ছয় দফার এক দাবি: বাঙালির চিরন্তন মুক্তি

বাঙালি জাতির ইতিহাসে ছয় দফা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বাঙালির ম্যাগনাকার্টা বলা হয় একে। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে এই ছয় ছফাকে উল্লেখ করেছেন 'আমাদের বাঁচার দাবি' বলে। হ্যাঁ, পাকিস্তানি জোঁকদের শোষণে রক্তশূন্য হয়ে পড়া সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি জাতির তখন মৃতপ্রায়, ঠিক এমন একটি সময় বাঁচার স্বপ্ন দেখালেন আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর ...

পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের চোখে ৬ দফা

সাঁকো দিলাম। লক্ষ্য স্পষ্ট, স্বাধীনতা- ৬ দফা প্রদানের পরপরই আওয়ামী লীগের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সহকর্মী ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের কাছে নিজের পরিকল্পনা এভাবেই তুলে ধরেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ষাটের দশকের ছাত্র আন্দোলনের দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র আবদুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমদ আমাকে দেওয়া একাধিক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন। ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির নেতা অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ এবং ক...

ছয় দফা থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা- মুক্তির পথে বাঙ্গালী জাতি

জানুয়ারি ১৯৬৬তাশখন্দে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী সেপ্টেম্বর ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের জন্য নিজেদের মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এর কিছুদিনের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী মারা যান। ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান লাহোরে পাকিস্তানের বিরোধীদলীয় রাজনীতিকদের একটি সম্মেলনে ছয়...

বঙ্গবন্ধু মে দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন

হীরেন পণ্ডিত ১৮৮৬ সালের ৪ মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটে দৈনিক ৮ ঘণ্টা শ্রমের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর গুলি চালিয়ে ১০-১২ জন শ্রমিককে হত্যার ঘটনার প্রেক্ষাপটে বিশ্ব মে দিবস পালন করা হয়ে থাকে। তখন কাজ করতে হতো ১২-১৪ ঘন্টা। ১৮৮৯ সালে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব সোশ্যালিস্ট গ্রæপস এবং ট্রেড ইউনিয়নস যৌথভাবে পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালনের সিদ্...

মুজিবনগরঃ বাংলাদেশের প্রথম সরকার

১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। এই দিনটি বাঙালি জাতির জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন। আমাদের স্বপ্নের স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে দেশের আগামীদিনের প্রত্যাশিত দিক-নির্দেশনা, সাংবিধানিক এবং যৌক্তিক অধিকার রক্ষার জন্য মুজিবনগর সরকার গঠন করা তৎকালীন সময়ে অপরিহার্য ছিল। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকচক্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধ...

স্বাধীনতার ৫৩ বছরে ২৯ বছর ছিল জাতির জন্য দুর্ভাগ্যের: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে বিজয় এনে দেওয়া জাতির পিতার মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ছিল বলে সম্ভব হয়। সেই সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলা, সবই তিনি করেছেন। এই জাতির ভাগ্য পরিবর্তনে বঙ্গবন্ধু নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার করেছি, এর ২৯ বছর ছিল জাতির দুর্ভাগ্যের। স্বাধীনতার পর পরই মাত্র তিন বছরে একটি স্বল্...

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা

১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২৬ মার্চকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। স্বাধীন দেশে জন্ম নেওয়া কোনো মানুষের পক্ষে পরাধীনতা কী তা কখনোই এবং কোনোভাবেই বোঝা সম্ভব নয়, এমনকি স্বাধীনতা কী তাও বোঝা সম্ভব নয়। কারণ, তারা পরাধীনতার কষ্ট কখনো বুঝতে পারেনি। যারা স্বাধীনতার জন্য স্বজন হারিয়েছেন, তারা কিছুটা হয়তো অনুধাবন করতে পারেন দিনটিকে। তাও কী বুঝতে...

লোকদেখানো মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা

বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে গৌরব ও অহঙ্কারের বিষয় হলো একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। কোনো জাতির জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে শরিক থাকা, সামান্যতম অবদান রাখতে পারা যে কোনো ব্যক্তির জন্য গর্বের ব্যাপার। আমাদের গৌরবের জায়গা হলো এ দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি এবং সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। শোষণ-বঞ্চনামুক্ত একটি উদার, গণতান্ত্রিক, সমতাভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়েই এদেশের মানু...

তুলে ধরতে হবে একাত্তরের বর্বরতার ইতিহাস

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত থেকে ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের আগ পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনী ৯ মাস ধরেই চালিয়েছিল মানবেতিহাসের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ। নারী, শিশুসহ প্রাণ গিয়েছিল ৩০ লাখ বাঙালির। কয়েক লাখ নারী তাঁদের সম্ভ্রম হারিয়েছিলেন। গ্রামের পর গ্রাম, নগর, জনপদ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে এত অল্প সময়ে এত বেশিসংখ্যক মানুষ হত্যার ঘটনা দ্বিতীয়টি নেই। পাকিস্তানি সেনা...

দেশের স্বাধীনতার মর্মার্থ একমাত্র আওয়ামী লীগের কাছেই সুরক্ষিত

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জ মহকুমার টুংগীপাড়া গ্রামে বাবা শেখ লুৎফুর রহমান ও মাতা শেখ সায়রা খাতুনের কোল আলোকিত করে জন্ম নিয়েছিলেন ছোট্ট শিশু 'খোকা'। যার শৈশব-কৈশোর কাটে পিতা-মাতার আদর -স্নেহও ভালোবাসায় টুঙ্গিপাড়ায় মধুমতি নদীর তীরে। গোপালগঞ্জে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ করে, কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন। ১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে ...

বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা,আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশ

সর্বস্তরের মানুষের অপরিসীম ত্যাগ ও জীবনের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে বিশ্ব-মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের। ত্রিশ লক্ষ মানুষের জীবনদানসহ এ দেশের স্বাধীনতার জন্য সরকারি হিসেবে দুই লক্ষ, বেসরকারি হিসেবে প্রায় পাঁচ লক্ষ নারী সম্ভ্রম হারিয়েছেন, পনেরো লক্ষেরও বেশি মানুষ পাকিস্তানি সামরিক জান্তা এবং তাদের সহযোগী জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগ, নেজামে ইস...

বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম

১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ। ফলে বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রাম বেগবান হয়। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার চূড়ান্ত নির্দেশনা দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ২৩ মার্চ ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র-খচিত পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। দেশজুড়ে উড়তে থাকে লাল-সবুজ...

ভাষা আন্দোলনের সূচনা পর্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ছিল উজ্জ্বল উপস্থিতি

১৯৫২ সাল পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনকে খুব সহজেই তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়। প্রথম পর্যায় হচ্ছে লাহোর প্রস্তাবের পর থেকে ১৯৪৭-এর জুলাইয়ে জিয়াউদ্দিনের অভিমত প্রকাশ করা পর্যন্ত। দ্বিতীয় পর্যায়, জিয়াউদ্দিনের অভিমত প্রকাশ থেকে ১৯৪৮-এর মার্চ অর্থাৎ জিন্নাহর ঘােষণা পর্যন্ত। তৃতীয় পর্যায়, ১৯৪৮-এর মার্চ থেকে ১৯৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ১৯৪২-৪৩ থেকে ১৯৪৭-এর জুলাই পর্যন্ত কালপর্বে ভাষা...

গ্রাফিক নভেল ‘আমার দেখা নয়া চীন’: কল্পনা জগতের সঙ্গী যখন জীবন্ত ইতিহাস

বাহারি রঙের কার্টুনের মতো ছবি, সঙ্গে বিবরণ। গ্রাফিক নভেল হিসেবে পরিচিত আকর্ষণীয় এই মাধ্যম বিশ্ব জুড়ে শিশু-কিশোরদের কাছে জনপ্রিয়। শুধু শিশু-কিশোর নয়, এর জনপ্রিয়তা সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যেই রয়েছে। আর এ কারণেই জনপ্রিয় এই মাধ্যমকে ব্যবহার করে বাংলাদেশের জাতির পিতার জীবন্ত ইতিহাসকে পাঠকের কল্পনার জগতে ছড়িয়ে দিতে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) উদ্যো...

১০ই জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর ‘বিশাল জনসভা’

আগামীকাল ১০ জানুয়ারি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি পাকিস্তানের কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠ থেকে মুক্তি লাভ করে ১৯৭২ সালের এই দিনে তাঁর স্বপ্নের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে ফিরে আসেন। ঐতিহাসিক ১০ই জানুয়ারি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ধারাবা...

ইতিহাস থেকে বিস্মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ আবু নাসের এর সংগ্রামী জীবনগাথা

মোঃ নজরুল ইসলামঃ বাঙালি জাতিসত্তার উন্মেষ ও বিকাশে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালির স্বায়ত্তশাসন থেকে স্বাধিকার এবং স্বাধিকার আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ২৩ বছরের পথপরিক্রমা ছিল বন্ধুর এবং কণ্টকাকীর্ণ। ২৩ বছরের নিরবচ্ছিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের অনিবার্য পরিণতি ছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙালির ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ। বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসের স...

শোধ করতে হবে জাতির পিতার রক্তের ঋণ

শ ম রেজাউল করিম: অদম্য আত্মবিশ্বাস, আত্মমর্যাদাবোধ, মানবিক ঔদার্য, নির্মোহ আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির আহ্বান আর অগাধ দেশপ্রেম বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বের অদ্বিতীয় ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেতায় পরিণত করেছিল। তিনি বাঙালি জাতির জন্য অন্ধকারে একমাত্র আলোর দিশারি হয়ে উঠেছিলেন। তিনি হয়ে উঠেছিলেন শোষিতের কণ্ঠস্বর। ১৯৭২ সালের ১৮ জানুয়ারি এক সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্ট বঙ্গবন্ধুকে প্র...

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণীয় : বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণীয় : বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব

১৫ আগস্টঃ ইতিহাসের অন্ধকারতম অধ্যায়

১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের কালরাতে ঘাতকের হাতে নিহত হন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুননেছা, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল, জামালের স্ত্রী রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের, এসবি অফিসার সিদ্দিকুর রহমান, কর্ণেল জামিল উদ্দিন আহমেদ, প্রায় একই সময়ে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যু...

আওয়ামী লীগ: শুধু দল নয়, ৭৪ বছরের পুরনো পরিবার

বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রাম ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে এই দল। আওয়ামী লীগের হাত ধরেই রচিত হয়েছে পাকিস্তানি শোষকদের বিরুদ্ধের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রাম। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন দল প্রতিষ্ঠার পর থেকে, টানা ৭৪ বছর ধরে বাংলাদেশের রাজনীতির অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের ইতিহ...

ছবিতে দেখুন

ভিডিও