1833
Published on জানুয়ারি 6, 2021স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের কৃষক-শ্রমিক-মেহনতীসহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে সাথে নিয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতেই বাকশাল গঠন করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি আজ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত 'জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন' শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদ, দুই লক্ষাধিক মা-বোনদের সম্ভ্রমের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও তাদের স্বপ্ন পূরণ, স্বাধীনতার সুফল গ্রহণ এবং গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্যই বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন করেছিলেন। কিন্তু নানাভাবে ষড়যন্ত্রকারীরা এটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছে।
তিনি জানান, স্বাধীনতা বিরোধীরা, সর্বহারা পার্টি, বিভিন্ন বাহিনী ও গণবাহিনী অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে মানুষকে ধরে নিয়ে মুক্তিপণ আদায় করতো। তারা পাটের গুদামে আগুন দেয়া, লবণের ট্রাক নদীতে ফেলে দেয়াসহ দেশে একধরনের ত্রাস সৃষ্টি করেছিলো। এরকম পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য নতুন স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশে বঙ্গবন্ধু সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন।
তিনি বলেন, মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক এই দাবি কোন সুস্থ মস্তিস্কের মানুষের হতে পারে না। একজন মেজর যিনি সরকারের সাধারণ কর্মচারী কিভাবে দেশের স্বাধীনতার ঘোষক হয় এমন প্রশ্ন উত্থাপন করে মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে দেশের মানুষ একমাত্র বঙ্গবন্ধুকেই ম্যান্ডেট দিয়েছেন। রেডিও-টেলিভিশনে ঘোষণা দিয়ে অন্য কারো ঘোষক হওয়ার সুযোগ নেই।
মন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছে, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী হয়ে গাড়িতে দেশের পতাকা ব্যবহার করেছে যা স্বাভাবিকভাবেই আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করে। নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা তুলে ধরা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, এমপি বলেন, জাতির পিতা একজন ক্ষণজন্মা পুরুষ। তাঁর দক্ষতা, যোগ্যতা, দুরদর্শিতা এবং তাঁর মত একজন মহাপুরুষ, মহামানবের জন্ম না হলে বাঙালী জাতি হাজার বছর পরাধীন থাকত। কখন কি করতে হবে, কখন কি ভূমিকা রাখতে হবে তা সুনিপূণভাবে বাস্তবায়ন করে দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।
মূলতঃ স্বাধীনতা পাওয়ার জন্যই আজকে সমগ্র বিশ্বে বাংলাদেশ প্রশংসিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি আমাদের অগাধ শ্রদ্ধা। আজকে বাংলাদেশের যে উন্নতি, প্রবৃদ্ধি তার সকল কিছুই জননেত্রী শেখ হাসিনার চিন্তা চেতনার ফসল। আগামী দিনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হবে বিজয়ের মাসে এই আমাদের প্রত্যাশা।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে অংশ নেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম। এছাড়াও স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভাগের আওতাধীন এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, ওয়াসা ও অন্যান্য দপ্তর/সংস্থার প্রধানগণ এবং জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভার নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন ।