প্রতি বছর জানুয়ারি মাস ফিরে এলে ১৯৬৯-এর অগ্নিঝরা দিনগুলাে স্মৃতির পাতায় ভেসে ওঠে। প্রত্যেক মানুষের জীবনে উজ্জ্বলতম দিন আছে। আমি দুর্লভ সৌভাগ্যের অধিকারী। আমার জীবনেও কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা আছে। ৬৯ আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ কালপর্ব। সেই কালপর্বে আইয়ুবের লৌহ শাসনের ভিত কাঁপিয়ে বাংলার ছাত্রসমাজ ৬৯-এর ২৪ জানুয়ারি সর্বব্যাপী গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত করে ইতিহাস সৃষ্টি করে। এবার ৬৯-এর ...
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরপরই বাঙালিরা বুঝেছিল পশ্চিম পাকিস্তানিরা বাঙালিদের স্বাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে দেবে না। ষড়যন্ত্র করে, হামলা-মামলা দিয়ে বাঙালির অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে তারা দমিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিল। ভাষার জন্য সংগ্রাম, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম, শিক্ষার জন্য সংগ্রাম, বৈষম্য অবসানের জন্য সংগ্রামের পথেই এসেছিল ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান। স্বাধীনতা আন্দোলনের সুদীর্ঘ পথপরিক্...
ঊনসত্তরের ছাত্র-গণ আন্দোলনকে যথার্থভাবেই ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ড্রেস রিহার্সাল হিসেবে গণ্য করা হয়। দ্রুত গতিবেগ সঞ্চার করা অবিস্মরণীয় এই আন্দোলনে ১১টি দাবি তুলে ধরা হয়, যার প্রথমটি ছিল শিক্ষা সংক্রান্ত। ‘ক’ থেকে ‘থ’ পর্যন্ত ১২টি ধারায় বিভক্ত ১ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়- সচ্ছল কলেজসমূহকে প্রাদেশিকীকরণ নীতি পরিত্যাগ ও জগন্নাথ কলেজসহ ...
আগামীকাল ২৪ জানুয়ারি ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাঙালির দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালির মুক্তির সনদ ৬-দফা ভিত্তিক গণ-আন্দোলনের আদর্শকে ধারণ করে অগ্রসরমান সংগ্রামের পথপরিক্রমায় ১৯...
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বকশীবাজারস্থ নবকুমার ইনস্টিটিউটশন ও ড. শহীদুল্লাহ্ কলেজ প্রাঙ্গণে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ মতিউর রহমান মল্লিকের বেদিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন করার সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, ডা. মোস্ত...
আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক: মাত্র ৫৫ বছরের জীবন ছিল তাঁর। নিষ্ঠাবান কর্মী থেকে তিনি হয়েছিলেন রাজনীতির মহাকবি। রচনা করেছিলেন স্বাধীনতার মহাকাব্য। যাঁর জন্মের সাথে জড়িয়ে আছে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়। তিনি মহান নেতা, মহান শিক্ষক, মহামানব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি পাকিস্তান সৃষ্টিলগ্ন থেকেই চিন্তা করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের কথা। যে পাকিস্তানের সৃষ্টির জন্য তিনি ...
স্কোয়াড্রন লিডার (অবঃ) সাদরুল আহমেদ খান: ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল মুজিবনগর সরকার নামে পরিচিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় এবং ১৭ এপ্রিল তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমায় শপথ গ্রহণ করে। এটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম সরকার। ১৯৬৮ সালের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সাথে মুজিবনগর সরকারের রয়েছে গভীর যোগসূত্র। বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশের জন্য পরিকল্পনা করেছি...
ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি আজ এক বিবৃতি প্রদান করেছেন। বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন, বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে ২৪ জানুয়ারি এক ঐতিহাসিক দিন। এই দিনে তৎকালীন স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের পতনের লক্ষ্যে দুর্বার গণআন্দোলন শ...
আগামীকাল ২৪ জানুয়ারি ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাঙালির দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ৬৯’-এর গণঅভ্যুত্থান একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালির মুক্তির সনদ ৬-দফা ভিত্তিক গণ-আন্দোলনের আদর্শকে ধারণ করে অগ্রসরমান সংগ্রামের পথপরিক্রমায় ১৯...
১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঐতিহাসিক 'ছয় দফা' ঘোষণার পর বাঙালি জাতির একক নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মার্চের কাউন্সিলে দলের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর, 'বাঙালির মুক্তির সনদ' ছয় দফার পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে দেশজুড়ে ছুটতে থাকেন বঙ্গবন্ধু। সেই ধারাবাহিকতাতেই আপামর জনতার পাশাপাশি, সরকারি কর্মকর্তা ও সেনাসদস্যদের একটি অংশ বঙ্গব...
সুলতান মাহমুদ শরীফঃ ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় বিভক্ত হিন্দু মুসলমানদের জন্য পৃথক পৃথক রাষ্ট্র পাকিস্তান ও হিন্দুস্তান সৃষ্টি হলো। হিন্দুস্তানকে নাম পরিবর্তন করে তারা ভারতবর্ষ নাম দিলো। ভারত ভাগের অনেক আগে ১৯০৬ সালে ঢাকায় নবাব স্যার সলিমুল্লাহর তত্ত্বাবধানে মুসলিম লীগ সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪০ সালের ২৩শে মার্চ লাহোরে মুসলিম লীগ সম্মেলনে...
'ছয় দফাঃ বাঙালির মুক্তির সনদ' | ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে বিশেষ ওয়েবিনার আলোচকবৃন্দঃআমির হোসেন আমু এমপিকেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্রএবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ডঃ রেহমান সোবহানস্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ, এবং সদস্য, প্রথম পরিকল্পনা কমিশন অজয় দাশগুপ্তএকুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অধ্যাপক শান্তনু মজুমদারশিক্ষক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগঢাকা ব...
জয়ন্ত বসাকঃ ‘‘আপন ধন পরকে দিয়ে / দৈবজ্ঞ মরে কাঁথা বয়ে“ (পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ, ১৯৫৭)। পশ্চিম পাকিস্তানী আধিপত্যবিহীন একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র অর্জন ও অর্থনীতিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি সমাজ প্রতিষ্ঠাই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমগ্র জীবনের সাধনা। ১৯৬৬ সালে সেই স্বাধীনতারই রূপরেখা প্রণয়ন করেন ...
মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন সম্রাটঃ একটি গাভী সতেজ সবুজ ঘাস খাচ্ছে পূর্ব পাকিস্তানে, আর সেই গাভীটির দুধ দোহন হচ্ছে পশ্চিম পাকিস্তানে। পাকিস্তানে পূর্ব বাংলার মানুষ কীভাবে শোষিত-বঞ্চিত হচ্ছে, ছয় দফার প্রচারকালে এমন এক পোস্টারে তা প্রতীকী অর্থে দেখানো হয়েছিল। ছয় দফা হলো নিষ্পেষিত ও নিপীড়িত বাঙালির পাকিস্তানি দুঃশাসন থেকে মুক্তিচেতনার বহিঃপ্রকাশ।সরাসরি যদিও স্বাধীনতার কথা বল...
শাহাদাৎ হোসেন: ঐতিহাসিক ৭ জুন আজ। বাঙালি জাতির মুক্তির সনদের ৬ দফা দিবস। বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক অনন্য প্রতিবাদী ও আত্মত্যাগের সংগ্রামী দিন এটি। স্বাধীনতার মহান স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের অন্যতম গৌরবময় অধ্যায় হলো এই ৬ দফা আন্দোলন। এই ৬ দফা আন্দোলন দিয়েই শেখ মুজিবুর রহমান পরিচিতি পান বঙ্গবন্ধু হিসেবে। বাঙালির ইতিহাসে হাজার বছরের...
মহসিন খানঃ ১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে পরাজিত হওয়ার পর প্রায় ২০০ বছর কেটেছে শোষণ, নিষ্পেষণ, নির্যাতনে। ১৯৪৭ সালে একটি অনিয়ন্ত্রিত ইতিহাসের শেষ মিনিটের বিশেষ ছাড়ের মাধ্যমে জন্মলাভ করে পাকিস্তান ও ভারত নামক দুটি রাষ্ট্র। দেশ ভাগ হলেও পূর্ব বাংলার মানুষের মাথার উপর থেকে আকাশের কালো মেঘ তখনো কাটেনি। প্রায় ১২০০ মাইল দূরের পশ্চিম পাকিস্তান সরকার এ দেশের মানুষের উপর অ...
বিনয় দত্তঃ ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু ৬ দফা ঘোষণা করেছেন। এই ৬ দফা সেইসময় সবার কাছে যে স্পষ্ট ছিল তা কিন্তু নয়। এইটা বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন তাই সেইসময় ‘আমাদের বাঁচার দাবি: ৬-দফা কর্মসূচী’ শীর্ষক একটি প্রচারপত্র প্রকাশ করা হয়। এটি প্রকাশিত হয় ৪ঠা চৈত্র, ১৩৭২; ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৬। এই প্রচারপত্র প্রকাশের উদ্দেশ্য হলো, যাতে সবাই ৬ দফা সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখে এবং এত...
প্রকৌশলী আজিজ সারতাজ জায়েদ: পাকিস্তানের অবৈধ রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আইয়ুব খান ১৯৫৮ সাল থেকে ক্যু দে-তা’র বদৌলতে ক্ষমতা কুক্ষীগত করেন ১৯৬৯ সালের ২৬ মার্চ অবধি। পাকিস্তান মুসলিম লীগের একাংশকে নিজের আয়ত্বে এনে তিনি নতুন দল বানালেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কনভেনশন) এবং ২ জানুয়ারি, ১৯৬৫ তারিখের অনুষ্ঠিতব্য ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতির নির্বাচনে প্রার্থী হলেন সে দলের প্রতীকে...
অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ ছেষট্টির আগে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে আরো ‘অ্যাজেন্ডা’ ছিল। কিন্তু ৬ দফা ঘোষণা দেওয়ার পর ‘জাতীয়তাবাদে’র বিষয়টি একমাত্র অ্যাজেন্ডায় পরিণত হয়। এই এক ‘অ্যাজেন্ডা’ দিয়েই আন্দোলন-সংগ্রাম করে একাত্তরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ।ো ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর প...
আব্দুর রহমান: বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষে ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে 'ছয় দফা দাবি' পেশ করেন। ৪ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিব পাকি...