ছয় দফা ॥ শহীদের রক্তে লেখা

তোফায়েল আহমেদঃ ১৯৬৬-এর ৭ই জুন পাকিস্তানের তদানীন্তন সামরিক প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান এ দেশের গণতন্ত্রকে হত্যার জন্য ষড়যন্ত্র করেছিলেন। বাংলার গণমানুষ স্বাধিকার ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ৭ জুন সামরিক শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সর্বব্যাপী হরতাল পালন করেছিল। বাংলা মায়ের দামাল সন্তানরা এদিন তাদের জীবন উৎসর্গ করে গ...

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ছয় দফার তাৎপর্য

ড. এম এ মাননানঃ বঙ্গবন্ধুর পদচারণা এ দেশের অনেক কিছুতেই। সমতলের মেঠোপথ, হাওর-বাঁওড়ের কূলঘেঁষা সবুজ গ্রাম, সাগরপাড়ের মৎস্যজীবী অঞ্চল, পাহাড়ের অরণ্যভূমি, নদী সিকস্তির নিম্নভূমি, শহরের অলিগলি, কোথায় ছিল না তার পদচারণা। সদর্প পদচারণা ছিল রাজনীতির সুবিশাল ময়দানে, অর্থনীতির পরতে পরতে, শিল্পাঞ্চলের মেহনতি মানুষের আঙিনায়। অনেক পদচারণার অন্যতম ছিল পাকিস্তানি সামরিক শ...

ফিরে দেখা সাতই জুন

মাহফুজ উল্লাহঃ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক উজ্জ্বল দিন ৭ই জুন। বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্ম এ দিনটি সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না। জানবার কথাও নয়। তরুণদের তো আর দেশের ইতিহাস পড়ানো হয় না। যা পড়ানো হচ্ছে তা খণ্ডিত চিত্র, যা ঘটেছে তার বর্ণনা ও প্রতিক্রিয়া নয়। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে যে প্রজন্ম জড়িত সে প্রজন্মের প্রত্যেকের কাছেই ৭ জুন পরিচিত তারিখ। সমর্থন অথবা ...

বঙ্গবন্ধুর লেখায় ছয় দফা

ছয় দফা আন্দোলন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুচনাবিন্দু। নিজেদের অধিকার আদায়ের আদায়ের সংগ্রাম বাঙ্গালি জাতি অনেক আগে থেকেই করে আসছে। কিন্তু নিজেদের আত্মপরিচয়ের চাহিদা, এর জন্য সংগ্রামের প্রেরণা, নিজেদের স্বপ্নের বাস্তবিক কাঠামো বাঙ্গালি জাতি ছয় দফা থেকেই পেয়েছে। এই ছয় দফার প্রচারের ভয়ে ভীত হয়েই আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় ফাঁসানো হয়েছিলো তাঁকে। '৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান সংঘ...

৬ দফাঃ বাঙ্গালি জাতির মুক্তির সনদ

৬ দফাঃ বাঙ্গালি জাতির মুক্তির সনদ

৬-দফা বাঙ্গালীর বাঁচার দাবি-বঙ্গবন্ধু

আমি পূর্ব পাকিস্তানবাসীর বাঁচার দাবিরূপে ৬-দফা কর্মসূচী দেশবাসী ও ক্ষমতাসীন দলের বিবেচনার জন্য পেশ করিয়াছি। শান্তভাবে উহার সমালোচনা করার পরিবর্তে কায়েমী স্বার্থীদের দালালরা আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা শুরু করিয়াছেন। জনগণের দুশমনের এই চেহারা ও গালাগালির সহিত দেশবাসী সুপরিচিত। অতীতে পূর্ব পাকিস্তানবাসীর নিতান্ত সহজ ও ন্যায্য দাবি যখনই উঠিয়াছে, তখনই এই দালালরা এমনিভ...

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাঙালি জাতীয়তাবাদের পথিকৃৎ

ব্রিটিশরা ভারত ছাড়ার সময় বাংলাদেশকে পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্ত করে দিয়ে যায়। পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয় ধর্মের নামে; সেখানে ভাষা, জাতি ও গোষ্ঠী চেতনা ছিল না। তারা ধর্মের দোহাই দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের উপর নির্যাতন, শোষণ ও বঞ্চনা অব্যাহত রেখে তারা ভাষা, সংস্কৃতি ও জাতিসত্তার ওপর যখন আঘাত হানল তখনই রুখে দাঁড়ালেন শেখ মুজিব। ১৯৪৭ সালে কোলকাতা থেকে ঢাকায় এসে তিনি পাকিস্ত...

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ঃ ছয় দফা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘোষণা

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ঃ ছয় দফা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘোষণা February 1966: Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman's declaration on Six Points. Attn: The photos used in this video are not directly related to the Six Points movement, rather tried to portray an image of Bangabandhu's extraordinary political life.

‘৬-দফা’ বাংলাদেশ বিজয়ের মন্ত্র

আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ যুবায়েরঃ লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে লাল সবুজ পতাকা সম্বলিত যে দেশটি বিশ্ব মানচিত্রে স্থান পেয়েছে সে দেশটির নাম বাংলাদেশ। বিশ্বের একমাত্র ভাষা যে ভাষার জন্য মানুষ আন্দোলন করেছে ও বুকের তাজা রক্ত ঢেলে নিজেদের ভাষার অধিকার ফিরিয়ে এনেছে সে ভাষার নাম বাংলা। বাংলা ভাষার বাংলাদেশের মানুষগুলো নিজেদের অধিকার আদায়ের এবং দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে...

বঙ্গবন্ধুর ছয়দফা আন্দোলনের ইতিহাস

নিশিকান্ত রায়ঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতির এক মহাকবি। তাঁর তৃতীয় নয়ন সৃজনশীল নয়ন। ছয় দফা তাঁর তৃতীয় নয়নে দেখা মুক্তির ফুল। স্বপ্ন পূরণের ঐতিহাসিক পথরেখা। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের দেশভাগের পর থেকে জনগন ও রাজপথ তাঁর প্রিয়জন হয়ে উঠে। তিনি বুঝতে পারেন তাঁদের মনের ভাষা। রাজনীতি মানে যে শ্রেষ্ঠনীতি সেটা তিনি স্বপ্নে ও কর্মে বাস্তবে পরিণত করেন। তাঁর রা...

ঐতিহাসিক ছয়দফা দিবসের প্রেক্ষাপট ও প্রভাব

কিশোর কুমার পাল: ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলগুলোর সম্মেলনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, ইতিহাসের মহানায়ক, রাজনীতির কবি, বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্র্তৃক ঘোষিত ৬ দফা দাবি পেশ করেন। এটি ছিল পূর্ব বাংলার জনগণের প্রতি পাকিস্তান রাষ্ট্রের চরম বৈষম্যমূলক আচরণ, শাসন শোষণের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ। ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্...

ছয় দফাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূলভিত্তি

তাপস হালদারঃ এই উপমহাদেশে ন্যায় সঙ্গত, জনসমর্থিত অনেক দাবিনামা পেশ হয়েছে। কিন্তু দুটো দাবিনামা এই অঞ্চলে রাজনৈতিক ইতিহাসে আমূল পরিবর্তন এনেছে। প্রথমটি ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ মুসলিম লীগের সর্বসম্মত গৃহীত লাহোর প্রস্তাব। যেটি উপস্থাপন করেছিলেন শেরে বাংলা একে ফজলুল হক। সে প্রস্তাবে ছিল ভারতের উত্তর-পঞ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের মুসলমান প্রধান অঞ্চল নিয়ে স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্...

বাঙালির 'ছয় দফা'

পীযূষ কান্তি বড়ুয়াঃ পৃথিবীর ইতিহাস সংগ্রামের ইতিহাস। পৃথিবীর ইতিহাস আন্দোলনের ইতিহাস। যৌক্তিক সংগ্রামই পেরেছে পৃথিবীকে বদলাতে এবং বদলে দিতে। সংগ্রামে আজন্মসিদ্ধ বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মস্তিষ্কজাত মুক্তির অনন্য সনদ ছয়দফা বাঙালির কেবল বাঁচার দাবি ছিল না, এ ছিল সত্যিকার অর্থেই পৃথিবীর তাবৎ শোষিতের মুক্তির জীনমানচিত্রের নকশা। কো...

ছয় দফা- বিশ্ব ব্যবস্থার বিপরীতে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পথ দেখালেন

ড. সেলিম মাহমুদ: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সমকালীন বিশ্ব ব্যবস্থার বিপরীতে অবস্থান নিয়ে বাঙালির স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন। তিনি এমন এক বিশ্ব ব্যবস্থা ও প্রেক্ষাপটে বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, যখন পৃথিবীব্যাপী উপনিবেশগুলোকে অবমুক্ত (decolonization) করার জন্য জনমত গঠিত হচ্ছিল। বিশ্ব ব্যবস্থায় উপনিবেশবাদ তখনও বহাল ছিল। হাতে গোণা কয়েকটি পশ্চিমা দেশ প্...

কোভিড-১৯-এর বাস্তবতায় ৬৬-র ছয় দফা

মামুন আল মাহতাবঃ উইকিপিডিয়া বলছে ৬৬’র ছয় দফা ছিল বাঙালির ‘ম্যাগনা কার্টা’ – মুক্তির সনদ। কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে শুধু পররাষ্ট্র আর প্রতিরক্ষার দায়িত্ব রেখে দু’টি প্রায়-স্বাধীন অঞ্চলের সমন্বয়ে পাকিস্তান পুনর্গঠনের প্রস্তাব ছিল ছয় দফায়। দু’টি অঞ্চলের মধ্যে অবাধে বিনিময়যোগ্য কিন্তু পৃথক মুদ্রার প্রচলন, আলাদা সেনাবাহিনী গঠন, বৈদেশিক বাণি...

ছয় দফার সঙ্গে তৈরি ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের ছকও

অজয় দাশগুপ্তঃ ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান স্বায়ত্তশাসনের ছয় দফা কর্মসূচি উপস্থাপন করেন। এ কর্মসূচিতে ছিল- পাকিস্তান ফেডারেশনে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার, সার্বজনীন ভোটাধিকার ব্যবস্থা প্রবর্তন; ফেডারেল সরকারের হাতে থাকবে প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; পূর্ব ও পাশ্চিম পাকিস্তানে পৃথক কিন্তু সহজে বিনিময়...

সুগভীরে ছয় দফার ব্যাপ্তি

তৌহিদ রেজা নুরঃ ১৯৬৬ সাল। সামরিক রাষ্ট্রপতি ইস্কান্দার মির্জাকে হটিয়ে আরেক সামরিক রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান তাঁর ‘উন্নয়নের দশক’-এর অষ্টম বছরে সবে পদার্পন করেছেন। এর কয়েকমাস আগে ১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বরে ‘জম্মু-কাশ্মীরে আধিপত্য কার’ প্রশ্নে ভারত আর পাকিস্তান যুদ্ধে জড়িয়ে গেলে বিশ্ব মোড়লেরা আঞ্চলিক (এবং বৈশ্বিক) নিরাপত্তার স্বার্থে যুদ্ধরত দুই পড়শি দেশের ম...

ছয় দফার আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামের ড্রেস রিহার্সাল

শেরে বাংলা একে ফজলুল হক ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন, লক্ষ্য পাকিস্তান রাষ্ট্র কায়েম। ১৯৩৭ সালে পরাধীন ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ কে ফজলুল হক ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। নিখিল ভারত মুসলিম লীগের লাহোর অধিবেশনে তাকে দিয়েই মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ পাকিস্তান প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। শেরে বাংলা খেতাবটি ওই সম্মেলনেই তাকে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য...

৬ দফা বাঙালির মুক্তি সনদ

আ.স.ম আব্দুর রহিম পাকন: বাঙালি জাতি চির দুর্বার, চির দুর্দম। যুগে যুগে তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছে। শক্তিবলে অসম হলেও তারা ব্রিটিশদের সামনেও কভু মাথা নত করেনি। পাকিস্তানী শোষকগোষ্ঠীর দুঃশাসন, অত্যাচারে জর্জরিত বাঙালি দৃঢ়কন্ঠে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানিয়েছে। ৫২’র হার না মানা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছে নিজেদের মাতৃভাষার অধিকার । ধীরে ধীরে দৃপ্ত ...

বাঙ্গালির সূচনাবিন্দু ছয় দফাঃ আওয়ামী লীগের অনলাইন আলোচনায় বক্তারা

ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবসে রোববার (৭ জুন) রাতে অনলাইনে সম্প্রচারিত ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠান ‘৬ দফা থেকে স্বাধীনতা’ শীর্ষক তরুণদের সাথে রাজনীতিক ও ইতিহাসবিদদের ওয়েবিনার আয়োজন করা হয়। ওয়েবিনারটি সম্প্রচারিত হয় আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলে। সঞ্চালনায় ছিলেন সুভাষ সিংহ রায়। আলোচনায় অংশ নেন সাবেক ছাত্রনেতা ও ডাকসুর সাবেক সহসভাপতি ...

ছবিতে দেখুন

ভিডিও