তোফায়েল আহমেদঃ জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারারুদ্ধ থাকাকালে বা তার অবর্তমানে জাতীয় চার নেতা- সর্বজন শ্রদ্ধেয় সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামান বারবার জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। গভীর পরিতাপের বিষয় সমগ্র বিশ্বে যে কারাগারকে মনে করা হয় সবচেয়ে নিরাপদ স্থান সেই ক...
অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদঃ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার পর গোটা দেশের মানুষ শোকে মুহ্যমান। পিতৃহত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই জাতিকে সাক্ষী হতে হয় আরেকটি কলঙ্কজনক ঘটনার। যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ও ন্যাক্কারজনক হিসেবে বিদিত। ১৫ আগস্টের বেদনাদায়ক অধ্যায়ের আড়াই মাস পর তৎকালীন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (বর্তমান...
এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ৩ নবেম্বর সকালেই আমরা বাবার মৃত্যু সংবাদ পাই। মা অত্যন্ত ভেঙ্গে পড়েন। অনেক চড়াই-উৎরাই পার হয়ে যে মানুষটি কখনও হতোদ্যম হননি, সেই মানুষটিই বাবার মৃত্যু সংবাদে কেমন মুষড়ে পড়েন। এ সময় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী আর আত্মীয়-স্বজনে ভরে যায় আমাদের বাড়ি। মা চাচ্ছিলেন বাবার লাশটা রাজশাহীতে এনে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করতে। কিন্তু খুনীদের দোসররা ত...
(লেখাটি ২০১৯ সালে প্রকাশিত) মোহাম্মদ নাসিম: ১৯৬৬ সাল। তখন পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে এইচএসসির ছাত্র ছিলাম। ভুট্টা খাওয়ার বিরোধিতা করে ওই অঞ্চলের জনগণ তীব্র আন্দোলনে নেমেছিল। সেই আন্দোলনে রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে আমাকেও নেতৃত্ব দিয়ে হয়েছিল। আন্দোলনের এক পর্যায়ে বাবা এম মনসুর আলীসহ পাবনার অনেক নেতাকর্মীর সঙ্গে আমিও গ্রেফতার হয়ে...
সিমিন হোসেন রিমিঃ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সকালবেলা আমার ঘুম ভেঙেছিল প্রচণ্ড গুলির শব্দে। ঘর থেকে বের হয়ে দেখি- বাবা তাজউদ্দীন আহমদ, মা জোহরা তাজউদ্দীনসহ পরিবারের সবাই বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছেন। আমাদের সাত মসজিদ রোডের সেই বাসা। আমরা বুঝতে পারছিলাম না, কী ঘটছে। বাবাকে খুব অস্থির দেখাচ্ছিল। তিনি নানান জায়গায় ফোন দিচ্ছিলেন, কিন্তু কেউ ফোন তুলছিল না। সকালের আলো ফুটতে ...