মহসিন খানঃ ১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে পরাজিত হওয়ার পর প্রায় ২০০ বছর কেটেছে শোষণ, নিষ্পেষণ, নির্যাতনে। ১৯৪৭ সালে একটি অনিয়ন্ত্রিত ইতিহাসের শেষ মিনিটের বিশেষ ছাড়ের মাধ্যমে জন্মলাভ করে পাকিস্তান ও ভারত নামক দুটি রাষ্ট্র। দেশ ভাগ হলেও পূর্ব বাংলার মানুষের মাথার উপর থেকে আকাশের কালো মেঘ তখনো কাটেনি। প্রায় ১২০০ মাইল দূরের পশ্চিম পাকিস্তান সরকার এ দেশের মানুষের উপর অ...
বিনয় দত্তঃ ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু ৬ দফা ঘোষণা করেছেন। এই ৬ দফা সেইসময় সবার কাছে যে স্পষ্ট ছিল তা কিন্তু নয়। এইটা বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন তাই সেইসময় ‘আমাদের বাঁচার দাবি: ৬-দফা কর্মসূচী’ শীর্ষক একটি প্রচারপত্র প্রকাশ করা হয়। এটি প্রকাশিত হয় ৪ঠা চৈত্র, ১৩৭২; ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৬। এই প্রচারপত্র প্রকাশের উদ্দেশ্য হলো, যাতে সবাই ৬ দফা সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখে এবং এত...
প্রকৌশলী আজিজ সারতাজ জায়েদ: পাকিস্তানের অবৈধ রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আইয়ুব খান ১৯৫৮ সাল থেকে ক্যু দে-তা’র বদৌলতে ক্ষমতা কুক্ষীগত করেন ১৯৬৯ সালের ২৬ মার্চ অবধি। পাকিস্তান মুসলিম লীগের একাংশকে নিজের আয়ত্বে এনে তিনি নতুন দল বানালেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কনভেনশন) এবং ২ জানুয়ারি, ১৯৬৫ তারিখের অনুষ্ঠিতব্য ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতির নির্বাচনে প্রার্থী হলেন সে দলের প্রতীকে...
অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ ছেষট্টির আগে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে আরো ‘অ্যাজেন্ডা’ ছিল। কিন্তু ৬ দফা ঘোষণা দেওয়ার পর ‘জাতীয়তাবাদে’র বিষয়টি একমাত্র অ্যাজেন্ডায় পরিণত হয়। এই এক ‘অ্যাজেন্ডা’ দিয়েই আন্দোলন-সংগ্রাম করে একাত্তরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ।ো ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর প...
আব্দুর রহমান: বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষে ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে 'ছয় দফা দাবি' পেশ করেন। ৪ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিব পাকি...
সরকার মোঃ সব্যসাচী: ধরণীর বুকে লাল-সবুজ পতাকা নিয়ে বাংলাদেশ ভূমিষ্ঠ হয়েছিলো যাঁর হাতে হাত রেখে –সে নামটি হলো শেখ মুজিবুর রহমান। যাঁর যাপিত জীবনদর্শন পাঠ করলে সন্ধান মেলে বাংলাদেশ ভূমিষ্ঠের অমর ইতিহাস। চোখে দৃশ্যমান হয়, পাকিস্তানের বুক চিরে বাঙালির স্বাধীনতার অংকুরায়নের সংগ্রামী প্রতিচ্ছবি। প্রসঙ্গতই, বঙ্গদেশের পূজনীয় ইতিহাসবিদরা ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদ...
ফারহান সাদিকঃ ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ওপর শুরু হয় অমানবিক শোষণ, বঞ্চনা, নির্যাতন এবং ক্রমবর্ধমান হারে বেড়ে ছিল বৈষম্য। এদেশের মাটি উর্বর হওয়ায় পূর্ব পাকিস্তান পরিণত হয় পশ্চিম পাকিস্তানী শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের কাঁচামালের যোগানদাতা হিসেবে। গুটিকয়েক শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠিত হলেও সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা পর্ষদ ছিল পশ্চিম ...
শিবু দাশ সুমিতঃ তিনি রাজনীতির কবি, নিউইয়র্ক ম্যাগাজিনের মতে তিনি 'পয়েট অব পলিটিক্স।'হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর অপর নাম বাংলাদেশ। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার বাইগার নদীর তীরে খোকা নামক যে ছেলেটি ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ শেখ লুৎফর রহমান এবং সায়েরা খাতুনের ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করেছিল সেই ছেলেটিই একসময় হয়ে উঠেছিল সাত কোটি নির্যা...
মনিরুল ইসলামঃ ১৮৮৫ সালে সর্বভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ভারত উপমহাদেশের জনগণের প্রাতিষ্ঠানিক রাজনৈতিক চর্চার শুরু। এরপর বহু নেতা, বহু দল জনগণের পক্ষ থেকে অনেক দাবীদাওয়া উত্থাপন করেছেন। কিন্তু কোনটাই এত অল্প সময়ে এত বিপুল সাড়া জাগাতে পারেনি, ব্যাপক জনসমর্থন পায়নি এবং অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি, যা বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার ক্ষেত্রে ঘটেছে। কিন্তু কেন? এমন নয়...
৭ই জুন ঐতিহাসিক ৬-দফা দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ৭ই জুন এক অবিস্মরণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এই দিন বাঙালির মুক্তির সনদ ৬-দফা আদায়ের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। এতে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন শহীদ হন। শহীদের রক্তে ৬-দফা আন্দোলন স্ফুলিঙ্গের মতো দ্রুত ছড়...
বোরহান উদ্দিন: বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা কর্মসূচি ছিল বাঙালির জাতীয় মুক্তির সনদ। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর, পাকিস্তান রাষ্ট্রে বাঙালিরা কখনো সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করতে পারেনি। শুরু থেকেই পূর্ব বাংলার ওপর পশ্চিম পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক শাসন–শোষণ কায়েম হয়। সেই রাষ্ট্রে বাঙালিদের সমস্যায় পড়ার মূল কারণ ছিল জাতিসত্তাগত। ফলে শুরুতে সাংস্কৃতিক নিপডীড়ন দিয়ে শুরু হলেও ধীর...
সাখাওয়াত মজুমদারঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে নির্যাতিত, নিষ্পেষিত, অধিকারবঞ্চিত বাঙারির পক্ষে যে ঐতিহাসিক ৬-দফা দাবি পেশ করেন; তা বাঙালির বাঁচার দাবি বা ম্যাগনাকার্টা নামে পরিচিত। বঙ্গবন্ধুর ৬-দফা কর্মসূচি সমগ্র বাঙালি জাতির চেতনার মূলে বিস্ফোরণ ঘটায়। ছয় দফা ছাড়া জাতি হিসেবে টিকে থাকার অন্যকোনো বিকল্পই ছিল না আর। ঐতিহাসিক এই ছয় দফার ভিত্ত...
হাসনাইন হক ইজাজ চৌধুরীঃ ছয় দফা আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ১৯৬৬ সালে ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ছয় দফা উত্থাপন করেন। ছয় দফা দাবির মূল উদ্দেশ্য ছিল- পাকিস্তানকে একটি ফেডারেল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা এবং প্রতিটি রা...
ইয়াসির আরাফাত তূর্যঃ বাঙালি জাতির মুক্তির প্রমিথিউস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ''একজন মানুষ হিসেবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি, একজন বাঙালি হিসেবে যা কিছু বাঙালিদের সাথে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। এই নিরন্তর সম্পৃক্তির উৎস ভালোবাসা ,অক্ষয় ভালোবাসা, যে ভালোবাসা আমার রাজনীতি ও অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে।" বাঙালির প্রতি...
মাহমুদুল হাসান (ইমন): ১৯৪৭ সালে স্যার রেডক্লিফের আঁকা মানচিত্রের মাধ্যমে পৃথক দুটো রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল- ভারত ও পাকিস্তান। ভারতকে একটি খণ্ডে ভাগ করা হলেও, পাকিস্তানকে ভাগ করা হয়েছিলো দুটো খণ্ডে। একটি পশ্চিম পাকিস্তান, আরেকটি হলো পূর্ব পাকিস্তান। এই পূর্ব পাকিস্তানে স্বাধীন বাংলা প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখেছিলেন টুঙ্গিপাড়ার খোকা বাবু। তাই তো একটা জাতিকে স্বাধীনতা...
মো. জুয়েল হোসেনঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ছয় দফা কর্মসূচিতেই বাঙালির মুক্তির সনদ বলা হয়। এই দাবিগুলো মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে যাওয়ার পর, স্বাধীনতার জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে শুরু করে আপামর জনতা। তবে এই ছয় দফা কোনো রাতারাতি কর্মসূচি ছিল না। এর প্রস্তুতি ছিল দীর্ঘদিনের। ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব, ১৯৪৭ এর ভারত-ভাগ, ১৯৪৯ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগের জন্ম, ...
মো. আসাদ উল্লাহ তুষারঃ বাঙালির মুক্তির সনদ 'ছয় দফা' যে 'ছয় দফা' ছিল না, 'ছয় দফা'র চূড়ান্ত লক্ষ যে 'এক দফা' ছিল, তা পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী ঠিকই বুঝতে পেরেছিল। যে কারণে ছয় দফা ঘোষণার কিছুদিনের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় বঙ্গবন্ধুকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে এক সুতায় গাঁথতে ধীরে ধীরে তৈরি করছিলেন। তা করতে গিয়ে যে আন্দোলন সংগ্রাম করত...
তোফায়েল আহমেদঃ ১৯৬৬-এর ৭ই জুন পাকিস্তানের তদানীন্তন সামরিক প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান এ দেশের গণতন্ত্রকে হত্যার জন্য ষড়যন্ত্র করেছিলেন। বাংলার গণমানুষ স্বাধিকার ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ৭ জুন সামরিক শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সর্বব্যাপী হরতাল পালন করেছিল। বাংলা মায়ের দামাল সন্তানরা এদিন তাদের জীবন উৎসর্গ করে গ...
ড. এম এ মাননানঃ বঙ্গবন্ধুর পদচারণা এ দেশের অনেক কিছুতেই। সমতলের মেঠোপথ, হাওর-বাঁওড়ের কূলঘেঁষা সবুজ গ্রাম, সাগরপাড়ের মৎস্যজীবী অঞ্চল, পাহাড়ের অরণ্যভূমি, নদী সিকস্তির নিম্নভূমি, শহরের অলিগলি, কোথায় ছিল না তার পদচারণা। সদর্প পদচারণা ছিল রাজনীতির সুবিশাল ময়দানে, অর্থনীতির পরতে পরতে, শিল্পাঞ্চলের মেহনতি মানুষের আঙিনায়। অনেক পদচারণার অন্যতম ছিল পাকিস্তানি সামরিক শ...
মাহফুজ উল্লাহঃ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক উজ্জ্বল দিন ৭ই জুন। বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্ম এ দিনটি সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না। জানবার কথাও নয়। তরুণদের তো আর দেশের ইতিহাস পড়ানো হয় না। যা পড়ানো হচ্ছে তা খণ্ডিত চিত্র, যা ঘটেছে তার বর্ণনা ও প্রতিক্রিয়া নয়। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে যে প্রজন্ম জড়িত সে প্রজন্মের প্রত্যেকের কাছেই ৭ জুন পরিচিত তারিখ। সমর্থন অথবা ...