3986
Published on জানুয়ারি 19, 2021ব্রিটিশরা ভারত ছাড়ার সময় বাংলাদেশকে পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্ত করে দিয়ে যায়। পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয় ধর্মের নামে; সেখানে ভাষা, জাতি ও গোষ্ঠী চেতনা ছিল না। তারা ধর্মের দোহাই দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের উপর নির্যাতন, শোষণ ও বঞ্চনা অব্যাহত রেখে তারা ভাষা, সংস্কৃতি ও জাতিসত্তার ওপর যখন আঘাত হানল তখনই রুখে দাঁড়ালেন শেখ মুজিব।
১৯৪৭ সালে কোলকাতা থেকে ঢাকায় এসে তিনি পাকিস্তানের স্বৈরাচার শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ছাত্র-আন্দোলনের ভিত গড়ে তুলেছেন। তিনি প্রথম বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান জানান তাঁর জাতীয়তাবোধের আদর্শ ও চেতনায়। বাংলাভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে তিনিই প্রথম ছাত্রসমাজকে উদ্বুদ্ধ করেন এবং এ আন্দোলনকে এগিয়ে নেবার জন্য প্রস্তুত করে তোলেন। তিনিই প্রথম রাজনৈতিক নেতাদের সভায় আহ্বান জানান বাংলাভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সোচ্চার হতে হবে, জনমত গড়তে হবে, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়তে হবে। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর কাছে তখনই তিনি স্পষ্ট হয়ে ওঠেন এক প্রচণ্ড জাতীয়তাবাদী নেতা হিসেবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাঁর রাজনৈতিক ভিশন হিসেবে তখন থেকে বাঙালির জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনকেই তাঁর চূড়ান্ত লক্ষ্য স্থির করে নেন। তাঁর বিভিন্ন বক্তৃতা-বিবৃতি, তাঁর পাকিস্তান গণপরিষদের ভাষণ থেকে আমরা দেখতে পাই তিনি বাঙালির উপর পাকিস্তানের শোষণ ও বঞ্চনার কথা খুব স্পষ্টভাবে খুলে বলতেন। বাঙালির ন্যায্য অধিকার আদায়ে সোচ্চার হতেন। বাংলার মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা বলিষ্ঠভাবে তুলে ধরতেন। বাঙালি জাতীয়তাবাদের আদর্শ তাঁকে ক্রমশ এক মহান নেতায় পরিণত করে তোলে। তাঁর সাহসী চেতনায় বাংলার মানুষ উদ্বুদ্ধ হয়ে ওঠে এবং তাঁর সমর্থনে ঐক্যবদ্ধ সংগঠিত হয়ে ওঠে।
পঞ্চাশ-ষাট দশকে শেখ মুজিবের রাজনৈতিক কর্মতৎপরতা, জনসমর্থন ক্রমশ তাঁকে শক্তিশালী করে তোলে। তিনি যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে ২১ দফা প্রণয়নে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। ২১ দফায় বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা আন্দোলন শুরু হয় মাত্র। শেখ মুজিব তাঁর লক্ষ্যপূরণে এক ধাপ এগিয়ে যান। আর পেছন ফিরে তাকানোর তাঁর প্রয়োজন পড়েনি। ১৯৫৮ সালে জেনারেল আইয়ুব খানের সামরিক শাসন, দেশীয় রাজনৈতিক নেতাদের অসততা তাঁকে একলা চলার প্রেরণা জুগিয়েছিল। পাকিস্তানি সামরিক শাসকগোষ্ঠী এবং দুর্নীতিপরায়ণ প্রভাবশালী আমলাগোষ্ঠী উপলব্ধি করতে সমর্থ হয় বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার নেতা একমাত্র শেখ মুজিব। তারা তখন তাঁকে দমন করার জন্য রাজনৈতিকভাবে শুধু হয়রানিই করেনি, তাঁকে বারবার কারাগারে ঢুকিয়েছে, রাজবন্দি হিসেবে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেছে, এমনকি তাঁর পরিবারকেও অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করার চেষ্টা করেছে।
১৯৬৬ সালে শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ৬-দফা দাবি ঘোষণা করে তাঁর লক্ষ্যকে সকলের কাছে একেবারে স্পষ্ট করে দিলেন তিনি কোথায় যেতে চান, তিনি কতদূর যেতে চান, তাঁর সেই স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন কীভাবে করবেন। তাঁর ৬-দফা দাবিতে তিনি স্পষ্ট করে বাঙালির বাঁচার দাবিকেই মূলত ঘোষণা করেছিলেন। বাঙালির প্রকৃত মুক্তিসনদ ৬-দফা শুধু স্বীকৃতিই পায়নি, এর সমর্থনে প্রবল জনমতও গড়ে ওঠে।
ঐতিহাসিক ছয় দফা ঘোষণাকালে শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেনঃ
“ভারতের সাথে বিগত সতেরো দিনের যুদ্ধের অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ রেখে জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে দেশের শাসনতান্ত্রিক কাঠামো সম্পর্কে আজ নতুনভাবে চিন্তা করে দেখা অত্যাবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে শাসনকার্য নির্বাহের ক্ষেত্রে বাস্তব যেসব অসুবিধা দেখা দিয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই প্রশ্নটির গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। একথা আজ আর অস্বীকার করবার উপায় নেই যে, জাতীয় সংহতি বজায় রাখার ব্যাপারে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের প্রগাঢ় আন্তরিকতা ও দৃঢ় সংকল্পই দেশকে এই অস্বাভাবিক জরুরি অবস্থাতেও চরম বিশৃঙ্খলার হাত হতে রক্ষা করেছে।
এই অবস্থার আলোকে সমগ্র পরিস্থিতি বিবেচনা করে পাকিস্তানের দুইটি অংশ যাতে ভবিষ্যতে আরও সুসংহত একক রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে পরিগণিত হতে পারে এই সংক্ষিপ্ত ইশতাহারটির লক্ষ্য তা-ই। এই লক্ষ্য সামনে রেখেই আমি দেশবাসী জনসাধারণ ও রাষ্ট্রের আজিকার কর্ণধারদের কাছে নিম্নলিখিত ছয় দফা কর্মসূচী পেশ করছি।
প্রস্তাব-১. শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রীয় প্রকৃতিঃ
দেশের শাসনতান্ত্রিক কাঠামো এমন হতে হবে যেখানে পাকিস্তান হবে একটি ফেডারেশনভিত্তিক রাষ্ট্রসংঘ এবং তার ভিত্তি হবে লাহোর-প্রস্তাব। সরকার হবে পার্লামেন্টারী ধরনের। আইন পরিষদের ক্ষমতা হবে সার্বভৌম এবং এই পরিষদও নির্বাচিত হবে সার্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে জনসাধারণের সরাসরি ভোটে।
প্রস্তাব-২. কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতাঃ
কেন্দ্রীয় (ফেডারেল) সরকার কেবল মাত্র দুইটি ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে – যথা, দেশরক্ষা ও বৈদেশিক নীতি। অবশিষ্ট সকল বিষয়ে অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর ক্ষমতা থাকবে নিরঙ্কুশ।
প্রস্তাব-৩. মুদ্রা বা অর্থ-সম্মন্ধীয় ক্ষমতাঃ
মুদ্রার ব্যাপারে নিম্নলিখিত দুইটির যে কোনো একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা চলতে পারেঃ (ক) সমগ্র দেশের জন্য দুটি পৃথক, অথচ অবাধে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা চালু থাকবে। (খ) বর্তমান নিয়মে সমগ্র দেশের জন্য কেবলমাত্র একটি মুদ্রাই চালু থাকতে পারে। তবে সেক্ষত্রে শাসনতন্ত্রে এমন ফলপ্রসূ ব্যবস্থা রাখতে হবে যাতে করে পূর্ব-পাকিস্তান থেকে পশ্চিম-পাকিস্তানে মূলধন পাচারের পথ বন্ধ হয়। এক্ষেত্রে পূর্ব-পাকিস্তানের জন্য পৃথক ব্যাংকিং রিজার্ভরও পত্তন করতে হবে এবং পূর্ব-পাকিস্তানের জন্য পৃথক আর্থিক বা অর্থবিষয়ক নীতি প্রবর্তন করতে হবে।
প্রস্তাব-৪. রাজস্ব, কর বা শুল্ক-সম্মন্ধীয় ক্ষমতাঃ
ফেডারেশনের অঙ্গরাষ্ট্রগুলির কর বা শুল্ক ধার্যের ব্যাপারে সার্বভৌম ক্ষমতা থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনরূপ কর ধার্যের ক্ষমতা থাকবে না। তবে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের জন্য অঙ্গরাষ্ট্রীয় রাজস্বের একটি অংশ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাপ্য হবে। অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর সবরকমের করের শতকরা একই হারে আদায়কৃত অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল গঠিত হবে।
প্রস্তাব-৫. বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতাঃ
(ক) ফেডারেশনভুক্ত প্রতিটি রাষ্ট্রের বহির্বাণিজ্যের পৃথক হিসাব রক্ষা করতে হবে। (খ) বহির্বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর এক্তিয়ারাধীন থাকবে। (গ) কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা সমান হারে অথবা সর্বসম্মত কোনো হারে অঙ্গরাষ্ট্রগুলোই মিটাবে। (ঘ) অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে দেশজ দ্রব্যাদি চলাচলের ক্ষেত্রে শুল্ক বা কর জাতীয় কোনো বাধা-নিষেধ থাকবে না। (ঙ) শাসনতন্ত্রে অঙ্গরাষ্ট্রগুলিকে বিদেশে নিজ নিজ বাণিজ্যিক প্রতিনিধি প্রেরণ এবং স্বস্বার্থে বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পাদনের ক্ষমতা দিতে হবে।
প্রস্তাব-৬. আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতাঃ
আঞ্চলিক সংগতি ও শাসনতন্ত্র রক্ষার জন্য শাসনতন্ত্রের অঙ্গরাষ্ট্রগুলোকে স্বীয় কর্তৃত্বাধীনে আধা সামরিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠন ও রাখার ক্ষমতা দিতে হবে। ”
৬-দফাতেই সেদিন বাঙালি দিকনির্দেশনা পেয়ে গিয়েছিল তাঁকে কোথায় যেতে হবে। বাঙালির একচ্ছত্র প্রাণপ্রিয় নেতা হিসেবে সেদিনই শেখ মুজিবের অভিষেক হয়ে যায়। শেখ মুজিবের আদর্শিক চেতনায় বাঙালি উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠলেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী তাঁকে দেশদ্রোহিতার মামলায় অভিযুক্ত করে সেনাছাউনিতে বন্দি করে রাখে। শেখ মুজিব হাসিমুখেই ফাঁসিদণ্ডে সাহসী পদচারণা করেন, কিন্তু বাংলার ছাত্র-জনতা ঊনসত্তুরের গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে তাকে মুক্ত করে এবং পাকিস্তানের সামরিক শাসকগোষ্ঠীর ভিত্ কাঁপিয়ে দেয়। বাঙালির সেই অর্জন, শেখ মুজিবের সেই ‘বঙ্গবন্ধু’ খ্যাতি অর্জন – বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার এক নতুন সূর্যোদয়ের পথ যাত্রা। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর বিরাটত্ব থেকে বিশালত্বে এগিয়েছেন, তাঁর প্রধান অস্ত্র হয়ে ওঠে বাংলার জনগণ।
সত্তুরের নির্বাচনে বাংলার মানুষ তাঁকে সংখ্যাগরিষ্ঠের একমাত্র নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। বাংলার মানুষের এই অকুন্ঠ সমর্থন তাঁর হৃদয়কে এক মানবিক ভালোবাসায় পরিপূর্ণ করে তোলে। পাকিস্তানি সামরিক শাসকগোষ্ঠীর প্রতারণার জবাবে ৭ মার্চ তিনি সাহসীকন্ঠে উচ্চারণ করলেনঃ ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ তিনি বলেছিলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব, বাংলার মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ্।’ তবে সেই বজ্রকন্ঠ সেদিন বাংলার পথে-প্রান্তরে, জনপদ-রাজপথে, পর্ণকুটির থেকে শহর-বন্দর, সর্বত্র সর্বস্তরের মানুষকে সংগঠিত করেছে।
বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষ সেদিন থেকে গেরিলা, সেদিন থেকে বীর বাঙালি, সেদিন থেকে মুক্তিযোদ্ধা, সেদিন থেকে আত্মত্যাগী, সেদিন থেকে যুদ্ধজয়ের নেশায় মন্ত্রপাঠ করেছে, সেদিন থেকেই শত্রুহননে হৃদয়ে আগুন জ্বেলেছে। বাঙালি বিশ্বে যে যেখানে ছিল একটি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায়, একটি জাতির অভিষেকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওঠে। তারপরও ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তাক্ত অক্ষরে, তিন লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির আত্মত্যাগে, পাকিস্তানি সামরিক শাসকগোষ্ঠীর নিষ্ঠুর গণহত্যা, অমানবিক পশুসুলভ নির্যাতন, লুণ্ঠনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করে। এর পেছনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গুরুত্বপূর্ণ লড়াই ও জীবনদান, মা-বোনের অশ্রু, বিশ্ববাসীর সমর্থন এবং মিত্র বাহিনীর সহায়তা আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করি। সেদিন বাঙালির জীবনে এসেছিল এক সুবর্ণ সময়, বাঙালি সেদিন মৃত্যুকে ভয় করেনি, মৃত্যুর বিনিময়ে চেয়েছিল একমাত্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা। বাঙালির আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত হল একটি পতাকা উড়িয়ে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির জনক হয়ে উঠলেন তাঁর অবিস্মরণীয় অবিসংবাদিত নেতৃত্বে। পাকিস্তান কারাগারের মৃত্যুদণ্ড থেকে তিনি বিজয়ী বীর হিসেবে মহামানবে অভিনন্দিত হয়ে ফিরে এলেন তাঁর জন্মভূমি বাংলাদেশে, যার পবিত্র মাটিকে তিনি একদিন শত্রুমুক্ত করার আহ্বান দেন, সেই মাটির ছায়ায় তিনি নিশ্চিত শান্তিময় আশ্রয় গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। তাঁর জীবনের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হবে, বাংলার মানুষ উন্নত জীবনের অধিকারী হবে। বাঙালি, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান – পদ্মা, মেঘনা, যমুনার স্রোতধারায় এক লাল সুতোর বীরত্বগাঁথা, এক উজ্জীবনী শক্তি যা যুগ যুগ ধরে আমাদের জাগ্রত করে রাখবে।
সূত্রঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও তাঁর পরিবার- বেবী মওদুদ, পৃষ্ঠা নং- ৭০-৭৪
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাঙালি জাতীয়তাবাদের পথিকৃৎ