বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা

খন্দকার হাবীব আহসানঃ ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, বাঙালি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে; দেশীয় সামরিক- বেসামরিক ক্ষমতালোভী জোট এবং দেশী- বিদেশী স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্তে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কতিপয় জুনিয়র কর্মকর্তার পরিকল্পিত সশস্ত্র আক্রমণে নিহত হয়েছিলেন। নির্মম এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছিলো দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র সাড়ে তিন বছরের কিছু বেশি...

স্বপ্নীল বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধু

মোহাম্মদ বেলাল হোসেন: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন, ‘ঐ মহামানব আসে।’ আমাদের জাতীয় জীবনে মহামানব হিসেবে এসেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি এসে আমাদের উপহার দিয়েছিলেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, মুক্ত করেছিলেন হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ও পরাজয়ের অপমান হতে। তিনি ছিলেন ‘দিঘল পুরুষ।’ তাঁর চোখে সর্বদাই ধরা পড়...

বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামালের পরিচয় জানার পরই তাঁকে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে ঘাতকরা

পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট নারকীয় হত্যাযজ্ঞের প্রধান লক্ষ্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেও এ দিনের ঘটনায় প্রথম শহীদ হন তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র শেখ কামাল। বঙ্গবন্ধুর ছেলে পরিচয় দেয়ার পর মেজর (বরখাস্ত) বজলুল হুদা তার স্টেনগান দিয়ে বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামালকে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু বাড়ির অন্যতম পাহারাদার হাবিলদার কুদ্দুস সিকদারের আদালতে দেয়া সাক্ষ্য থেকে জানা যায়, বাড়িতে প্রথম প্রব...

‘কাছ থেকে দেখা’মোশতাক-জিয়ার ষড়যন্ত্র

অজয় দাশগুপ্ত: ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- কাছ থেকে দেখা’ গ্রন্থ লিখেছেন অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, যিনি ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সালের প্রথম কয়েক মাস পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন- কিন্তু ‘রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার মানসিকতা এবং উৎসাহ বা প্রবণতা কোনোটাই আমার নেই। [পৃষ্ঠা ৩৯] বঙ্গবন্ধু তাকে বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে নিয়...

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া

ফজিলাতুন নেসা বাপ্পিঃ বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বাদী এএফএম মহিতুল ইসলাম আদালতে বলেছেন, আমার ধারণা ছিল ঘাতকরা অন্তত শিশু রাসেলকে হত্যা করবে না, সেই ধারণাতেই আমি রাসেলকে বলি, ‘না ভাইয়া তোমাকে মারবে না।’ বাদী আদালতে বলেন, গেটে অবস্থানরত মেজর বজলুল হুদাকে মেজর ফারুক (ফারুক রহমান) কী যেন জিজ্ঞাসা করেন, তখন মেজর বজলুল হুদা বলেন, ‘All are fini...

স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায় আগস্ট মাস

তাজিন মাবুদ ইমনঃ আগস্ট মানেই বাঙালি জাতির বেদনা বিধুর শোকের মাস। এই শোকের মাসেই বাঙালির স্বাধীনতার স্থপতির বুকের তাজা রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল স্বাধীন শ্যামল বাংলার মাটি।বাঙালি জাতির জন্য যিনি স্বাধীনতার বিজয় কেতন আকাশে উড়িয়েছিলেন, তাকেই হত্যা করে তার আদর্শের পরিসমাপ্তি ঘটানোর মাধ্যমে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার মাধ্যমে ইতিহাস কলঙ্কিত করতে চে...

কর্নেল ফারুক ও রশীদ স্বীকার করেছিল বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে জিয়া জড়িত থাকার কথাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার জন্য জিয়াউর রহমানকে পুনরায় অভিযুক্ত করে বলেছেন, ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা ছিল সেটা একদিন বের হবে। তিনি বলেন, ‘হত্যার বিচার হয়েছে। তবে, এই ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা ছিল, একদিন সেটাও আবিষ্কার হবে। কিন্তু, আমাদের কাজ একটা ছিল- প্রত্যক্ষভাবে যারা হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার করা। আর সব থেকে বড় কাজ এই দেশ এবং দেশের...

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে খুন করা হয় বাংলাদেশকে

বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে মূলত স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশকেই খুন করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, হাজার বছরের বহমান জাতীয় সংষ্কৃতি এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়। উগ্রবাদ ও অসহিষ্ণুতার রাজনীতি শুরু হয় দেশে। বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে প্রমাণ করতে কুঠারাঘাত করা হয় অর্থন...

বাংলাদেশের কলঙ্কজনক অধ্যায় জিয়াউর রহমান: গণতন্ত্রের হন্তারক ও স্বৈরাচারী ব্যবস্থার জনক

৩ জুন, ১৯৭৮ সাল। বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অন্ধকার অধ্যায়। সেনাপ্রধানের পদে থেকে নাটকীয় এক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেন জিয়াউর রহমান। রাজনৈতিক দলগুলোকে কোণঠাসা করে নিজেই গঠন 'জাগদল' নামের একটি দল। এরপর তথাকথিত সেই নির্বাচন শেষে নিজেই নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। জিয়াউর রহমানের সামরিক উর্দি ও অস্ত্রের ভয়ে দেশের গণমাধ্যম অনিয়মের বিষয়ে চুপ থাকলেও, বিদেশি গণমাধ্যমে ত...

জিয়ার ‘বীর উত্তম’ খেতাব প্রত্যাহার বিতর্ক যে কারণে রাজনৈতিক নয়

সুলতান মির্জাঃ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক জেনারেল জিয়াউর রহমান যদি ইতিহাসের মহানায়ক হয়ে থাকেন তাহলে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা নেই জিয়াউর রহমানকে খলনায়ক বানানোর। অপরদিকে জিয়াউর রহমান যদি ইতিহাসের খলনায়ক হয়ে থাকেন তাহলে বিএনপি-জামায়াত মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ঐক্যজোট- কারোই ক্ষমতা নেই তাকে মহানায়ক বানানোর। ইতিহাস তার নিজ গতিতেই চলমান। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্টের পরে এ দেশে...

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়া জড়িত ছিলো

শামস্ রহমানঃ ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবস। ওইদিন বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যা করে সেনাবাহিনীর একদল সদস্য। হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন হয়েছে সে আজ দীর্ঘদিন । অপরাধীদের সাজা কার্যকর হয়েছে সেও বেশ অনেক বছর। সেখানে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বিচার বা অপরাধীদের তালিকায় নেই। তারপরও কেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হা...

বঙ্গবন্ধু হত্যাঃ পলিটিক্যাল নয় ফিলোসোফিক্যাল কিলিং

হায়দার মোহাম্মদ জিতু: মাধ্যমিক পর্যায় বা তার নিম্ন শ্রেণীর গণিতে বামপক্ষ সমান ডানপক্ষ মেলানোর অঙ্ক শেখানো হয়। প্রোমোশন ও নম্বর পাবার আকাংক্ষায় সেই অঙ্ক শেখার অতীত সকলেরই আছে। কিন্তু ইতিহাসের বাঁক বদল বুঝতেও যে এই পন্থা সহায়ক হতে পারে সে বিষয়টি বহুলাংশেরই অজানা। তেমন এক ঐতিহাসিক বিষয় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা, যাকে এর মাধ্যমে জানা সম্ভব। এই হত্যাকাণ্ডের একদিকে অর্থ...

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড : সেই দুঃসাহসী প্রতিবাদের দিনগুলো

অজয় দাশগুপ্তঃ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিষ্ঠুর হতাকাণ্ডের তাৎক্ষণিক প্রতিবাদে কেন দেশবাসী গর্জে উঠল না, সে প্রশ্ন ৪৫ বছর ধরেই উচ্চারিত হচ্ছে। যে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ এবং তার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন জাতীয় ছাত্রলীগ, জাতীয় যুবলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, জাতীয় মহিলা লীগ ও জাতীয় কৃষক লীগের অফিসগুলো ‘পদপ্রত্যাশীদের’ ভিড়ে ...

আদরের রাসেল

জাফর ওয়াজেদঃ বাসায় ফিরে ঘরে ঢুকে বাবা প্রথমেই তাকে খুঁজতেন। ভরাট কণ্ঠে হাঁক দিতেন তার নাম ধরে। তিন চাকার সাইকেল ছেড়ে তড়িঘড়ি দৌড়ে এসে চড়ে বসত বাবার কোলে। বাবার চশমাটাকে দারুণ লাগত তার। হাত দিয়ে টেনে নিয়ে বাবার চোখ, গোঁফ, মুখের দিকে তাকিয়ে থাকত কখনও-সখনও। বাবা তাকে গল্প শোনাতেন, রূপকথা নয়, একটি নিপীড়িত দেশ ও তার মানুষ এবং সংগ্রাম করে তাদের স্বাধীনতা ল...

রাসেল, রাসেল তুমি কোথায়?

শেখ হাসিনাঃ রাসেল, রাসেল তুমি কোথায়?রাসেলকে মা ডাকে, আসো,খাবে না, খেতে আসো।মা মা মা, তুমি কোথায় মা?মা যে কোথায় গেল--মাকে ছাড়া রাসেল যে ঘুমাতে চায় না ঘুমের সময় মায়ের গলা ধরে ঘুমাতে হবে। মাকে ও মা বলে যেমন ডাক দিত, আবার সময় সময় আব্বা বলেও ডাকত। আব্বা ওর জন্মের পরপরই জেলে চলে গেলেন।৬ দফা দেওয়ার কারণে আব্বাকে বন্দি করল পাকিস্তানি শাসকরা। রাসেলের বয়স তখন...

যুদ্ধাপরাধ ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারে শেখ হাসিনা

বিচারপতি ওবায়দুল হাসানঃ বৈষম্যের বিরুদ্ধে দীর্ঘ যুদ্ধ করেই আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। বাঙালির স্বাধিকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী পথচলা সদা সরব থেকেছে বৈষম্যের বিরুদ্ধে। লড়াইয়ের পথ ধরেই বাংলার অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিব হয়ে ওঠেন 'বঙ্গবন্ধু'। 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম'-ঐতিহাস...

পঁচাত্তরের খুনিদের দায়মুক্তি অধ্যাদেশ এবং আমাদের দায়

মো. জাকির হোসেন: ২৬ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশের ইতিহাসে বিচারহীনতার সংস্কৃতির এক কলঙ্কিত অধ্যায়ের শুরু হয়েছিল ১৯৭৫ সালের এই দিনে। ১৫ই আগস্ট ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর নয়, রক্তাক্ত হয়েছিল সমগ্র বাংলাদেশ। খুনিরা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে বাঙালি জাতিকে পিতাহন্তারকের কাঠগড়ার দাঁড় করিয়ে ক্ষান্ত হয়নি। হত্যাকাণ্ডের এক মাস ১০ দিন পর ২৬ সেপ্টেম্বর সভ্যতা ...

ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাঙালীর কলঙ্কজনক স্মৃতি

ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ: সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পুরো রাজনীতির মোড় পরিবর্তিত হয়ে যায় পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে। এ ঘটনার পর প্রায় দেড় দশক দেশে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সামরিক শাসন চলে। এমনকি এ হত্যাকান্ডের বিচার আটকে দিতে এবং খুনীদের রক্ষায় একটি অধ্যাদেশ জারি করেন ‘স্বঘোষিত’ রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহ...

জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠন সময়ের দাবি

অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূরঃ দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষকে পাকিস্তানী শোষণের হাত থেকে মুক্ত করে স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছিলেন। এই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলায় রূপান্তরের স্বপ্ন দেখেছিলেন (যা এখন ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে)। পাকিস্তানের কারাগার থেকে দেশে ফিরেই বঙ্গবন্ধু দ্রুত যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলা...

১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড একটি জাতিগোষ্ঠী ও জাতিসত্তাকে গণহত্যার সামিল

পৃথিবীতে যুগে যুগে বহু ক্ষণজন্মা মহাপুরুষের উদয় ঘটেছে। এদের মধ্যে যারা তাদের সংগ্রামের ফসল হিসেবে সৃষ্টি করেছেন একটি রাষ্ট্র, একটি জাতিসত্তা। উল্লেখযোগ্যভাবে বলা যায়-জর্জ ওয়াশিংটন, মোস্তফা কামাল পাশা, মহাত্মা গান্ধী, হো চিন মিন, ইয়াসির আরাফাত, নেলসন ম্যান্ডেলা, চে গুয়েভারাসহ আরও অনেকে। এরা সবাই স্বপ্ন দেখেছেন স্বাধীন রাষ্ট্রের। আরও উন্নত দেশ ও স্বজাতি সত্তার বিকাশের এব...