বঙ্গবন্ধুর খুনিদের কিভাবে রক্ষা করেছিলো মুশতাক, জিয়া ও বিএনপি?

অজয় দাশগুপ্ত: বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৫ আগস্টের মতোই একটি কলঙ্কিত-কুখ্যাত দিন ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৫। এ অধ্যায়ের হোতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত খন্দকার মোশতাক আহমদ ও জিয়াউর রহমান। অ্যান্থনী মাসকারেণহাস তাঁর ‘বাংলাদেশ: রক্তের ঋণ’ গ্রন্থে লিখেছেন: ‘২৬ সেপ্টেম্বর মোশতাক অর্ডিন্যান্স জারির মাধ্যমে শেখ মুজিবের হত্যাকারীদের কৃত অপরাধ থেকে অব্যাহতি প্রদান কর...

বঙ্গবন্ধু হত্যা: জিয়া-মোশতাকদের দীর্ঘদিনের নীলনকশার দলিল

স্বাধীনতা পর দেশের ৮০ শতাংশ দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য শোষিতের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মাত্র তিন মাসের মধ্যে মিত্র বাহিনীর ভারতীয় সেনাদের ফেরত পাঠাতে সক্ষম হন তিনি। এরপরই ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ দেশের ব্যাংক, বীমা, পাট, বস্ত্র, চিনি ও জাহাজ শিল্পসজ সব ভারীশিল্পকে জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। কিন্তু বাঙালি জাতির ভাগ্য পরিবর্ত...

ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ ও জিয়ার রাষ্ট্রদ্রোহিতা

শ ম রেজাউল করিমঃ ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বিশ্ব ইতিহাসে ঘৃণ্য কালো আইন নামে সমধিক পরিচিত। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথে নিকৃষ্ট অন্তরায় হিসেবে আবর্তিত হওয়া জগদ্দল পাথর। একটি স্বাধীন দেশে জাতির পিতার নৃশংস হত্যাকান্ডের বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়া পঙ্কিল অধ্যায়। একের পর এক সংবিধান লঙ্ঘনের কলঙ্কিত দলিল। পৃথিবীর আর কোন দেশে এমন কালো আইন ছিল না এবং নেই। প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন, ...

বঙ্গবন্ধু হত্যায় বহিঃশক্তি না থাকার ধারণা অস্বাভাবিকঃ মার্ক টালি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আন্তর্জাতিক শক্তির সংযোগ না থাকার ধারণাকে অস্বাভাবিক হিসাবে উল্লেখ করেছেন ব্রিটিশ সাংবাদিক ও লেখক স্যার মার্ক টালি। মঙ্গলবার গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত আলোচনায় যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্ক ট...

বঙ্গবন্ধু এখন আরও শক্তিশালী

ড. আনোয়ার খসরু পারভেজ: বছর ঘুরে আবারও এসেছে আগস্ট। আগস্টকে আমরা শোকের মাস বলি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমরা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারিয়েছি। আমরা একই সঙ্গে হারিয়েছি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকেও। সেই সময়ে আমরা আরও হারিয়েছি বঙ্গবন্ধুর পুত্র, পুত্রবধূ এবং তার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ স্বজনদেরও। তাই আগস্ট আমাদের কাছে শোকাবহ। &rsq...

বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র

শাহরিয়ার রিয়াজ: মুজিব হত্যার প্রেক্ষাপটে যে কয়টি বিদেশি শক্তি দৃশ্যপটে এসেছে তারমধ্যে পাকিস্তান, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ। পরাজিত শক্তি পাকিস্তান যে প্রতিশোধ নিতে চাইবে এটা তো নিশ্চিত। আর সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে যে দেশটি সেটা হলো প্রেসিডেন্ট নিক্সনের যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের জয় তাদের জন্য অপমানজনক ছিল। কেননা বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের ...

১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর জেনারেল জিয়া বলেন, সো হোয়াট? লেট ভাইস প্রেসিডেন্ট টেক ওভার

অন্যান্য দিনের মতোই রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৪ই আগস্ট রাত ৮টা নাগাদ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে ফেরেন। খাওয়া-দাওয়া শেষে রাত ১২টার মধ্যেই সে বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে যায়। তখন সে বাড়ির নীচতলায় একটি কক্ষে কর্মরত ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী এ এফ এম মুহিতুল ইসলাম। রাত তিনটা নাগাদ ঘুমাতে যান মি. ইসলাম। এর কিছুক্ষণ পরেই সে বাড়িতে টেলিফোনের দা...

বঙ্গবন্ধু হত্যাঃ লন্ডনে গঠিত তদন্ত কমিশনের প্রাথমিক রিপোর্ট

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা এবং ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বিনা বিচারে অন্তরীণ থাকাকালে সৈয়দ নজরুল ইসলাম (উপ-রাষ্ট্রপতি), তাজউদ্দীন আহমদ (প্রথম প্রধানমন্ত্রী), মনসুর আলী (প্রধানমন্ত্রী) এবং কামারুজ্জামান (শিল্পমন্ত্রী এবং দলের প্রাক্তন সভাপতি)- এই চার জাতীয় নেতা হত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন ও বিচ...

সেনা বিদ্রোহে নয়, পরিকল্পিত খুন

এম. ইনায়েতুর রহিমঃ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট অতিপ্রত্যুষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবারে নির্মম-বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে দেশবাসী হতবিহ্বল ও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিল। বিক্ষিপ্ত কিছু প্রতিবাদ হলেও কার্যকর কোনো প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ গড়ে ওঠেনি- এটা সত্য ও বাস্তবতা। ২৬ সেপ্টেম্বর '৭৫ দখলদার রাষ্ট্রপতি মোশতাক আহমেদ 'ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ, ১৯৭৫' জারি করে বঙ্গবন্ধু ও তা...

বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্তজন শহীদ কর্নেল জামিলের কথা

ড. জেবউননেছাঃ ১৯৭১-এ স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ দিকে বিখ্যাত মার্কিন কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ নৌকা করে ভারতের বনগাঁ পেরিয়ে যশোর সীমান্তে আসেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকে লিখেন ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’ কবিতাটি। পরবর্তীকালে এটিকে তিনি গান হিসেবে রূপায়িত করেন। যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গিয়ে তার বন্ধু বব ডিলান ও অন্যান্য বিখ্যাত গায়কদের সম্মিলনে এই গান পরিবেশন করে কনসার্ট আয়োজন ক...

বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রীদের তালিকার শীর্ষে কারা?

বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম তাঁর ‘বঙ্গভবনে শেষ দিনগুলি’ গ্রন্থে লিখেছেন, “মিলিটারি এখন শাসন করছে, যেমনটা তারা করে এসেছে ১৯৫৮ সালের পর থেকে; সামান্য কিছু বিরতি অবশ্য মাঝখানে ছিল। অবশ্যই মিলিটারি মানে সেনাবাহিনী (The Army); আর মিলিটারি বা সেনাবাহিনীর শাসন মানে সেনা প্রধানের নেতৃত্ব।”[বঙ্গভবনে শেষ দিনগুলি, পৃষ্ঠা ২৯] বিচারপতি সা...

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড: ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ ও মেজর জিয়ার ভূমিকা

মোঃ ফুয়াদ হাসান: ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫, প্রথম প্রহরে সেনাবাহিনীর কিছু বিপদগামী সদস্যের হাতে সপরিবারে নির্মম ও ন্যক্কারজনক ভাবে নিহত হলেন বঙ্গবন্ধু। সেদিনই দুপুর বেলাতে (স্বঘোষিত) প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে খন্দকার মোস্তাক নিজেকে। ২৬শে সেপ্টেম্বর ১৯৭৫, অবৈধ্য ভাবে ক্ষমতার ভোগ দখলকারী খন্দকার মোস্তাক পরিবার সহ বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত খুনীদের বাচাতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জাড়ি ক...

‘কাছ থেকে দেখা’মোশতাক-জিয়ার ষড়যন্ত্র

অজয় দাশগুপ্ত: ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- কাছ থেকে দেখা’ গ্রন্থ লিখেছেন অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, যিনি ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সালের প্রথম কয়েক মাস পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন- কিন্তু ‘রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার মানসিকতা এবং উৎসাহ বা প্রবণতা কোনোটাই আমার নেই। [পৃষ্ঠা ৩৯] বঙ্গবন্ধু তাকে বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে নিয়...

পঁচাত্তরের খুনিদের দায়মুক্তি অধ্যাদেশ এবং আমাদের দায়

মো. জাকির হোসেন: ২৬ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশের ইতিহাসে বিচারহীনতার সংস্কৃতির এক কলঙ্কিত অধ্যায়ের শুরু হয়েছিল ১৯৭৫ সালের এই দিনে। ১৫ই আগস্ট ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর নয়, রক্তাক্ত হয়েছিল সমগ্র বাংলাদেশ। খুনিরা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে বাঙালি জাতিকে পিতাহন্তারকের কাঠগড়ার দাঁড় করিয়ে ক্ষান্ত হয়নি। হত্যাকাণ্ডের এক মাস ১০ দিন পর ২৬ সেপ্টেম্বর সভ্যতা ...

ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাঙালীর কলঙ্কজনক স্মৃতি

ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ: সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পুরো রাজনীতির মোড় পরিবর্তিত হয়ে যায় পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে। এ ঘটনার পর প্রায় দেড় দশক দেশে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সামরিক শাসন চলে। এমনকি এ হত্যাকান্ডের বিচার আটকে দিতে এবং খুনীদের রক্ষায় একটি অধ্যাদেশ জারি করেন ‘স্বঘোষিত’ রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহ...

৭৫-এর খুনিদের পুনর্বাসন ও তৎকালীন সরকারের অপতৎপরতা নিয়ে ওয়েবিনার ১৯ আগস্ট

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবার-পরিজনকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বাধীন ও জিয়াউর রহমানের মদদপুষ্ট স্বাধীনতাবিরোধীরা। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের যাতে বিচার করা না যায় সেজন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে খন্দকার মোশতাক আহমেদ। আর এই অধ্যাদেশকে সংবিধানে যুক্ত করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এর প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউ...

ছবিতে দেখুন

ভিডিও