স্বাধীন দেশের উন্নয়নের জন্য বঙ্গবন্ধু দিন-রাত ছুটে বেড়াচ্ছেন। যাচ্ছেন জেলায় জেলায়। এসেছেন রংপুরেও। তাঁর ভাষণ শুনতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ জড়ো হয়েছিল। বান্ধবী ইয়াসমিনের সঙ্গে গিয়েছিল এলিও। ভাষণ শুনে এলি মুগ্ধ। ভাবছিল, একবার যদি কাছ থেকে দেখতে পারতাম! পরদিন ছিল তাদের মর্নিং স্কুল। স্কুলে গিয়ে এলি জানল, বঙ্গবন্ধু রংপুরেই আছেন। সার্কিট হাউসে থাকছেন। ক্লাসে আর ...
ড. আতিউর রহমানঃ আমাদের তরুণ প্রজন্মের কাছে বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ণ অবয়বে উদ্ভাসিত হচ্ছেন। রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘ভারতবর্ষের ইতিহাস’ প্রবন্ধে লিখেছেন যে, সেই জাতিই ভাগ্যবান যার নতুন প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস থেকে অনুপ্রেরণার রসদ খুঁজে পায়। আমাদের বড়ই দুর্ভাগ্য যে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মহত্তম অর্জন এবং সেই অর্জনের প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এক...
রামেন্দু মজুমদারঃ ২০২০ সালে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন করব। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি-বেসরকারিভাবে দেশব্যাপী ২০২০-২০২১ কে মুজিব বর্ষ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। বেঁচে থাকলে আজ বঙ্গবন্ধুর বয়স হত ৯৮ বছর; কিন্তু আমাদের মনের পর্দায় ধরা রয়েছে তাঁর ৫৫ বছরের মুখচ্ছবি। এমন পৌরুষদীপ্ত বাঙালি খুব কমই দেখা ...
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে ঘাতকরা মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনায় আঘাত হানে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ শুধু দেশ স্বাধীনের লড়াই ছিল না, এটি ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনেরও জনযুদ্ধ। ভাষা আন্দোলনে বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার যে জাগরণ শুরু হয় তারই পূর্ণ প্রকাশ ঘটে মুক্তিযুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধে ধর্ম সম্প্রদায় নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছ...
বাহালুল মজনুন চুন্নূঃ শত শত বছরের শোষণ-বঞ্চনার অধীনে থেকে, বাঙালি যখন নিজস্ব পরিম-ল থেকে ক্রমে পেছনে সরে যাচ্ছিল, ঠিক সেই সময় পেছনের সব মহাপুরুষের কীর্তিগাথাকে মøান করে দিয়ে পাদপ্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ঘুমিয়ে পড়া বাঙালিকে পুনরায় জাগালেন, একত্রিত করলেন। করলেন নবধারায় উজ্জীবিত। শোষণ-বঞ্চনার ঘেরাটোপ থেকে বাঙালি ন...
জাফর ওয়াজেদ: ছিলেন তিনি ক্ষণজন্মা পুরুষ। হিমালয়ের চেয়ে উঁচু যার ব্যক্তিত্ব ও সাহস। নিজ জাতিকেও করে তুলেছিলেন সাহসী যোদ্ধা। স্বাধীন দেশে ষড়যন্ত্রকারীরা শান্তিতে দেশ পরিচালনা করতে দেয়নি। কেমন কেটেছে শেষের দিনগুলো? রাষ্ট্রপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শেষের দিনগুলো কেমন ছিল? ঘাতকের নিঃশ্বাস কি তিনি অনুভব করতে পেরেছিলেন? ‘নাগিণীরা চারিদিকে ফেলিতে...
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করা হয়েছে। হোঁচট খেয়েছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন— এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম। মুক্তি মানে সব বঞ্চিত মানুষের মুক্তি। কাউকে বাদ না দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন। দখলদারিত্বের অর্থনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে আমদানি ও ঋণনির্ভর অর্থনীতিতে পরিণত...
কাজী সেলিমঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীন বাংলাদেশের সামরিক একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই শিরোনামে আমার লেখাটি বাংলার বাণীসহ অন্যান্য পত্রিকায় আশির দশকের মাঝামাঝি (দেশ যখন সামরিক শাসনের কবলে শাসিত হচ্ছিল) প্রকাশিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের অবদানের ওপর লেখাটির উদ্দেশ্য ছিল, স্বাধীন বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর উন্নয়ন প্রশিক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় সা...
১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি (বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি) এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে ৬ সদস্যবিশিষ্ট যে সরকার গঠিত হয়, তা-ই ছিল প্রথম বাংলাদেশ সরকার, যা মুজিবনগর সরকার নামে পরিচিত। ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার (তখন মহকুমা) বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে বিপুলসংখ্যক বিদেশী সাংবাদিকে...
মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১-এর ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ অনুষ্ঠানের স্মৃতিকথা লিখতে বসে কত কথা আমার মানসপটে ভেসে উঠছে। ’৭১-এর ২৫ মার্চ দিনটির কথা বিশেষভাবে মনে পড়ে। এদিন মনি ভাই এবং আমি জাতির জনকের কাছ থেকে বিদায় নেই। বিদায়ের প্রাক্কালে তিনি বুকে টেনে আদর করে বলেছিলেন, ‘ভাল থেক। আমার দেশ স্বাধীন হব...
২৫ মার্চ '৭১। পাকিস্তান সামরিক বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালি জাতি ও বাঙালি সেনা-অফিসার, ইপিআর, পুলিশ বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালিয়ে নির্মম হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয় জনযুদ্ধ। প্রতিরোধ গড়ে ওঠে সর্বত্র। কিন্তু অপরিহার্য ছিল সরকার প্রতিষ্ঠার। পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর আক্রমণে রা...
বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে শনিবার স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে। একই সঙ্গে দিনটিকে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে উদ্যাপন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কেক কাটা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, মোনাজাত, প্রার্থনা, আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা, সাংস্ক...
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন
টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে শিশু সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা
বাংলাদেশ নামটির পরিপ্রেক্ষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যৌবনেই কেবল শুরু নয়, কিশোর বয়স থেকেই বাংলার মানুষের স্বাধীনতা নিয়ে ভাবতেন বঙ্গবন্ধু। তাই তো বাঙালি, বাংলাদেশ আর বঙ্গবন্ধু শব্দগুলো যেন অবিচ্ছেদ্য। বাঙালির ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, হাজার বছর ধরেই এই জাতি অন্যের শাসনে শোষিত, নির্যাতিত আর অধিকারবঞ্চিত। সময়ের পরিক্রমায় যে বাঙালির স্বাধিকার অপরিহার্য, তা...
বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়ায় তাঁর সমবয়সী যদি দু-একজন এখনো বেঁচে থাকেন, তাঁদের কাছে বঙ্গবন্ধু এখনো মজিবর। অবশ্য মা-বাবার আদুরে নাম খোকা। হয়তো নিকটাত্মীয়রা শেখ মুজিবকে সেই নামেই ডাকতেন। বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনীতেই’ লিখেছেন, তিনি এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সেই আমলে বাঙালি মধ্যবিত্তের অস্তিত্ব ছিল হাতে গোনা। বঙ্গবন্ধু ছিলেন আজীবন প্রতিবাদ...
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, মহাকালের মহাপুরুষ বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বাঙালি জাতির পিতা। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাডায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। একজন ছাত্রকর্মী হিসেবে রাজনীতিতে মুজিবের প্রবেশ এবং ভারত বিভক্তির আগেই বাঙালি মুসলমান ছাত্র-যুবাদ...
কৈশোরে মাঝেমধ্যে বর্ধমান শহরে যেতাম। মুসলিম লীগের দু'জন নেতা আবুল হাশিম ও টকু সরকার, এদের কাছে। কলকাতায় দাঙ্গা যখন শুরু হলো, তখন আবুল হাশিমের অফিসে বসে অনেক নেতার কথাই শুনতাম। তার কাছেই মুজিব বলে এক যুবকের কথা শুনেছি। এই মুজিবই পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ওই সময় তার কথা প্রথম জানতে পারি আমি। দেশভাগের পর ১৯৫৪ সালে আমি বাংলাদেশে আসি। তখনও শ...
আজ সেই মহান পুরুষের জন্মদিন, যাঁর নামের সঙ্গে মিশে আছে বাঙালীর আত্মপরিচয়। তিনি সেই মহান পুরুষ, যাঁকে নিয়ে বাঙালীর অহঙ্কার কোনদিন ফুরোবে না। এমনই বিশাল ব্যক্তিত্ব তিনি, মৃত্যুর চার দশক পরও তাঁকে আবিষ্কার করতে হয় নতুন করে। বাঙালী গর্বের সঙ্গে উচ্চারণ করে তাঁর নাম। বাঙালীর স্বাধিকার আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাঙালী জাতিকে সঙ্গে নিয়ে পাড়ি দিয়েছেন অসম্ভবের পথ। ম...