করে এই বিএনপি-জামায়াত চক্র।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত