৭ই মার্চের ভাষণের সামরিক দিক

মোহাম্মদ হাননানঃ ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে লাগাতার অসহযােগ আন্দোলনের প্রাক্কালে ৭ মার্চের আগেই ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ৩রা মার্চ স্বাধীনতার কর্মসূচি নাম ও অন্যান্য প্রস্তুতি ঘােষণা করেন। এর মধ্যে ছিল- দেশের কী হবে, দেশের আয়তন ও ভৌগােলিক সীমানা, জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকার বিবরণ। একই সঙ্গে জারি করা হয়েছিল যুদ্ধের কতকগুলাে সামরিক ধা...

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার : প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব

আ. ক. ম. মােজাম্মেল হক, এমপি:   বাঙালি জাতির ইতিহাসে মুজিবনগর সরকারের ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা, মুক্তিযােদ্ধাদের জন্য প্রয়ােজনীয় অস্ত্র ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব জনমত গঠনের মাধ্যমে এ সরকার বাঙালি জাতির স্বাধীনতার স্বপ্ন ও মুক্তিযুদ্ধকে একট...

বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রবাদপুরুষ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়। নয় মাসের যুদ্ধের কথা বলা হলেও বাঙালি ইতিহাসের পাতায় আবহমানকাল ধরেই পরাধীন জাতি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে। পাকিস্তানের দীর্ঘ চব্বিশ বছরের শাসন ও শোষণের বেড়াজাল ছিন্ন করে বাঙালি স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে আনে। স্বাধীনতার এই সূর্যকে ছিনিয়ে আনতে বাঙালিকে হাজার বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। ইতিহাসের নানা বাকে নানা ব্যক্তি ...

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ: ইতিহাসের যুগল যাত্রা

ড. প্রণব কুমার পাণ্ডে: 'জাতির জনক' এবং 'বঙ্গবন্ধু'র মতো দুর্দান্ত উপাধি যুক্ত হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের নামের সঙ্গে। এটা এমনি এমনি হয়নি, আর একদিনেই এসব বিশেষণ অর্জন করেননি তিনি। বাংলাদেশ নামক এই রাষ্ট্র সৃষ্টির প্রতিটি ধাপে অনন্য অবদানের কারণে এসব উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন শেখ মুজিব। এখন কেউ প্রশ্ন করতে পারেন যে, বঙ্গবন্ধু কেন দেশের মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছি...

পাকিস্তান সরকারের স্বরূপ উন্মোচনে শেখ মুজিব সিদ্ধহস্ত ছিলেন

ড. আতিউর রহমান: ১৯৫৬ সালের ১৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত কাগমারী সম্মেলনে দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতির ভাষণে শেখ মুজিবুর রহমান কৃষকসমাজের দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য সংঘবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তোলার উদাত্ত আহ্বান জানান। গোয়েন্দা বিভাগ কর্তৃক সংরক্ষিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তিনি এদিন নানা সমালোচনায় শাসকগোষ্ঠীর স্বরূপ উদ্ঘাটন করেন। তিনি বলেন, ‘দেশ ও জাতির শত্রু এই শাসকগোষ্ঠীকে ক্ষম...

বাংলাদেশকে যেভাবে সমৃদ্ধ করছেন তিনি

ড. এ কে আব্দুল মোমেনঃ পাকিস্তানি দুঃশাসনের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভ করার পর মাত্র কয়েক কোটি টাকার বাজেট নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল যে ছোট্ট দেশটি, সেই দেশের বাজেট আজ ৫ লক্ষ কোটিকেও ছাড়িয়ে গেছে। ছোট্ট অর্থনীতির দেশটা আজ পরিচিতি পেয়েছে এশিয়ার ‘টাইগার ইকোনমি’ হিসেবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়নের যে কোনো সূচকের বিচারে গত দুই দশকের বাংলাদেশের অগ্...

ঐতিহাসিক দিনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কমিটি ঘোষণা

আজ ঐতিহাসিক ১৭ এপ্রিল। এইদিনে মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথ তলার আম্রকাননে বাংলাদেশের মুক্তিপাগল সাড়ে সাত কোটি মানুষের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। স্বাধীনতার এক বছর পর একই দিনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়। কমিটির সভাপতি হন শেখ মুজিবুর রহমান, আর সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান। আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দলের সাংগঠনিক কমি...

১৭ এপ্রিল ১৯৭১: একটি ঐতিহাসিক ধাপ পেরিয়েছিল বাংলাদেশ

এম নজরুল ইসলামঃ ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত বাঙালি জাতি পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর দ্বারা কেবলই নিপীড়িত হয়েছে। বাঙালিকে বঞ্চিত করা হয়েছে প্রতি পদে পদে। ১৯৭০-এ পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম সরাসরি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু বাঙালিদের পাকিস্তানের শীর্ষ ক্ষমতায় যেতে দিতে পাঞ্জাবি শাসকরা রাজ...

সংবিধান রচিত হবে চার স্তম্ভের ওপর: গণপরিষদ অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু

স্বাধীন বাংলাদেশে গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে ১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল। ওই দিনই স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন। স্বাধীনতা ঘোষণার প্রস্তাব নিয়ে কথা বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি মুক্তি সংগ্রামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের কথা উল্লেখ করে কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন এবং জানান, সবার আগে সংবিধান (সেসময় পত্রিকাগুলোতে শাসনতন্ত্র হিসেবে লেখা হতো) তৈরির কাজ শেষ করাটাই বড় কর্...

৭ই মার্চঃ বাঙালি জাতির চিরন্তন অনুপ্রেরণা

সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা এই বাংলাদেশের মানুষের সকল আশা আকাংক্ষার মূলে ছিল একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে মাথা তুলে দাঁড়ানোর বাসনা। কন্ঠস্বরে প্রকাশ হওয়ার আগে এই আকাঙ্ক্ষা বুকে নিয়েই কাটিয়েছে প্রায় আড়াইশো বছর। অবশেষে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ এর তপ্ত দুপুরে আসে সেই পরম আরাধ্য স্বাধীনতার ঘোষণা। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পাকিস্তান ...

জয় বাংলার বাংলাদেশ

অধ্যাপক ডাঃ মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) জয় বাংলা বাঙালীর জাতীয় স্লোগান। এই স্লোগান মুখে মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানের দখলমুক্ত করেছিল বাংলাদেশকে। জয় বাংলা তাই আর দশটা স্লোগানের মতো সাধারণ কোন স্লোগান নয়।আমার লেখায় আর বলায় প্রায়ই বাঙালীর ইতিহাসকে টেনে আনি। বাঙালীর যে হাজার-হাজার বছরের ইতিহাস, এমনকি চর্যাপদ থেকে শুরুটা ধরলেও ন্যূনতম যা এক হাজার বছরে...

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ

ড. মো. আনিসুজ্জামানঃ যুদ্ধকালীন ও যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন বাঙালি জাতির এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার গঠন, সেই সরকারকে সঠিক পরিকল্পনা এবং নির্দেশনা দিয়েছেন তাজউদ্দীন আহমদ। বঙ্গবন্ধুর নামে পরিচালিত সরকারে তাঁর নেতৃত্বে ৯ মাসে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তিনি ছিলেন সশস্ত্র মুক্তিযো...

তাজউদ্দীন আহমদ : মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম রূপকার

জি এম তারিকুল ইসলামঃ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ অভ্যুদয়ের ক্ষেত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর যে নামটি অনিবার্যভাবে এসে যায়; সেই নামটি হলো বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ। স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির পূর্বে ও উত্তরকালের রাজনীতিতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন এই তাজউদ্দীন আহমেদ। ঢাকা শহর থেকে মাত্র ৮২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বর্তমান গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপ...

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ৭ মার্চ

অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খানঃ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে অনেক আলোচনা পর্যালোচনা, বিশ্লেষণ হয়েছে। এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কিন্তু এই ভাষণের পর তৎকালীন বাঙালি জাতির ওপর কী প্রভাব পড়েছে বা মানুষ কীভাবে দ্রুত স্বাধীনতা কিংবা মুক্তিযুদ্ধের দিকে এগিয়ে গেছে, সেটি খুব আলোচনা হয়নি। তা নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছানো জরুরি। ১৯৭১...

শরণার্থী ১৯৭১ঃ সীমান্তজুড়ে একেকটি বাংলাদেশ

'ভারত ও পাকিস্তান সীমান্তের একটি কর্দমাক্ত শহর বারাসাত। এর স্বাভাবিক জনসংখ্যা ২১ হাজার। এশীয় মানদণ্ডে বিচার করলে এখানকার হাসপাতালটি কোনোরকমে এই অধিবাসীদের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যের ব্যবস্থা করতে পারে। গত সপ্তাহে দেড়-দুই লাখ লোক বানের জলের মতো বারাসাত শহরে ঢুকে পড়েছে। তারা শহরের চারদিকে ধানি জমিতে গিজগিজ করছে। স্কুল, কলেজ, সিনেমা হল এবং পতিত জমিতে তাদের আশ্রয়ের ব্যব...

মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ঃ আত্মসমর্পণের আগের সেই মুহূর্তগুলো

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। সময় আনুমানিক সকাল ৯টা। ঢাকায় অবস্থানরত পাকিস্তানের ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা তাদের দপ্তরে বসে বৈঠক করছিলেন একসঙ্গে। একটি চিরকুট এলো সেই সময়, চমকে দিল সবাইকে। বৈঠকে ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ কে নিয়াজি, মেজর জেনারেল জামশেদ, মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী, রিয়ার অ্যাডমিরাল শরিফ, ব্রিগেডিয়ার বকর সিদ্দিকী, সিদ্দিক সালিক ও আরও কয়েকজন। সেই চি...

সেদিনের অকুতোভয় তরুণরাই বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবিঃ বাহালুল মজনুন চুন্নু

পঁচিশে মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি হানাদাররা শোষিত ও নির্যাতিত মানুষের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে রক্তের সমুদ্রে ভাসিয়ে দিতে যে ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর গণহত্যা শুরু করেছিল, মৃত্যু-ধ্বংস-আগুন-আর্তনাদের বীভত্স খেলায় মত্ত হয়ে যে বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল, নয় মাস পর তার পরিসমাপ্তি ঘটেছিল ষোলই ডিসেম্বর। লন্ডনের নিউ টাইমস পত্রিকায় সেই সময় বলা হয়েছিল, রক্তই যদি কোনো দেশের স্...

বঙ্গবন্ধু বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের জনক

হাশেম খানঃ বাংলাদেশ পৃথিবীতে এসেছে চিরকালীন স্থায়িত্ব নিয়ে। যে মানুষটি এ দেশের স্বাধীনতার জন্য নেতৃত্ব দিয়েছেন— তিনি শুধু এই বাংলাদেশের নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের অধিকারের জন্যই রাজনীতি করেননি। তাঁর রাজনীতি সারা বিশ্বের নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের জন্য প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। ৭ই মার্চ ১৯৭১-এ যে ভাষণ তিনি দিয়েছিলেন— আজ সারাবিশ্ব সেই ভাষণকে গুরুত্ব দিয়েছ...

স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের প্রতীক আওয়ামী লীগ

তোফায়েল আহমেদঃ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শামসুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ যারা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা তাদের আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। ঐতিহাসিক ২৩ জুন ১৭৫৭ সালে পলাশীর আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার লাল সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতাগণ দলের আন...

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীঃ বাংলার মাটি ও মানুষের পাশে ৬৯ বছর

আজ থেকে ৪৭ বছর আগে দেশের মানুষের স্বপ্ন ছিলো স্বাধীনতা। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ তখন দেশের মানুষের সেই স্বপ্ন পুরনে নেতৃত্ব দিয়ছিলো। আজ, দেশের মানুষের স্বপ্ন - ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা। আবারো আওয়ামীলীগ দেশের মানুষের সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের জীবনমান পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্...