জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে দেশে ফিরেই দ্রুত যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন শুরু করেন এবং সফলভাবে সদ্য স্বাধীন দেশের অর্থনৈতিক এবং অর্থনীতির বাইরের উভয় খাতের গভীরে প্রথিত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেন। বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রকাশিত সংবাদপত্রের রিপোর্ট এবং প্রকাশিত গ্রন্থে বলা হয়, অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক সম্পদের পর্যাপ্ত সহবরাহ, অবকাঠামো পূনন...
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে আর কোনদিন খুনীদের রাজত্ব ফিরে না আসার ব্যাপারে দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করে বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ আর কোনদিন খুনীদের ক্ষমতায় আসতে দেবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খুনীদের রাজত্ব এ দেশে আর আসবে না, আসতে দেওয়া হবে না। মুজিব আদর্শের প্রতিটি সৈনিককেই এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে চলতে হবে, কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না।’ প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী...
শেখর দত্তঃ জাতীয় শোক দিবস সামনে রেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের বহুমুখী অবদান এবং জাতীয় জীবনে সেই সব অবদানের প্রভাব নিয়ে যত ভাবছি, ততই বিস্মিত হচ্ছি। জাতীয় চেতনার ভ্রুণ সৃষ্টিতে, সেই চেতনার ভিত্তিতে জাতিকে একটি স্বাধীন মানচিত্র উপহার দিতে, হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী বিধ্বস্ত নবজাত দেশে রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠান গড়তে, জনজীবনকে স্বাভাবিক ও ব...
তোয়াব খানঃ ১৫ই আগস্ট বাঙালির জীবনের ঘোর অমাবস্যার কলঙ্কময় দিন। বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারবর্গসহ নারী-শিশু নির্বিচারে নৃশংসভাবে হত্যা শুধু নয়, বাঙালি জাতিকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়। এদিন সকালের বেতার ঘোষণাসহ পরবর্তী প্রতিটি পদক্ষেপে ঘাতকচক্র বাঙালি তথা বাংলাদেশবিরোধী অভিসন্ধির ছাপ সুস্পষ্ট করে রেখেছে। ইসলামিক রিপাবলিক ঘোষণা থেকে শুরু করে জয় বাংলার পরিবর্তে জিন্দাবাদ,...
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা সরকারগুলোর সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের নতুন মাত্রা পাওয়ার তথ্য রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত হাওয়ার্ড বি শ্যাফারের (১৯২৯-২০১৭) জবানিতে। ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৭ সালে ঢাকায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করা হাওয়ার্ড বি শ্যাফার ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময় পাকিস্তানে মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কাউন্সেলর ছিলেন। ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ ...
তোফায়েল আহমেদঃ ১৫ আগস্টের কালরাত্রিতে শাহাদত বরণকারী সবার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে কত কথা কত স্মৃতি আজ মনের চারপাশে ভিড় করে আসে! মনে পড়ে ১৯৭১-এর রক্তঝরা মার্চের ১৭ তারিখের কথা। সেদিন ছিল বঙ্গবন্ধুর ৫২তম জন্মদিন। ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে আলোচনা শেষে দুপুরে ধানমণ্ডির বাসভবনে বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনাকালে এক সাংবাদিক বঙ্গবন্ধুকে প্রশ্ন করেন- 'আপনা...
রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনঃ আমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় দুটি শব্দ হলো বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ। এই শব্দদ্বয় একটি অপরটির পরিপূরক। বঙ্গবন্ধু ছাড়া একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের আবির্ভাব যেমন কল্পনাতীত ঠিক একইভাবে আজকের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর সামগ্রিক চিন্তারই ফসল। আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। ছোটবেলায় জানতে পারি, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির জনক। স্বাধীন বাংলাদেশের রূ...
বছর ঘুরে আবার এসেছে বাংলাদেশের শোকের দিন ১৫ অগাস্ট; গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে জাতি পালন করছে জাতির জনককে হারানোর দিনটি। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সেনাবাহিনীর একদল কর্মকর্তা ও সৈনিকের হাতে সপরিবারে জীবন দিতে হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে। তার পরিবারের ছয় বছরের শিশু থেকে শুরু করে অন্তঃসত্ত্বা নারীও সেদিন ঘাতকের গুল...
গোলাম কুদ্দুছঃ পঁচাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশ ঘোর অমাবশ্যায় ডুবে থাকা এক জনপদের নাম। একটা সময় পর্যন্ত অবস্থা এমন ছিল যে, কোন আশা নেই, ভালবাসা নেই, আছে শুধু লোমহর্ষক হত্যা আর ষড়যন্ত্রের জাল বুননের নানা কাহিনী। প্রতি মুহূর্তেই দৃশ্যপটের পবির্তন ঘটেছে আর মৃত্যু হয়েছে আমাদের স্বপ্নগুলোর। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বপ্নগুলোকে হায়েনার দল ক্ষতবিক্ষত করে যেন প্রতিশোধের উন্মত্ততায়...
হাসনাত আব্দুল হাইঃ প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই মানুষ মানুষের বিরুদ্ধে অপরাধ করছে। এইসব অপরাধের মধ্যে গুরুতর হলো মানুষ হত্যা। এমন হত্যাকাণ্ড হয় জঘন্যতম এবং বর্বরোচিত যখন পুত্র জনককে হত্যা করে। এই হত্যায় শুধু নির্মমতা থাকে, তার সঙ্গে যুক্ত হয় অকৃতজ্ঞতাও। জন্মদাতাকে হত্যা করে যে সন্তান তার বা তাদের পরিচয় নরকের কিটের সঙ্গে তুলনা করলেও যথেষ্ট হয় না। তারা শুধু নরাধম নয়, সমস্ত...
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর বুকে সরাসরি গুলি চালিয়েছিল যে নরপিশাচ ঘাতক, অপরাধের ৩৫ বছর পর তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে জনকের রক্তের ঋণ শোধ করে বাঙালি জাতি। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা দায়ের, বিচারিক কার্যক্রম, রায় ও ফাঁসির দণ্ড কার্যকর- সব কিছু মিলিয়ে এক দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস। জাতিকে যিনি এনে দিয়েছিলেন স্বাধীনতা, সেই জনককে যখন সপরিবারে হত্যা ...
আহমেদ আমিনুল ইসলামঃ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ক্ষমতালোভী ষড়যন্ত্রকারীরা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে শুধু হত্যাই করা হয়নি- এই বাংলার বুক থেকে, বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় থেকে তাঁর নাম নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু হয়নি- তাঁর মৃত্যু হতে পারে না। এ দেশের ইতিহাস থেকে তাঁকে ন...
মুহম্মদ শফিকুর রহমানঃ বাঙালী জাতির ইতিহাসের কালরাত ১৫ আগস্ট তিনদিন পরই। সেদিন যে চক্রান্তে কালরাতের সৃষ্টি হয়েছিল, যে চক্রান্তে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল, চক্রান্ত সেদিন যেমন ছিল আজও তেমনি আছে। ভবিষ্যতেও যে থাকবে এমন ভবিষ্যদ্বাণীও করতে পারি না। রাষ্ট্রক্ষমতায় বঙ্গবন্ধুকন্যা Women leader of the world, তবে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর মিলিটারি জিয়া ক্ষমতা দখল করে কেবল বিষবৃ...
শান্তা মারিয়াঃ ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর। বাঙালি ও বাংলাদেশের জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের অবিচ্ছেদ্য অংশ এই বাড়ি। ষাটের আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ছয়দফার আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণআন্দোলনের সময় এই বাড়িটি ছিল সব সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্ত হয়ে বাড়িতে ফিরে এলে বঙ্গবন্ধুকে একনজর দেখার জন্য লাখো জনতা এই বাড়িকে তাদের তীর্থভূমিতে পরিণত করেছিল। ১৯৭০-এর নির্বাচনে যখন ত...
সিমিন হোসেন রিমিঃ কারাগারে বন্দি জীবনের একাকীত্বের মাঝে একের পর এক গণমানুষের মুক্তির চিন্তার ছবি আঁকেন তিনি মনে মনে। তাঁর অন্তরদৃষ্টি ছুটে বেড়ায় বাংলার এ প্রান্ত থেকে সে প্রান্তে। নিজ মাতৃভূমি এবং একই সঙ্গে বিশ্ব রাজনীতির গতি-প্রকৃতিও প্রবলভাবে নাড়া দেয় তাঁর অন্তরকে। পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে ভাবেন পরিবেশ পরিস্থিতি এবং এর অনুষঙ্গ নানা ধরনের মানুষকে নিয়ে। স্বপ্নের জাল বোনে...
স্বাধীন দেশের উন্নয়নের জন্য বঙ্গবন্ধু দিন-রাত ছুটে বেড়াচ্ছেন। যাচ্ছেন জেলায় জেলায়। এসেছেন রংপুরেও। তাঁর ভাষণ শুনতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ জড়ো হয়েছিল। বান্ধবী ইয়াসমিনের সঙ্গে গিয়েছিল এলিও। ভাষণ শুনে এলি মুগ্ধ। ভাবছিল, একবার যদি কাছ থেকে দেখতে পারতাম! পরদিন ছিল তাদের মর্নিং স্কুল। স্কুলে গিয়ে এলি জানল, বঙ্গবন্ধু রংপুরেই আছেন। সার্কিট হাউসে থাকছেন। ক্লাসে আর ...
ড. আতিউর রহমানঃ আমাদের তরুণ প্রজন্মের কাছে বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ণ অবয়বে উদ্ভাসিত হচ্ছেন। রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘ভারতবর্ষের ইতিহাস’ প্রবন্ধে লিখেছেন যে, সেই জাতিই ভাগ্যবান যার নতুন প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস থেকে অনুপ্রেরণার রসদ খুঁজে পায়। আমাদের বড়ই দুর্ভাগ্য যে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মহত্তম অর্জন এবং সেই অর্জনের প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এক...
রামেন্দু মজুমদারঃ ২০২০ সালে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন করব। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি-বেসরকারিভাবে দেশব্যাপী ২০২০-২০২১ কে মুজিব বর্ষ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। বেঁচে থাকলে আজ বঙ্গবন্ধুর বয়স হত ৯৮ বছর; কিন্তু আমাদের মনের পর্দায় ধরা রয়েছে তাঁর ৫৫ বছরের মুখচ্ছবি। এমন পৌরুষদীপ্ত বাঙালি খুব কমই দেখা ...
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে ঘাতকরা মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনায় আঘাত হানে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ শুধু দেশ স্বাধীনের লড়াই ছিল না, এটি ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনেরও জনযুদ্ধ। ভাষা আন্দোলনে বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার যে জাগরণ শুরু হয় তারই পূর্ণ প্রকাশ ঘটে মুক্তিযুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধে ধর্ম সম্প্রদায় নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছ...
বাহালুল মজনুন চুন্নূঃ শত শত বছরের শোষণ-বঞ্চনার অধীনে থেকে, বাঙালি যখন নিজস্ব পরিম-ল থেকে ক্রমে পেছনে সরে যাচ্ছিল, ঠিক সেই সময় পেছনের সব মহাপুরুষের কীর্তিগাথাকে মøান করে দিয়ে পাদপ্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ঘুমিয়ে পড়া বাঙালিকে পুনরায় জাগালেন, একত্রিত করলেন। করলেন নবধারায় উজ্জীবিত। শোষণ-বঞ্চনার ঘেরাটোপ থেকে বাঙালি ন...