ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রাণপুরুষ

হীরেন পণ্ডিতঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তার নেতৃত্বেই শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতির দিকে দেশ এগিয়ে গেছে।  তার সেই চিন্তায় ডিজিটাল বাংলাদেশের বিকশিত রূপটি এখন আমরা দৈনন্দিন জীবনে উপভোগ করছি। প্রাণঘাতী ব্যাধির চিকিৎসা থেকে শুরু করে মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে উঠেছে অনলাই...

সজীব ওয়াজেদ জয় : ব্যক্তিগত সীমা ছাড়িয়ে

এম নজরুল ইসলামঃ অন্তরে যাঁর দেশমাতৃকাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্রত, তিনি যেকোনো বাধাকেই তুচ্ছ জ্ঞান করে এগিয়ে যেতে পারেন। ইসক্রা থেকে যেমন জ্বলে ওঠে মশাল, তেমনি আজকের দিনের তারুণ্যই আগামী দিনের নেতৃত্বের পথটি দেখিয়ে দিতে পারেন। যেমন দেখিয়ে দিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। উত্তরাধিকার সূত্রেই এখন রাজনীতির মঞ্চে তিনি। ভারতীয় উপমহাদেশে রাজনৈতিক উত্তরাধিকার টেনে নিয়ে যাওয়...

বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ছয় দফা ছিল ম্যাগনা কার্টাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর উত্থাপিত ৬ দফা দাবি ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক দলিল ‘ম্যাগনা কার্টা’। এটি দেশের স্বাধীনতার জন্য জনগণকে প্রস্তুত করেছিল। তিনি বলেন, ‘ছয় দফা দাবি ছিল দেশের স্বাধীনতার জন্য জনগণকে পুরোপুরি প্রস্তুত করা এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের পক্ষে জনগণকে প্রস্তুত করা। শেখ হাসিনা বলেন, প্রকৃতপক্ষে, এটি ছিল ‘ম্যা...

বাঙালির মুক্তির সনদ ‘৬-দফা’

বাঙালি জাতি চির দুর্বার, চির দুর্মর। যুগে যুগে তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছে। শক্তিবলে অসম হলেও তারা ব্রিটিশদের সামনেও কভু মাথা নত করেনি। পাকিস্তানী শোষকগোষ্ঠীর দুঃশাসন,অত্যাচারে জর্জরিত বাঙালি দৃঢ়কন্ঠে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানিয়েছে। ৫২’র হার না মানা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছে নিজেদের মাতৃভাষার অধিকার । ধীরে ধীরে দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে গেছে স্বাধিক...

শেখ হাসিনার পরিকল্পনা: মাত্র এক যুগে বদলে গেছে দেশের কাঠামো ও মানুষের জীবন

আজকের বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর, আজকের বাংলাদেশ সম্পূর্ণভাবে একটি বদলে যাওয়া দেশ। স্বাধীনতার পর দীর্ঘ সময় ধরে দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল, কিন্তু দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের চাইতে দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ, কিন্তু এই সময়ের মধ্যে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে তিনগুণ। স্বাস্থ্যসেবা খাতের পরিধি ক্রমেই বাড়ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রামী...

পিতা থেকে কন্যা: দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের চমক জাগানো উত্থানের গল্প

গত এক যুগে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন আজ সারা বিশ্বের কাছে বিস্ময়। জাতিসংঘের রেজ্যুলেশনেও এ বিষয়ে বলা হয়েছে: বাংলাদেশে উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখলে শিগগিরই উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নাম লেখাবে। সেখানে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের এই পরিবর্তন যেনো এক কিংবদন্তি ঘটনা। এক যুগে আগে কেউ হয়তো বিশ্বাসই করতো না যে, পাশ্ববর্তী ...

তারুণ্যের অনুপ্রেরণা রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি

এম নজরুল ইসলামঃ ১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো সরকার পরিচালনায় দায়িত্ব পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। যিনি বর্তমানে চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের সরকারপ্রধান। অবশ্য এ জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ২১ বছর। ১৯৮১ সালে সামরিক শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তিনি ফিরেছিলেন দেশে। বৃহৎ ত্যাগ ছাড়া কোনো মহৎ অর্জন সম্ভব নয়। স্বাধীন বাংলাদে...

রাদওয়ান মুজিব: বঙ্গবন্ধুকে শিশুদের মানসপটে তুলে আনার নেপথ্য কারিগর

তন্ময় আহমেদঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব, ১৯৭৫ সালে দেশদ্রোহীদের হাতে বঙ্গবন্ধু সপরিবারের হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার সময় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তার একমাত্র খালা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তার মা শেখ রেহানা। এরপর দীর্ঘদিন নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয় তাদের। নিত্যদিনের সংকট ও দুর্ভোগকে সঙ্গী করে কাটাতে হয়েছে বঙ্গবন্ধুর জীবিত দুই কন্যা ও দৌহিত্রদের কৈশোর-তার...

নতুন প্রজন্ম দেশের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে অনেক সচেতনঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইতিহাস থেকে বারবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে এবং এভাবে জাতি ১৯৭৫ সালের পরের প্রকৃত ইতিহাস জানা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এখন তা আর পারবেনা কারণ নতুন প্রজন্ম ইতিহাস সম্পর্কে অনেক সচেতন।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেলে ধানমন্ডি ৩২-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর...

বঙ্গবন্ধুর ১৬টি ঈদ কেটেছে কারাগারে

অজয় দাশগুপ্ত: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবনের ১৬ টি ঈদ কাটিয়েছেন কারাগার ও ক্যান্টনমেন্টের বন্দী জীবনে। ‘কারাগারের রোজনামচা গ্রন্থে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ের কথা লিখেছেন এভাবে: ১১ তারিখে রেণু এসেছে ছেলেমেয়ে নিয়ে দেখা করতে। আগামী ১৩ ই জানুয়ারি ঈদের নামাজ। ছেলেমেয়েরা ঈদের কাপড় কিনবে না। ঈদ করবে...

ডিজিটাল বাংলাদেশ: বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রদর্শন থেকে অনুপ্রাণিত শেখ হাসিনার দীর্ঘ পথপরিক্রমা

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার লেখা 'স্ট্রাইভিং টু রিয়ালাইজ দ্যা আইডিয়ালস অব মাই ফাদার' শিরোনামে লেখা সেই প্রবন্ধের শুরুতেই স্মৃতিচারণ করেছেন তার পিতার এক মর্মস্পর্শী উদ্ধৃতি দিয়ে। স্বাধীনতার পর দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েও বঙ্গবন্ধু তার পরিবারকে কতোটা সাধারণ জীবন যাপনে উদ্বুদ্ধ করতেন, তারই প্রতিফলন ঘটেছে এই স্মৃতিচারণায়।

বর্তমান সরকারের টানা তিন মেয়াদে উন্নয়নের সব সূচকে বাংলাদেশ অভূতপূর্বভাবে এগিয়েছে: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বর্তমান সরকারের টানা তিন মেয়াদে গত সাড়ে তেরো বছরে উন্নয়নের সব সূচকে বাংলাদেশ অভূতপূর্বভাবে এগিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বর্তমান সরকারের নেওয়া মেগা-প্রকল্পগুলো দ্রুত এগোচ্ছে। আমরা সফলভাবে করোনা মহামারি মোকাবিলা করেছি। দারিদ্র্যের হার ২০.৫ শতাংশের নিচে নামিয়েছি। শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা দিচ্ছি। জঙ্গি-সন্ত্রাস ও দুর্নীতি নির্মূলে &...

নিউইয়র্ক টাইমসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধুর বর্ণনায় তাঁর গ্রেফতার ও বিচার

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ট্যাংক-কামান ও মেশিনগানসহ অত্যাধুনিক সব অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানী সৈন্যরা। আক্রমণের শুরুতেই তারা বঙ্গবন্ধুকে ধানমন্ডি ৩২ নং সড়কের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। সাড়ে নয় মাস পাকিস্তানের বিভিন্ন জেলে আটক ছিলেন বঙ্গবন্ধু। মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন একাধিকবার। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফেরার পরের সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু বিদেশী...

মুক্তিযুদ্ধ ছিলো অপরিহার্য

আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির জন্য দু’টি বিষয় জরুরি ছিল। প্রথমত যারা এই রাষ্ট্র গঠন করেছে তাদের প্রমাণ করতে হবে তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী নয় এবং দ্বিতীয়ত রাষ্ট্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে কি না? কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য অন্য একটি গণতান্ত্রিক নতুন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে গেলে প্রথমেই দেখতে হয় যারা নতুন রাষ্ট্র গঠন করেছেন বলে দাবি করছেন, তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী কি না?...

পাকিস্তানকে গণহত্যা ও যুদ্ধের দায় শোধ করতে হবে

প্রধানত দুটি কারণে পাকিস্তান দায় এড়াতে পারবে না। প্রথমত, এই যুদ্ধে স্পষ্টতই পাকিস্তান আগ্রাসী রাষ্ট্র। কারণ সম্পূর্ণ অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে তারাই প্রথম যুদ্ধ ঘোষণা এবং শুরু করেছে। আমরা বাংলাদেশের মানুষ বাধ্য হয়ে প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তুলি এবং আক্রমণকারী দখলদার বাহিনীকে পরাস্ত করে দেশ স্বাধীন করি। দ্বিতীয়ত, বিনা উসকানিতে হাজার হাজার গ্রামগঞ্জে নিরস্ত্র-নিরীহ মানুষকে হত্যা এবং ত...

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে প্রতি বছর ২৬ মার্চকে যথেষ্ট ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালন করে থাকে সমগ্র বাঙালী জাতি। আবার ১৯৭১ সালে আজকের এ দিনেই অর্থাৎ ২৫ মার্চের প্রথম প্রহরে বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালীর স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। দেশব্যাপী বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাকে প্রচারের নিমিত্তে যোগাযোগের সকল মাধ্য...

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

বিশ্বজিত ঘোষঃ পূর্ববাংলার পশ্চাৎপদ মুসলিম জনগোষ্ঠীকে উচ্চশিক্ষায় আকৃষ্ট করা এবং বাংলায় ব্রিটিশ শাসন ব্যবস্থা সুদৃঢ় করার উদ্দেশ্যে ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আদর্শে পরিকল্পিত এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বহু গুণী মানুষের সান্নিধ্যে ধন্য হয়ে ওঠে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠতম বাঙালি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাত...

জেনেভায় বঙ্গবন্ধু

ওয়ালিউর রহমানঃ ১৯৭২ সালে মার্চের শেষে জেনেভায় যাওয়ার আগে হঠাৎ বঙ্গবন্ধুর একটি টেলিফোন পেলাম। তিনি বললেন, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল এ্যাক্টের একটি ড্র্যাফট পাঠালাম, তুই একটু দেখতো। এই মহান মানুষটি সম্পর্কে যখন লিখতে যাই তখন কেমন জানি আনমনা হয়ে যাই। হারিয়ে যাই সেই অতীতের স্মৃতিতে। তখন চোখ দুটি অশ্রুতে ছল ছল করে ওঠে। এই মহান মানুষটিকে একনজর দেখার জন্য দূ...

মুক্তিযুদ্ধে জিয়ার রেডিও বিবৃতি ও কিছু কথা

মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন: ২৫শে মার্চ ১৯৭১। রাত ১১ টা ৪৫ মিনিট। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী সর্বশক্তি নিয়ে অতর্কিতভাবে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো। আক্রান্ত মানুষের আর্তচিৎকার, কামানের আওয়াজ, রকেট লাঞ্চার আর ট্রেসার বুলেটের আগুনের ঝলকানিতে সমগ্র ঢাকা নগরী পরিণত হলো নরকের বিভীষিকা। এমনই মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু গোপন ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে বলধা গার্ডেন থেকে অথবা মগবাজার বঙ্গবন্...

ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছরে কোথায় আছে বাংলা

সাদিকুর রহমান পরাগ: সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন করছি। সেই সঙ্গে আমরা পালন করছি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। জাতীয় জীবনের এই দুই আনন্দঘন উপলক্ষের মধ্যে পূর্ণ হলো ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর। যেখানে আমার মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার কেড়ে নিতে চাওয়া হয়েছিল, সেখানে সেই অপচেষ্টাকে রুখে দিয়ে আমরা পেরিয়ে এসেছি ৭০টি বছর।...

ছবিতে দেখুন

ভিডিও