1391
Published on জুন 9, 2021সুলতান মাহমুদ শরীফঃ
১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় বিভক্ত হিন্দু মুসলমানদের জন্য পৃথক পৃথক রাষ্ট্র পাকিস্তান ও হিন্দুস্তান সৃষ্টি হলো। হিন্দুস্তানকে নাম পরিবর্তন করে তারা ভারতবর্ষ নাম দিলো।
ভারত ভাগের অনেক আগে ১৯০৬ সালে ঢাকায় নবাব স্যার সলিমুল্লাহর তত্ত্বাবধানে মুসলিম লীগ সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪০ সালের ২৩শে মার্চ লাহোরে মুসলিম লীগ সম্মেলনে পাকিস্তান প্রস্তাব গৃহীত হয়। এটি ইতিহাসে লাহোর প্রস্তাব নামে খ্যাত। এই প্রস্তাব উপস্থাপন করেন তখনকার বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেরে বাংলা এ. কে ফজলুল হক। যে প্রস্তাব গৃহীত হয় তাতে বলা হয়েছিলো যে ভারতের যে,যে অংশে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা আছে সেখানে ওইসব এলাকা নিয়ে একেকটি পৃথক রাষ্ট্র হবে। ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ এবং পূর্বাঞ্চলে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ দুটি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে বিবেচিত হবে এবং এদের প্রত্যেকটিই সার্বভৌম রাষ্ট্র হবে। পাকিস্তান সত্য সত্যই যখন হলো তখন পাঞ্জাব, সিন্ধ, বেলুচিস্তান ও উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ নিয়ে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশকে নিয়ে নিজ নিজ নাম রক্ষা করে পশ্চিম পাকিস্তান হিসাবে নাম দেওয়া হলো এবং পূর্বাঞ্চলের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাকে পূর্ব বাংলা নাম দেয়া হলো যা পরে পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিণত করা হলো। কিন্তু লাহোর প্রস্তাবের মূল প্রতিপাদ্যকে অবজ্ঞা করে দুইটি পৃথক রাষ্ট্র না হয়ে এক রাষ্ট্র হিসাবে এই নতুন রাষ্ট্রটি শাসকরা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর নেতৃত্বে প্রথম থেকেই পরিচালিত করলো। সেই থেকেই অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, বিভেদে জড়িয়ে পড়লো পাকিস্তান। রাষ্ট্র ক্ষমতা পশ্চিম পাকিস্তানী মূলত পাঞ্জাবীদের হাতে চলে গেলো। এর ফলে পূর্ব বাংলার সমস্ত সম্পদ লুট করা শুরু হলো, আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা পশ্চিম পাকিস্তানের প্রয়োজনে ব্যবহৃত হতে লাগলো। রাষ্ট্র পরিচালনায়, সরকারী চাকুরীতে, সামরিক বাহিনীতে বাঙালিদের যদিও ৫৮ ভাগ অংশীদারিত্ব থাকার কথা ছিলো প্রথমদিন থেকেই, সেখানে ৩-৪% থেকে আরম্ব করে সর্বাধিক কোথাও কোথাও ১৫% এর উপরে কোন অংশীদারিত্ব রইলো না। কিন্তু রাষ্ট্রের সমস্ত ব্যয়ের খরচের সিংহভাগ পূর্ব বাংলাকে বহন করতে হলো। দিনে দিনে বাংলার মানুষ দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হতে লাগলো। আর বাংলার সম্পদ লুট করে পশ্চিম পাকিস্তানীরা ধনী থেকে আরো ধনী হতে লাগলো। এই প্রেক্ষাপটেই ১৯৬৫ সালে যুদ্ধবাজ পাকিস্তান ও ভারত একে অন্যকে আক্রমণ করে উপমহাদেশে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করলো। এই যুদ্ধ চলাকালে পূর্ব বাংলা সম্পূর্ণরূপে অরক্ষিত রয়ে গেলো। কারণ এখানে না ছিলো সেনাবাহিনী, না ছিলো অস্ত্রশস্ত্র, না ছিলো প্রশিক্ষিত জনবল, না ছিলো বহির্বিশ্বের হাত থেকে প্রতিরক্ষার কোন ব্যবস্থা।
এই অবস্থার মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাঙালির স্বাধিকার রক্ষার তাগিদেই আমাদের বাঁচার দাবি সম্বলিত ৬ দফা কর্মসূচী ঘোষনা করে ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে লাহোরে। যুদ্ধ পরবর্তী অবস্থায় পাকিস্তানের সকল রাজনৈতিক দলের উদ্যোগে ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে লাহোরে একটি সর্বদলীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পূর্ব বাংলার বাঁচার দাবি সম্বলিত ৬ দফা প্রস্তাব পেশ করা হয়। সম্মেলণের আয়োজকরা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান কনফারেন্স স্থল সদলবলে ত্যাগ করেন ও পূর্ব বাংলায় ফিরে এসে ২০ শে মে ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং ডেকে এই ছয় দফা প্রস্তাব পাস করিয়ে নেন।
পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন আইয়ুব সরকার এই আন্দোলনের বিরোধীতা করে শেখ মুজিবুর রহমানকে বারবার নানা অজুহাতে জেলে নিক্ষেপ করতে থাকে। এই সময় বাংলার জনগণের সাথে মিলে বাংলা দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকা জোরালোভাবে ৬ দফার পক্ষে প্রচারণা শুরু করে। যার ফলে ছয় দফা প্রকৃতপক্ষেই বাঙালির বাঁচার দাবিতে পরিণত হয়। ৬৬ সালের ১৮ থেকে ২০শে মার্চ আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তাজ উদ্দীন আহমদকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি গঠণ করা হয়। ঐ কনফারেন্সেই ৬ দফার ভিত্তিতে দলীয় গঠণতন্ত্র সংশোধন করা হয়। পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ এই পর্যায়ে ৬ দফা বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন শুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে বারবার জেলে নিক্ষেপ করা হয়। ২০শে মে ১৯৬৬ আওয়ামী লীগ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বঙ্গবন্ধু সহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি দাবি করে ৭ই জুন হরতালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৭ই জুনের হরতাল চলাকালে পুলিশের গুলিতে ঢাকার তেজগাও, নারায়নগঞ্জ ও খালিশপুরে বিক্ষোভরত শ্রমিকদের উপর গুলিবর্ষণের ফলে ১১ জন শ্রমিক শহীদ হন এবং প্রায় ৮০০ শ্রমিক কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রবাসে ৬ দফা দাবির সমর্থণে বৃটেনের বিভিন্ন শহরে অবস্থানরত বাঙালিরা সভা সমাবেশ ও বিক্ষোভ শুরু করে। তারা ৬ দফা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করতে, পাকিস্তান দূতাবাসে প্রতিনিয়ত বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। বৃটেনের পাকিস্তান ছাত্র ফেডারেশন ৬ দফার পক্ষে প্রস্তাব এনে পাকিস্তান দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রদান করে। ৬৬'র ৭ ই জুনের হত্যাও নির্যাতনের প্রতিবাদ করে বারবার মিছিল সহকারে দূতাবাসে গিয়ে এই অত্যাচার বন্ধ করার দাবি জানানো হয়। এই আন্দোলনের এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামী করে "আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা" নাম দিয়ে পাকিস্তান সরকার ' ডিফেন্স অব পাকিস্তান এ্যাক্ট ' এর আওতায় একটি দেশদ্রোহ মামলা রুজু করে। আসামী করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ ৩৫ জন বাঙালি সামরিক ও বেসামরিক উর্দ্ধতন নেতৃস্থানীয় কর্মকর্তাদের। এই মামলা পরিচালনার জন্য তারা একটি স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল করে বিচারকার্য শুরু করে। প্রবাসী বাঙালিরা একদিকে এই হঠকারী মামলার বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করার দাবি জানায়। অন্যদিকে প্রবাসী বাঙালিদেরকে একত্রিত করে বিশ্ব জনমত সৃষ্টি করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয় এবং ছয় দফা ছাপিয়ে তার ই্ংরেজী সংস্করণ বিলি করতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিচার শুরু হলে লন্ডন থেকে আইনজীবী পাঠিয়ে তার পক্ষ সমর্থণ করার আয়োজন করে। শেখ মুজিব ডিফেন্স ফান্ড গঠণ করে মামলার খরচ বহন করার জন্য চাঁদা আদায় করা শুরু করে এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবি স্যার থমাস উইলিয়াম এমপিকে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এই প্রচেষ্টার প্রথম পর্যায়ে স্যার থমাসকে পাকিস্তানে যাওয়ার ভিসা দিতে সরকারের অনীহা ও অবশেষে প্রত্যাখ্যান, প্রবাসীদের বিচলিত করে তোলে। বারবার পাকিস্তান দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেও যখন পাকিস্তান সরকারকে স্যার থমাস উইলিয়ামের যাওয়া ও আগরতলা মামলার আসামীদের পক্ষ সমর্থণ করে এই মিথ্যা মামলায় আইনী পরামর্শ দেয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়, তখন প্রবাসে অবস্থানরত পূর্ব বাংলার ছাত্রজনতার উদ্যোগে এক পর্যায়ে আমরা বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণের প্রচেষ্টায় পাকিস্তান দূতাবাস জোরপূর্বক দখল করি। এর ফলে সেদিনের ব্রিটেনের সবচেয়ে প্রভাবশালী পত্রিকা টাইমসের প্রথম পৃষ্ঠায় ব্যানার হেডলাইনে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বন্দী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যায় বিচারের প্রচেষ্টা ও বাংলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার দাবিয়ে রাখার আইয়ুবের সামরিক জান্তার অগণতান্ত্রিক প্রচেষ্টার খবর ঐ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বিশ্ববাসী সেইদিন থেকে বিষদভাবে জানতে পারে যে বাংলার মানুষের উপর কি অপরিসীম নির্যাতন হচ্ছে এবং বাংলাদেশ কার্যত একটি কারাগারে পরিণত হয়েছে। এই খবর প্রচারিত হওয়ার পর পাকিস্তান সরকার স্যার থমাস উইলিয়ামকে ঢাকায় গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত থেকে এই বিচার প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করার ছাড়পত্র প্রদান করে।
স্যার থমাস ঢাকায় গিয়ে স্থানীয় আইনজীবিদের নিয়ে, এই মামলার সামরিক আদালতে অথবা বিশেষ কোন সামরিক আদালতে, বেসামরিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোন মামলা করার অধিকার পাকিস্তানের শাসনতন্ত্রে কাউকেই দেয়ার দেয় নাই বলে দাবি করেন। যে বিশেষ ট্রাইবুনালে এই বিচারকার্য পরিচালিত হচ্ছিলো সেই আদালতের বিচার করার অধিকার আইনানুগভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেন। দেশব্যাপী আইয়ুববিরোধী আন্দোলন ও হঠকারী মামলার বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন বিস্ফোরক আকার ধারন করে। মামলার প্রধান বিচারপতি রাতের অন্ধকারে পালিয়ে পাকিস্তানে চলে যায় এবং মামলাটি তখন মুখ থুবড়ে পড়ে যায়।
শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান করে " আগরতলা মামলা" শুরু হলে সারা বাংলাদেশ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ঢাকা চট্টগ্রাম, রাজশাহী , খুলনা বরিশালকে কেন্দ্র করে সারা বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ ও আওয়ামী লীগের নেতাকমীদের নেতৃত্বে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। পাকিস্তান সরকার ও মুসলিম লীগের পেটোয়া বাহিনী আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে এই আন্দোলন ব্যর্থ করার চেষ্টা করে, কিন্তু লক্ষ লক্ষ জনগণ প্রতিবাদী হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। প্রতিদিন অগণিত ছাত্র, কৃষক ও শ্রমজীবি মানুষ অত্যাচারিত, নিগৃহীত ও বর্বোরিচত হত্যার শিকার হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সহযোগী সকল আসামীদেরকে আইয়ুব সরকার বিনাশর্তে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। আইয়ুব শাসনের অবসান ঘটে ও আরেক সামরিক অফিসার ইয়াহইয়া খান রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। এর ফলেই ১৯৭০ সালে ইয়াহইয়া খানের তত্ত্বাবধানে পাকিস্তানের প্রথম এবং শেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে সারা পাকিস্তানে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে নির্বাচিত হয়। পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ প্রায় সকল আসন দখল করে। ইয়াহিয়া খান জনপ্রতিনিধিদের কাছে রাষ্ট্রক্ষমতা হস্তান্তরে সর্বপ্রকার বাঁধার সৃষ্টি করে। জুলফিকার আলীর ভূট্টোর সহযোগীতা নিয়ে বাংলাদেশকে সামরিক বাহিনীর পুরোপুরি আয়ত্তে নিয়ে আসার জন্য ২৫শে মার্চ ১৯৭১ সালের সন্ধ্যা থেকে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। ২৫, ২৬ ও ২৭ শে মার্চের মধ্যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে লক্ষাধিক নারী, শিশু ও সাধারণ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরে বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার জনগণকে ডাক দেন পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে এবং একইসাথে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করেন। সে রাতেই তাঁর ধানমন্ডির বাড়ি থেকে বন্দী করে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানী কারাগারে নিয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে বাংলার জনগণ দেশকে মুক্ত করার মরণপন সংগ্রামে লিপ্ত হয়। এই দীর্ঘ সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমেই আমরা দেশকে স্বাধীন করি। ছয় দফা আন্দোলন এবং এর যুক্তিযুক্ততা এমনভাবে বিশ্ববাসীকে ও বাংলার মানুষকে একত্রিত করেছিল যে আমরা পৃথিবীর সকল ন্যায়বান মানুষের সাহায্য সহযোগীতা ও সমর্থণ নিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরে পাকিস্তানকে পরাজিত করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলাম। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জোর্তিময় পুরুষ বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত করিয়ে বাংলার জনগণ দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুকে প্রধান করে নতুন স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয় ও অবশেষে বিদেশী শত্রুমুক্ত হয়। বাঙালির নিজেদের একটি দেশ তখন থেকেই হলো।
লেখক : সভাপতি, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ