অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমঃ বঙ্গবন্ধু তার জীবদ্দশায় বারবার বলেছেন ‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়।’ তিনি উল্লেখ করেন, বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষের ধর্মকর্ম করার অধিকার আছে। প্রতি বছর অপরিসীম বেদনা আর শোকাশ্রু নিয়ে ১৫ আগস্ট আসে বাংলাদেশে। পৃথিবীর একমাত্র ভাষা ও জাতিভিত্তিক রাষ্ট্র বাংলাদেশের স্রষ্টা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে দুই কন্যা...
বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম তাঁর ‘বঙ্গভবনে শেষ দিনগুলি’ গ্রন্থে লিখেছেন, “মিলিটারি এখন শাসন করছে, যেমনটা তারা করে এসেছে ১৯৫৮ সালের পর থেকে; সামান্য কিছু বিরতি অবশ্য মাঝখানে ছিল। অবশ্যই মিলিটারি মানে সেনাবাহিনী (The Army); আর মিলিটারি বা সেনাবাহিনীর শাসন মানে সেনা প্রধানের নেতৃত্ব।”[বঙ্গভবনে শেষ দিনগুলি, পৃষ্ঠা ২৯] বিচারপতি সা...
রাশেদ মেহেদীঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার চক্রান্ত মুক্তিযুদ্ধের আগেই শুরু হয়েছিল। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুকে হত্যার জন্য বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) দু'জন আততায়ীকে পাঠিয়েছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও এ চক্রান্ত অব্যাহত থাকে, যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭২ সালের শুরুতেই তৎকালীন সেনাবাহিনীর মেজর সৈয়দ ফারুক রহমান ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে গিয়েছিল...
মিল্টন বিশ্বাসঃ বাংলাদেশের সংবাদপত্রে পঁচাত্তরের আগস্ট মাসটি ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। তার শাহাদতবরণের পরের দিন ১৬ আগস্ট ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাংলা, দৈনিক ইত্তেফাক, দি বাংলাদেশ অবজারভার, দি বাংলাদেশ টাইমস প্রভৃতি পত্রিকা ১৫ আগস্ট মোশতাকের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহ...
এম. নজরুল ইসলাম: ১৫ আগস্ট বাঙালীর জাতীয় শোক ও সন্তাপের দিন। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয় ১৯৭৫ সালের এই দিনে। পরিকল্পনাটি ছিল সুদূরপ্রসারী। শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা নয়, তাঁর আদর্শকেও নির্বাসনে পাঠানোর গভীর ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। ঘাতকের বুলেট সেদিন ধানমন্ডির ঐ বাড়িতে শেখ পরিবারের কাউকে রেহাই দেয়নি। ঘাতকরা বঙ্গ...