অজয় দাশগুপ্তঃ ৩ এপ্রিল, ১৯৫৭। পূর্ব পাকিস্তান আইনসভা অধিবেশন। মহিউদ্দিন আহমদ- মাননীয় স্পিকার, আমি মুদ্রা, পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা বিষয় কেন্দ্রের হাতে রেখে পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন প্রদানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুাব করছি। আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্যসহ অনেক সদস্য টেবিল চাপড়ে প্রস্তাবটি সমর্থন করে। মুসলিম লীগ, নেজামে ইসলাম ও শেরে বাংল...
সরদার মাহমুদ হাসান রুবেলঃ ৭ নভেম্বর বাংলাদেশে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যার কলঙ্কিত ষড়যন্ত্রের দিন, বিশ্বাসঘাতকতার দিন, পাকিস্তানি ভাবাদর্শের রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টার দিন। এদিনের ঘটনা জাতীয় রাজনীতিতে যে ওলটপালট করে দেয় তার রেশ থেকে আজও মুক্ত হতে পারেনি বাংলাদেশের রাজনীতি। দেশী এবং বিদেশী শক্তি যারা স্বাধীনতাবিরোধীদের সাহায্য করেছে, তারা যৌথভাবে ষড়যন্ত্র করে...
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শেখ মুজিবের সাংগঠনিক তৎপরতা যেন আরও বেড়ে যায় ১৯৫৮ সালের শেষ দিকে। পুরো প্রদেশ ঘুরে ঘুরে প্রান্তিক মানুষের খাদ্য সংকট ও ব্যক্তিস্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হওয়ার বিষয়গুলো বিভিন্ন জনসভায় তুলে ধরার পাশাপাশি বিভিন্ন গণমাধ্যমেও সাক্ষাৎকার দিয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার পক্ষে কথা বলছিলেন। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের অবিবেচনামূলক আচরণের ফলে প...
অজয় দাশগুপ্তঃ আজকের প্রজন্ম সেভাবে ইতিহাস জানে না। এ দীনতা যতোটা তাদের, ততোটাই আমাদের লজ্জা। আমরা তখন যৌবনের শুরুতে , বাংলাদেশে ঘটে চলেছে একের পর এক হত্যাকাণ্ড। তাও রাষ্ট্রের মসনদ নিয়ে। ক্যু এর পর ক্যু। কে যে কখন গদিতে বসবে তার কোনও দিশা পাওয়া যাচ্ছিল না। ক্ষমতার পালাবদলের আগেই ঘটছিল নারকীয় সব ঘটনা। পঁচাত্তর সালের ১৫ই অগাস্ট বাংলাদেশের বাঙালির জীবনে নিকৃষ্টতম...
অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান ঃ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড কোনো সাধারণ অভ্যুত্থানের ঘটনা ছিল না। এটি ছিল জাতীয় চেতনাকে ধ্বংস করা বা দেশকে পুনরায় পিছিয়ে দেওয়ার একটি সুপরিকল্পিত চক্রান্তের অংশ। এই একই চক্রান্তের ধারাবাহিকতায় সংঘটিত হয় ৩ নভেম্বরের জেল হত্যাকাণ্ড। এসব হত্যাকাণ্ড কোন...