বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমঃ ২৫ জানুয়ারি, ১৯৭৫ ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংসদ জীবনের সর্বশেষ দিন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা। ঐদিন জাতীয় সংসদে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী বিল পাসের মাধ্যমে দেশে শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটে। নতুন ব্যবস্থায় বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতি হন। দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির প্রয়াসে গঠিত হয় একক জাতীয় দল...
১২ জানুয়ারি বঙ্গভবনে বিপুল করতালি, জয় বাংলা ও বঙ্গবন্ধু জিন্দাবাদ ধ্বনির মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শপথ নেওয়ার পর তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ১১ সদস্যের মন্ত্রিসভার নাম দেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী তাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতির জনক ও অবিসংবাদিত নেতা, যার ওপর জনসাধারণের পূর্ণ আস্থা রয়েছে...
ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনঃ ৪৯ বছর আগের এই শুভদিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা হিসেবে বীরের বেশে বহুমূল্যে কেনা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখলেন। অথচ তিনি যে ফিরবেনই তার কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১, পরাজিত দখলদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের লজ্জা শুরু। কিন্তু বিজয়ী জাতি বাঙালির মনে জন্ম নেয় চরম উৎকণ্ঠা। ন্যায়নীতি, সভ্য আচরণের কোনো মানদণ্ডে...
কৃষিবিদ দীপক কুমার বনিক দীপু: ১০ জানুয়ারি ১৯৭২, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়ের পূর্ণতা আসে এই দিনে। পাকিস্তানের কারাগার থেকে দীর্ঘ সারে নয় মাস পর মুক্তি পেয়ে ৯ জানুয়ারি ১৯৭২, বঙ্গবন্ধু যখন লন্ডনের হিথ্রু বিমানবন্দরে পৌছান, তারপরই বাঙ্গালী জাতি জানতে পারে, তাদের প্রানের নেতা পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে। মুহুর্তেই সুরের মূর্ছনার মত ছড়িয়ে পরে এই...
ড. প্রণব কুমার পান্ডে: ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক দিন। এই দিনে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে সদ্য স্বাধীন দেশের পবিত্র মাটিতে ফিরে আসেন। বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের আগে তিনি পাকিস্তানি কারাগারে ভয়াবহ নিষ্ঠুরতার মুখোমুখি হয়েছিলেন, সেখান...
অজয় দাশগুপ্তঃ তিনি বার বার ফিরে এসেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কারের পর ফিরে এসেছেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় ফাঁসির রজ্জু ছিন্ন করে ফিরে এসেছেন। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তির পর ১০ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে হত্যার পর ঘাতকরা দম্ভ করে ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ জারি করেছিল। কিন্...
এম. নজরুল ইসলাম কেমন ছিলো সেই দিনটি- যেদিন ফিরলেন পিতা মুক্ত স্বদেশে, বিজয়ী বীরের বেশে? সেদিন আকাশে যে সূর্য উঠেছিলো, সেই সূর্য কি জানতো যে এক মহান পুরুষ ঐ আলো গায়ে মেখে বিজয়ীর বেশে নিজের দেশে ফিরবেন, মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে? ফিরলেন তিনি, বাঙালির ভালোবাসা ছুঁয়ে। বাঙালি জাতির হৃদয় ভরিয়ে দিয়ে নিজের দেশে ফিরলেন সেই মহাপুরুষ, যাঁর জন্য অপেক্ষায় ছিলো স...
এম. নজরুল ইসলাম: আজ ১০ জানুয়ারি, বাঙালির জীবনের এক ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭২ সালের আজকের এই দিনে স্বাধীন দেশের মাটিতে ফিরে আসেন এ দেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্রের মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ভেতর দিয়ে যে জাতির মননে স্বাধীনতার বীজমন্ত্র বুনেছিলেন, সেই দেশের রক্তভেজা মাটিতে তিনি ফিরে এলেন আজকের এই দিনে...
বইছিল স্বাধীনতার সুবাতাস। শ্লোগানে মুখরিত চারদিক, আকাশ-বাতাস, জোর গলায় উচ্চারিত হচ্ছে, “জয় বাংলা”, তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর জুড়ে যেন অনুরণিত হয়ে চলেছে, প্রতিধ্বনিতে একাকার হালকা শীতের আমেজময় সেই ঐতিহাসিক ১০ই জানুয়ারী, ১৯৭২ সাল। বেলা দ্বিপ্রহরের পরপরই হাজার দশেকেরও বেশি সদ্য মুক্তির স্বাদ পাওয়া আবেগে উদ্বেলিত বাঙালি সেখানে জড়ো হয়েছিলেন, যদিও তার...
পরবর্তীতে প্রবল জনরোষের মুখে ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মামলা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার এবং সেদিনই কারাগার থেকে মুক্তি পান বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষার বিমূর্ত প্রতীকে পরিণত হওয়া শেখ মুজিবুর রহমান। পরের দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল জনসভায় 'বঙ্গবন্ধু' উপাধিতে ভূষিত করা হয় তাকে। একটি স্বাধীন-স্ততন্ত্র বঙ্গভূমি তথা বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনের ...
অধ্যাপক মেরিনা জাহানঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যার নামের সঙ্গে মিশে আছে বাঙালির আত্মপরিচয়। তিনি সেই মহান পুরুষ যাকে নিয়ে বাঙালীর অহং কার কোনদিন শেষ হবে না। এমনই বিশাল ব্যক্তিত্ব তিনি মৃত্যুও চার দশক পরও তাঁকে আবিষ্কার করতে হয় নতুনভবে। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী নতুন সূর্যোলোকের সূর্যের মতো চির ভাস্কর উজ্জল নেতা ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফিরে আসেন তা...
(সাক্ষাতকারটি ২০১৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে 'উত্তরণ' এ প্রকাশিত হয়েছিল) সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী: উত্তরণ : আমরা আওয়ামী লীগের মুখপত্র ‘উত্তরণ’ থেকে এসেছি। আওয়ামী লীগের ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উত্তরণ বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করবে। আপনি বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্যা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেত্রী, আওয়ামী লীগ সম্পর্কে আপনার কাছে কিছু জানতে এস...
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভূমিকা বাঙালি তথা সারাবিশ্ব মনে রাখবে। আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপিত হবে। টুঙ্গিপাড়ায় এক কৃষক পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। সেখান থেকে নিজের রাজনৈতিক দক্ষতা ও স্মরণ শক্তির গুণে তিনি বর্তমান বাংলাদেশের জনক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় স্থান চির উজ্জ্বল। কলকাতায় ছাত্র-জীবনে তিনি মুহাম্মদ আলী জ...
সুভাষ সিংহ রায়ঃ আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস বিশেষ মর্যাদার সাথে পালন করে থাকি। গত বছর (৮ নভেম্বর ২০২০) মহান জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনের আয়োজন করা হয়েছিল। অধিবেশনের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারির সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের (তখনকার রেসকোর্স ময়দান) সেই ঐতিহাসিক ভাষণের পুরোটা আবার উপস্থাপন করা হয়েছিল। ১০ জানুয়ারি ব...
তোফায়েল আহমেদ : আমাদের মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন ‘মুজিববর্ষ’ – করোনা মহামারির এই ক্রান্তিকালে – সীমিত পরিসরে সগৌরবে দেশজুড়ে মর্যাদার সাথে পালিত হচ্ছে। জাতি প্রতি বছর এই দিনটি যথাযথভাবে পালন করে। প্রতি বছর দিনটি যখন আমাদের জীবনে আসে, তখন জাতির জনকের কথা স্মৃতির পাতায় বারবার ভেসে ওঠে। সৌভাগ্যবান মা...
গীতালি দাশগুপ্তাঃ “ঐ মহামানব আসে / দিকে দিকে রোমাঞ্চ লাগে / মর্ত ধূলির ঘাসে ঘাসে।” আজ ইংরেজির ২০২০ সাল। এখন থেকে শত বছর আগে অর্থাৎ ইংরেজি ১৯২০ সালে প্রত্যন্ত অজপাড়াগাঁয়ে জন্মেছিলেন এক মুষ্টিবদ্ধ শিশু। সেদিন সেই গাঁয়ের নাম এমনিভাবে বিকশিত ছিল না। ছিল না মানুষের মুখেও সেই গাঁয়ের নামটি। কখনও খুব একটা শোনাও যায়নি। অথচ আজ, সেই অজপাড়াগাঁয়ের নামটি ...
এইচ টি ইমাম: সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে জানাই তার প্রতি অসীম শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা। তার সাথে রয়েছে বাঙালির আত্মার সংযোগ; বাঙালি খুঁজে পেয়েছে আত্মপরিচয়ের ঠিকানা। তিনি এমনভাবে আমাদের জীবনে-কর্মে-হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন, যেন মনে হয় আমাদের মাঝেই আছেন। দেশভাগের পূর্ব হতে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ প...
আমির হোসেন আমু : আমাদের পারিবারিক ব্যবসা ছিল কলকাতায় (কাপড়ের দোকান)। থাকার বাড়িও ছিল। Hotel Bilkmore- এ আমার নানার শেয়ার ছিল। তার নাম ছিল বাদশা মিয়া (দত্তপাড়ার জমিদার)। পাকিস্তান হওয়ার পর পরিবারের সবাই একসাথে সবকিছু উইন্ডআপ/বিক্রি করে দেওয়ার জন্য যায়। ঐ সময় একদিন বিকেলে জনাব জাফর সাদেক (তানু নানা) বাসায় আসেন, কথাবার্তা বলার সময় আমাকে কোলে নিয়ে আদর করলে...
সুফিয়া কামাল: শেখ মুজিবুর রহমান যখন বঙ্গবন্ধু হননি, বলা যেতে পারে তার কিশোর বয়স থেকেই আমি তাকে জানি। সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে তাকে প্রথম দেখি কলকাতায়। তখন ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র সে। রাজনীতিতে সোহরাওয়ার্দীর খ্যাতি যখন তুঙ্গে, সেই সময় থেকে ছাত্রকর্মী ছাত্রনেতা হিসেবে মুজিবুর রহমানকে আমি চিনি। নেতা হিসেবে সারাবিশ্বে পরিচিত হয়েছে মুজিবুর রহমান। কিন্তু আমার কাছে আমার ছ...
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের কৃষক-শ্রমিক-মেহনতীসহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে সাথে নিয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতেই বাকশাল গঠন করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি আজ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত 'জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্ত...