জাকির হোসেন: পাকিস্তান-মার্কিন চক্র বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার যে ‘ব্লুপ্রিন্ট’ তৈরি করেছিল, এর বাইরে ছিলেন না তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ওই সময় তারা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। ওইদিন তারা ঘাতকদের হাত থেকে রেহাই পেলেও বিদেশে তাদের হত্যা করতে চক্রান্তকারীদের ‘প্ল্যানিং সেল’ ছিল বেশ তৎপর। কিন্তু ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্র...
হায়দার মোহাম্মদ জিতু: কালের ইতিহাসে কোন কোন শাসকও যে জনগণের জন্যে কাতর-উদ্বিগ্ন ছিলেন এবং তাদের দুর্দশা লাঘবের জন্য সব ছেড়ে-ছুঁড়ে সংগ্রাম করেছেন তারই একখণ্ড উদাহরণ সফোক্লিসের ‘ঈদিপাস’ নাটক। যেখানে গ্রিক রাজা ঈদিপাস তার প্রাসাদ মুখে দাঁড়িয়ে দু’হাত প্রসারিত করে জনগণের দুর্দশাকে আলিঙ্গন করেছেন এবং তার থেকে উদ্ধারের পথ নির্মাণে নিজেকে উৎসর্গ করেছে...
এম নজরুল ইসলামঃ পূর্ণ স্বাধীনতা লাভের পরও একাত্তরের বিজয় দিবসে বাঙালীর একটি শূন্যতা ছিল। স্বজন হারানো মানুষের প্রিয় নেতা, যিনি গোটা স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যাঁর নির্দেশিত পথে গোটা জাতি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, তিনি পাকিস্তানের কারাগারে। দেশজুড়ে মানুষের প্রতীক্ষা, নেতা কখন ফিরবেন। ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে সেই আকাক্সক্ষা পূরণ হলো আমাদের। নেতা ফিরে এলেন বাং...
আবদুর রহমানঃ আজ ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডন ও দিল্লী হয়ে আজকের এই দিনে তিনি তাঁর স্বপ্নের স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় পরিপূর্ণতা লাভ করে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে পাকিস্...
জাহাঙ্গীর আলম সরকারঃ আজ ১০ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পথিকৃৎ এবং বাঙালি জাতির অবিসংবাদী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের এই দিনে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। দীর্ঘ নয় মাস পাকিস্তান কারাগারে বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে স্বদেশের মাটিতে এসে তিনি আবেগ বিহ্বল হয়ে পড়েন। সশস্ত্র সংগ্রাম ও ...
১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঐতিহাসিক 'ছয় দফা' ঘোষণার পর বাঙালি জাতির একক নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মার্চের কাউন্সিলে দলের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর, 'বাঙালির মুক্তির সনদ' ছয় দফার পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে দেশজুড়ে ছুটতে থাকেন বঙ্গবন্ধু। সেই ধারাবাহিকতাতেই আপামর জনতার পাশাপাশি, সরকারি কর্মকর্তা ও সেনাসদস্যদের একটি অংশ বঙ্গব...
শাহাব উদ্দিন মাহমুদঃ ‘আজ আমি বেঁচে আছি, কাল নাও থাকতে পারি। আমি আমার দেশের মানুষের সেবা করতে পেরেছি, এটা আমার জন্য অনেক বড় সান্ত¡না। আমি যদি মারা যাই, আমার রক্তের প্রতিটি ফোঁটা ভারতকে শক্তিশালী করবে।’ উড়িষ্যায় এই বক্তব্য প্রদানকালে ইন্দিরা গান্ধী জানতেনও না এটাই জনতার সামনে তার শেষ বক্তব্য। এই জনসভার ঠিক একদিন পর ৩১ অক্টোবর ১৯৮৪ সালে দেহ...
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ জনগণের মধ্যে সংযুক্তি, ব্যবসা, বাণিজ্য এবং দু’দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগের উপর মনোনিবেশ করে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে কাজ করার জন্য পুনরায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কের গুরুত্বে বিশ্বাস করে চলেছি। একই সঙ্গে এই বর্ষপূর্তি আমাদের দ্বিপাক্ষিক ...
১৯৭১ সাল। এখনকার মতো ফেসবুক, ইউটিউব বা কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছিল না। ফলে বাংলার মাটিতে প্রকৃতপক্ষে কী ঘটছে বাইরে থেকে তার সঠিক তথ্য পাওয়া ছিল খুবই কঠিন। স্যাটেলাইট টিভিতেও এই সংবাদ সম্প্রচার করা ছিল দূরহ ব্যাপার। শুধু কয়েকটি আন্তর্জাতিক পত্রিকার মাধ্যমে টুকটাক অল্প কিছু তথ্য জানতে পারছিল ইউরোপ-আমেরিকা-আফ্রিকার জনগণ। ঠিক এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে বাঙালি জ...
১৯৭৩ সালের ২৫ আগস্ট সন্ধ্যায় গণভবনে বিভিন্ন বিভাগের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, দেশের প্রাপ্ত সম্পদ ও সমাজতান্ত্রিক আদর্শের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বর্তমানে ২২০৮টি বেতনের গ্রেড-কে কমিয়ে আনা হয়েছে। খবরে বলা হয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা মিছিল করে গণভবনে যান। কর্মচারীদের একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা...
হায়দার মোহাম্মদ জিতু: মিডিয়া এবং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে কন্টেন বানানোর ক্ষেত্রে প্রি প্রোডাকশন, প্রোডাকশন এবং পোস্ট প্রোডাকশন, এই তিন ধাপে কাজ করা হয়। যেখানে প্রথম ধাপে পরিকল্পনা, দ্বিতীয় ধাপে প্রয়োগ এবং তৃতীয় ধাপে পর্যবেক্ষণ-ফলাফল হিসেব করা হয়। এই হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালীর জীবন যৌবনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রয়োগের যুদ্ধও শুরু ...
হোসেন আবদুল মান্নানঃ জন্মশতবর্ষের বর্ণাঢ্য আয়োজনে চারদিকে বাঙালির আবেগ, উচ্ছ্বাস, ঐক্য ও জয়গানের প্রতিধ্বনি শুনছি। এ মাহেন্দ্র সময়ে তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশসহ বিশ্বের দেশে দেশে বাঙালিরা স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যোগে ও উৎসবমুখর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্মরণ করছে জাতির পিতাকে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত শত সংগীতের বন্দনায় আজ অভিষিক্ত হচ্ছেন তিনি। ক্ষণগণনায় ১৭ মার্চ, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ১০১ বছর হ...
১৯৭১ সাল। বাংলাদেশে যখন মুক্তিযুদ্ধ চলছিল, তখন পড়শি দেশ হিসেবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ভারত। বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের প্রতি ভারতের সরকার ও গণমানুষের সহযোগিতার ইতিহাস তাৎপর্যপূর্ণ। সেসময় প্রায় এক কোটি মানুষ প্রাণের তাগিদে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আশ্রয় নেয় ভারতে। শুধু তাই নয়, ভারত অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে পড়ে আমাদের স্বাধীনতার রক্তাস্নাত যুদ্ধে। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম...
বাবুল আনােয়ারঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন পুরােটা সময় পাকিস্তানের কারাগারে আটক ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে তাকে তার ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবন থেকে পাকিস্তানি বাহিনী গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। গ্রেফতার হওয়ার আগেই তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘােষণা করেন এবং তা ওয়ারলেস যােগে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা জহুর...
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর কন্যা শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্বজুড়ে জনমত সৃষ্টি করতে অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। পাকিস্তানি হানাদাররা যখন এদেশের লাখ লাখ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এটিকে গৃহযুদ্ধ বলে চালানোর চেষ্টা করছিল, তখন একমাত্র ইন্দিরা গান্ধী এর প্রতিবাদ করেছেন। ...
মঞ্চ থেকে প্রথা মাফিক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁর ভাষণ শেষ করলেন৷ জনতা ফেটে পড়ল৷ মাইকের সামনে তখন দীর্ঘদেহী মুজিবুর রহমান৷ তিনি এবার ইংরাজিতে বক্তব্য শুরু করলেন– ‘প্রাইম মিনিস্টার শ্রীমতি গান্ধী, লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান প্রেজেন্ট… এরপরেই জনতার প্রবল দাবি– ‘বাংলা…বাংলা’। একটু থেমে গেলেন বঙ্গবন্ধু৷ পাশ থেকে ইন্দিরা মুচ...
শেখ হাসিনাঃ গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকায় ঢাকায় আমরা এলাম ১৯৫৪ সালে। আমি আর কামাল। জামাল ছিল খুব ছোট। আর প্রথমবার আমরা এসেছিলাম ১৯৫২ সালে। তখন ভাষা আন্দোলন হয়। আব্বা ছিলেন জেলখানায়। তখন খবর পেলাম, আব্বার শরীর খুব খারাপ। তখন দাদা সিদ্ধান্ত নিলেন, আমাদের নিয়ে ঢাকা আসবেন, আমরা তখন নৌকায় করে ঢাকা এসেছিলাম। আমার দাদার বড় নৌকা ছিল। তাতে দুটি কামরা ছিল। তিন মা...
অধ্যাপক ডাঃ মামুন আল মাহতাবঃ বাঙালীর জাতীয় জীবনে সবচেয়ে গৌরবের মাসটি নিঃসন্দেহে ডিসেম্বর। কারণ ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টিয়ে নবেম্বর যখন পা দেয় ডিসেম্বরে, তখনই গোটা ক্যালেন্ডারটা শুধুই যেন লাল-সবুজ। এই ডিসেম্বরেই আজ থেকে ৪৮ বছর আগে হাজার বছরের পরাধীনতার শিকল ভেঙ্গে পৃথিবীর বুকে অভ্যুদয় ঘটেছিল একটি নতুন জাতি রাষ্ট্রের। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাঙালীরা পেয়েছিল একটি ...