নিবিড় নজরদারিও রুখতে পারেনি অনন্য উত্থান

অজয় দাশগুপ্তঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ। আর কয়েকদিন পরেই (২০১৯, ১৭ মার্চ) তিনি শতবর্ষে পা দেবেন। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের ৭ মাসের মধ্যেই (১৯৪৮, ১১ মার্চ) তিনি বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে হরতাল পালন করতে গিয়ে জেলে গেলেন। তখন তার বয়স ২৮ বছরও পূর্ণ হয়নি। অথচ সদ্যোজাত পাকিস্তান রাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগ বা ইন্টে...

অগ্নিঝরা মার্চঃ পরিস্থিতি মোকাবেলায় কন্ট্রোল রুম

তোফায়েল আহমেদঃ ৫ মার্চ ১৯৭১। এই দিন হরতাল কর্মসূচি পালনকালে টঙ্গীতে সেনাবাহিনীর গুলিবর্ষণে ৬ জন নিহত ও ৩৫ জন আহত হন। খুলনা ও রাজশাহীতেও যথাক্রমে ২ জন ও ১ জন নিহত হন। টঙ্গীতে ২০ হাজারেরও বেশি শ্রমিক স্বাধিকার আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে সেনাবাহিনী নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিকেলে আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে বায়...

ক্ষুধামুক্তির সংগ্রামে জয়

অপূর্ব আজাদঃ পাল্টে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে ক্ষুধা আর দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। ১৭ কোটি মানুষের এই জাতির লক্ষ্য এখন মধ্য আয় এবং সেখান থেকে উন্নত বিশ্বের সোপানে ওঠা। বাংলাদেশকে একসময় বলা হতো ক্ষুধার দেশ, দুর্ভিক্ষের দেশ। সেই শায়েস্তা খানের আমলে টাকায় যখন ৮ মণ চাল পাওয়া যেত তখনো এ দেশে দুর্ভিক্ষ ও মঙ্গায় মানুষ প্রাণ হারাত। ব্রিটি...

১৯৭১, বরিশালের কাঠিরা গণহত্যা

বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের ছোট একটি গ্রাম কাঠিরা। স্বাধীনতার পূর্বে একটি সাধারণ হাটবাজার ছাড়া আগৈলঝাড়ার পরিচয় দেয়ার মতো বিশেষ কিছু ছিল না। কাঠিরা ছিল খুব সাধারণ একটি গ্রাম, যা চারদিক থেকে বিল দিয়ে ঘেরা। তাই কাঠিরাকে প্রত্যন্ত বিলাঞ্চলই বলা যায়, যেখানে বর্ষাকালে নৌকা ছাড়া চলাচলের আর কোন পথ ছিল না। যদিও পাকিস্তানী বাহিনীর আক্রমণের সময় কাঠিরা...

১৯৭১, খুলনার আজগড়া গণহত্যা

আরিফ রহমানঃ অপারেশন সার্চলাইট নাম দিয়ে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশে গণহত্যা শুরু করে। বাঙালীর স্বাধিকারের দাবিকে চিরতরে নির্মূল করতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা এ কার্যক্রম চালায়। দীর্ঘ নয় মাস বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও তাদের সহায়তাকারী দালালরা ৩০ লাখ মানুষ হত্যা করে। ৬ লাখ না...

মুক্তির মন্ত্রে জ্বলন্ত মার্চ

ড. শফিক আশরাফঃ বাংলায় ফাগুন এলেই প্রকৃতিতে আগুন জ্বলে। চারদিকে শিমুল-পলাশের মতো আগুন রঙা ফুল দেহ ও মনে একটি বিপ্লবী বার্তা ছড়ায়। মার্চ মাস এই ফাল্গুনকে বুকে নিয়ে গৌরব ও ইতিহাসকে জড়িছে রেখেছে। মার্চকে আমরা ডাকি স্বাধীনতার মাস বলে। মার্চ মাস প্রচুর ঘটনাবহুল। বিগত হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙালির যত জাগরণের কথা স্মরণ করা যায়, মার্চের জাগরণের সঙ্গে তার কোনো তুলনা চল...

অসহযোগ আন্দোলন থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা

তোফায়েল আহমেদ: 'মার্চ' আমাদের স্বাধীনতার মাস। ১৯৭১-এর মার্চ বাঙালি জাতির জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফেব্রুয়ারি যেমন আমাদের ভাষার মাস, মার্চ তেমনি আমাদের স্বাধীনতার মাস। '৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারি থেকে '৭১-এর ছাব্বিশে মার্চ পর্যন্ত জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের প্রতিটি দিনই ছিল সংগ্রামমুখর। আর '৭১-এর মার্চ মাসের প্রতিটি ক্ষণ, প্রতিটি মুহূর্ত ছিল বৈপ্লবিক। প্রতি বছর মার্চ মাস এলেই ম...

উত্তাল মার্চ ১৯৭১- বাংলার জনগণ ইয়াহিয়ার ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছে: বঙ্গবন্ধু

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১৯৭১ সালের ১ মার্চ হঠাৎ এক বেতার ভাষণে ৩ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠেয় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। তার এই ঘোষণায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে দলমত নির্বিশেষে ঢাকার সব শ্রেণিপেশার মানুষ। তারা ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে আসে। শহরের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। ইয়াহিয়া খান তার সিদ্ধান্তের পক্ষে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, পাকিস্তানের ...

স্বাধীনতার ঘোষণা এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রঃ প্রফেসর ড. এম শাহ্ নওয়াজ আলি

স্বাধীনতা মানুষের আজন্ম পিপাসা। আর এ পিপাসা থেকেই জন্ম নেয় সংগ্রামী চেতনার। এ সংগ্রামী চেতনাবোধই মানুষের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির পথকে সুগম করে স্বাধীনতা অর্জনে উদ্বুদ্ধ করে। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটি সৃষ্টি হওয়ার পর বাঙালি জাতির ওপর নেমে আসে আরেকটি নব্য উপনিবেশবাদ। দীর্ঘ ২৩ বছর পাকিস্তানি শাসন ও শোষণের শেষ প্রহর এই অগ্নিঝরা মার্চ। ৭...

পাকিস্তানিদের খুশি করাই ছিলো জিয়া, খালেদা জিয়ার এজেন্ডাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ’৭৫-পরবর্তী সরকারগুলো পাকিস্তানী জান্তার এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী ছিলো বলে অভিযোগ করে বলেছেন, তারা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর যে এজেন্ডা ছিলো ভিন্নভাবে সেটাই বাস্তবায়ন করে যাচ্ছিল। তিনি বলেন, ‘এ দেশ দরিদ্র থাকুক, এ দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হোক। আর বাংলাদেশ যদি ব্যর্থ রাষ্ট্র হয় তাহলে পাকিস্তান খুশী হবে।’ তিনি বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর ...

মার্চ মাস আনন্দ বেদনার মাসঃ সমরজিত রায় চৌধুরী

একাত্তরের মার্চ মাসটি ছিল আনন্দ-বেদনার মাস। একদিকে যেমন দখলদার পাক বাহিনীর হাজারো অমানবিক নির্যাতনের ঘটনা, তেমনি আমরা পেয়েছি গৌরবময় স্বাধীনতার ঘোষণা। আজ স্বাধীনতার এই মাসে প্রথমেই স্মরণ করি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন অনেক কঠিন সময়ের মাঝখানে। আমরা তার অটল সিদ্ধান্তের জন্যই স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছি। ১ মার্চ থেকে ৭ মার্চ ...

সর্বপ্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ ১৯ মার্চঃ আ ক ম মোজাম্মেল হক

১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ ছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। সেদিন পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধযুদ্ধ শুরু করেছিল গাজীপুরের (সেই সময়ের জয়দেবপুর) বীর জনতা। সেদিন বঙ্গবন্ধুর ডাকে লাঠি-ছেনি ও গাদা বন্দুক নিয়ে গর্জে উঠেছিল জয়দেবপুরের জনগণ। একপর্যায়ে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন তিনজন বীর বাঙালি। আহত হয়েছিলেন শত শত স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষ। জয়দেবপুর...

আক্কেলপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ জনগণ হত্যাঃ লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির

১৯৭১-এর ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালির স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা অঙ্কুরে বিনাশ করতে চেয়েছে নজিরবিহীন গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞে। গণহত্যা ঢাকা থেকে ছড়িয়ে পরবর্তী নয় মাসে সমগ্র বাংলাদেশে অব্যাহত ছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ লাখ কিংবা আরো বেশি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এ পর্যন্ত পাঁচ হাজারের অধিক বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এক হাজার বধ্যভূমি চিহ্নিত। আফ...

রুহিয়া ইউনিয়নের রামনাথ হাটের গণহত্যাঃ লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির

১৯৭১-এর ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা অঙ্কুরে বিনাশ করতে চেয়েছে নজিরবিহীন গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞে। গণহত্যা ঢাকা থেকে ছড়িয়ে পরবর্তী নয় মাসে সমগ্র বাংলাদেশে অব্যাহত ছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ লাখ কিংবা আরো বেশি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এ পর্যন্ত পাঁচ হাজারের অধিক বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এক হাজার বধ্যভূমি চিহ্নিত। আফস...

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি এবং প্রাসঙ্গিক কথাঃ ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

বিশ্বের ইতিহাসে প্রতিষ্ঠিত সত্য হচ্ছে বাঙালী জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের সমন্বিত ফসল আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জন। বঙ্গবন্ধুর প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে বহু ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং রক্তের বিনিময়ে সংঘটিত মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে ছিল বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রাম...

গেটিসবার্গ থেকে রেসকোর্সঃ সৈয়দ জিয়াউল হক

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়ক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জাতীয় জীবনের ক্রান্তিলগ্নে ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জনগণের উদ্দেশে বক্তৃতা দিয়ে থাকেন। এর মধ্যে কোন কোন বক্তৃতা স্থান ও সময়কে অতিক্রম করে কালজয়ী হয়ে থাকে। ১৮৬৩ সালের ১৯ নবেম্বর গেটিসবার্গে দেয়া আব্রাহাম লিংকনের বক্তৃতা, ১৮১৪ সালের ২০ এপ্রিল ইম্পেরিয়াল গার্ড রেজিমেন্টের উদ্দেশে নেপোলিয়ান বোনাপার্টের ভাষণ, দ্বিতীয় বিশ্...

খুলনা রেলওয়ে ওয়ার্কশপের লোকোশেডে গণহত্যাঃ লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির

১৯৭১-এর ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালির স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা অঙ্কুরে বিনাশ করতে চেয়েছে নজিরবিহীন গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞে। গণহত্যা ঢাকা থেকে ছড়িয়ে পরবর্তী নয় মাসে সমগ্র বাংলাদেশে অব্যাহত ছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ লাখ কিংবা আরো বেশি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এ পর্যন্ত পাঁচ হাজারের অধিক বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এক হাজার বধ্যভূমি চিহ্নিত। আফ...

বঙ্গবন্ধুর ছবিকে স্যালুট করতেন জেনারেল উবানঃ আখতারউজ্জামান

১৯৭১ সালের এপ্রিলের দ্বিতীয় ভাগে আগরতলা পৌঁছাই বিলোনিয়া হয়ে। ফজলুল হক মনির সঙ্গে দেখা শ্রীধর ভিলায়। মনি ভাই বললেন, আবার দেশে যেতে হবে। কী কারণে আসতে হবে বুঝিয়ে দিলেন। তত দিনে প্রবাসী সরকার গঠিত হয়ে গেছে। আমি দিন কয়েক বিশ্রাম নিলাম। প্রবাসী সরকার দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে একটি প্রচারপত্র ছেপেছে। ফজলুল হক মনি বললেন, প্রচারপত্র দেশের ভেতর বিলি করতে হবে। এ ছ...

মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ছিল একটি সেক্টরঃ অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী

১৯৭১ সালে মার্চ মাসটি ছিল আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাস। এই মাসটিতে আমরা বাঙালিরা একত্রিত হয়ে প্রমাণ করেছিলাম– আমরা বাঙালি, আমরা বীরের জাতি। যে আহবানটি আমাদের জানিয়েছিলেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তাঁর ৭ই মার্চের ভাষণে এবং সেই আহবানেই সারা দিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। ২৬শে মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট থেকে কয়েকজন বীর শব্দসৈনিক স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী...

কষ্টের সময়টাকে মুছে দিছে শেখের মাইয়াঃ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আশরাফুল করিম

লেখাটি যখন লিখছিলাম তখনই এলো খবরটি। বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফুল করিম বেঁচে নেই। বুকের ভেতরটা ধুপ করে ওঠে। দিন কয়েক আগেও মুঠোফোনে কথা হয়েছে তাঁর সঙ্গে। গেল ডিসেম্বরে গিয়েছিলাম তাঁর বাড়িতে। শুনেছি মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ নিয়ে বুকেজমা কষ্টের কথা। প্রকাশিত এ লেখাটি তিনি দেখে যেতে পারলেন না! দেশের স্বাধীনতাটা শুধু ভোগ করলাম আমরা। আশরাফুলের মতো পা হারানো যোদ্ধার জন্য তেম...