শামস রহমানঃ আধুনিক গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে এক রাজনৈতিক দল অন্য দলকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করে রাজনৈতিক সুবিধার জন্য। সেটাই স্বাভাবিক। তা দেশে-বিদেশে সমানভাবে বিদ্যমান। বাংলাদেশে বিএনপিসহ অন্যান্য দল, বিশেষ করে ১৯৭৫ এর রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে, তারা আওয়ামী লীগকে ঘায়েল করার জন্য ‘বাকশাল’ (বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ) শব্দট...
জয়দেব নন্দীঃ ১৯৫২ সালের অক্টোবর মাসে নয়া চীনের পিকিং-এ এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তদানীন্তন পাকিস্তান প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব বাংলা থেকে শান্তি সম্মেলনে যোগদান করেন। পূর্ববাংলা থেকে তাঁর ভ্রমণ-সঙ্গী ছিলেন পূর্ববাংলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সহ-সভাপতি জনাব আতাউর রহমান খান, ইত্তেফাক সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন...
অজয় দাশগুপ্তঃ ৩ এপ্রিল, ১৯৫৭। পূর্ব পাকিস্তান আইনসভা অধিবেশন। মহিউদ্দিন আহমদ- মাননীয় স্পিকার, আমি মুদ্রা, পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা বিষয় কেন্দ্রের হাতে রেখে পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন প্রদানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুাব করছি। আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্যসহ অনেক সদস্য টেবিল চাপড়ে প্রস্তাবটি সমর্থন করে। মুসলিম লীগ, নেজামে ইসলাম ও শেরে বাংল...
সরদার মাহমুদ হাসান রুবেলঃ ৭ নভেম্বর বাংলাদেশে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যার কলঙ্কিত ষড়যন্ত্রের দিন, বিশ্বাসঘাতকতার দিন, পাকিস্তানি ভাবাদর্শের রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টার দিন। এদিনের ঘটনা জাতীয় রাজনীতিতে যে ওলটপালট করে দেয় তার রেশ থেকে আজও মুক্ত হতে পারেনি বাংলাদেশের রাজনীতি। দেশী এবং বিদেশী শক্তি যারা স্বাধীনতাবিরোধীদের সাহায্য করেছে, তারা যৌথভাবে ষড়যন্ত্র করে...
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শেখ মুজিবের সাংগঠনিক তৎপরতা যেন আরও বেড়ে যায় ১৯৫৮ সালের শেষ দিকে। পুরো প্রদেশ ঘুরে ঘুরে প্রান্তিক মানুষের খাদ্য সংকট ও ব্যক্তিস্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হওয়ার বিষয়গুলো বিভিন্ন জনসভায় তুলে ধরার পাশাপাশি বিভিন্ন গণমাধ্যমেও সাক্ষাৎকার দিয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার পক্ষে কথা বলছিলেন। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের অবিবেচনামূলক আচরণের ফলে প...