অজয় দাশগুপ্ত: বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৫ আগস্টের মতোই একটি কলঙ্কিত-কুখ্যাত দিন ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৫। এ অধ্যায়ের হোতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত খন্দকার মোশতাক আহমদ ও জিয়াউর রহমান। অ্যান্থনী মাসকারেণহাস তাঁর ‘বাংলাদেশ: রক্তের ঋণ’ গ্রন্থে লিখেছেন: ‘২৬ সেপ্টেম্বর মোশতাক অর্ডিন্যান্স জারির মাধ্যমে শেখ মুজিবের হত্যাকারীদের কৃত অপরাধ থেকে অব্যাহতি প্রদান কর...
যে কোনো হত্যাকাণ্ডের বিচারের দায়িত্ব রাষ্ট্র নিলেও বাংলাদেশে জাতির পিতার হত্যার বিচারই আটকে দেওয়া হয়েছিল, যা বিশ্ব ইতিহাসেই বিরল। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর খুনিদের রক্ষায় একটি অধ্যাদেশ জারি করেন ‘স্বঘোষিত’ রাষ্ট্রপতি খোন্দকার মোশতাক আহমেদ। পরে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা নিয়ে সংবিধান সংশোধন করে খুনিদের রক্ষার পর পথটি স্থায়ী করার প্র...
ড. আনোয়ার খসরু পারভেজ: বছর ঘুরে আবার ফিরে এসেছে আগস্ট। এই মাসটি বাঙালির কাছে শোকের মাস হিসেবে চিহ্নিত। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে আমরা হারিয়েছি বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এদিন ভোররাতে ঘাতকের বুলেটে প্রাণ বিসর্জন দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাত...
১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট কালরাতে ঘাতকের হাতে নিহত হন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুননেছা, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল, জামালের স্ত্রী রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের, ধানমন্ডির বাসায় কর্তব্যরত এসবি অফিসার সিদ্দিকুর রহমান, বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামি...
শ ম রেজাউল করিমঃ ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বিশ্ব ইতিহাসে ঘৃণ্য কালো আইন নামে সমধিক পরিচিত। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথে নিকৃষ্ট অন্তরায় হিসেবে আবর্তিত হওয়া জগদ্দল পাথর। একটি স্বাধীন দেশে জাতির পিতার নৃশংস হত্যাকান্ডের বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়া পঙ্কিল অধ্যায়। একের পর এক সংবিধান লঙ্ঘনের কলঙ্কিত দলিল। পৃথিবীর আর কোন দেশে এমন কালো আইন ছিল না এবং নেই। প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন, ...
মোঃ ফুয়াদ হাসান: ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫, প্রথম প্রহরে সেনাবাহিনীর কিছু বিপদগামী সদস্যের হাতে সপরিবারে নির্মম ও ন্যক্কারজনক ভাবে নিহত হলেন বঙ্গবন্ধু। সেদিনই দুপুর বেলাতে (স্বঘোষিত) প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে খন্দকার মোস্তাক নিজেকে। ২৬শে সেপ্টেম্বর ১৯৭৫, অবৈধ্য ভাবে ক্ষমতার ভোগ দখলকারী খন্দকার মোস্তাক পরিবার সহ বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত খুনীদের বাচাতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জাড়ি ক...
বঙ্গবন্ধুর হত্যার মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ভূলুন্ঠিত করার অপপ্রয়াস চালানো হয়েছিল। ১৯৭১ সালে আন্তর্জাতিক চক্র ও তাদের এদেশীয় দোসরদের সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকেই বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর ব্লুপ্রিন্ট রচনা করে কুচক্রীরা। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালি জাতির মুক্তিদাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহ...
আসিফ কবীর: বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা ছিল ‘হাইলি মোটিভেটেড’। আমাদের নিকট অতীতে দেখা হলি আর্টিজানে যেমন মোটিভেটেড একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালায় ও নিরীহ মানুষদের বেঘোরে হত্যা করে (১লা জুলাই ২০১৬, নিজেদের প্রত্যক্ষ করা এ নৃশংস ঘটনা পরিক্রমা থেকে মোটিভেশন: মগজ ধোলাই’র তীব্রতা ও কুফল বুঝতে সরণ নিতে পারি)। থাইল্যান্ডের মার্কিন দূতাবাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ...
৩ জুন, ১৯৭৮ সাল। বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অন্ধকার অধ্যায়। সেনাপ্রধানের পদে থেকে নাটকীয় এক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেন জিয়াউর রহমান। রাজনৈতিক দলগুলোকে কোণঠাসা করে নিজেই গঠন 'জাগদল' নামের একটি দল। এরপর তথাকথিত সেই নির্বাচন শেষে নিজেই নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। জিয়াউর রহমানের সামরিক উর্দি ও অস্ত্রের ভয়ে দেশের গণমাধ্যম অনিয়মের বিষয়ে চুপ থাকলেও, বিদেশি গণমাধ্যমে ত...
মো. জাকির হোসেন: ২৬ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশের ইতিহাসে বিচারহীনতার সংস্কৃতির এক কলঙ্কিত অধ্যায়ের শুরু হয়েছিল ১৯৭৫ সালের এই দিনে। ১৫ই আগস্ট ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর নয়, রক্তাক্ত হয়েছিল সমগ্র বাংলাদেশ। খুনিরা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে বাঙালি জাতিকে পিতাহন্তারকের কাঠগড়ার দাঁড় করিয়ে ক্ষান্ত হয়নি। হত্যাকাণ্ডের এক মাস ১০ দিন পর ২৬ সেপ্টেম্বর সভ্যতা ...
ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ: সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পুরো রাজনীতির মোড় পরিবর্তিত হয়ে যায় পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে। এ ঘটনার পর প্রায় দেড় দশক দেশে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সামরিক শাসন চলে। এমনকি এ হত্যাকান্ডের বিচার আটকে দিতে এবং খুনীদের রক্ষায় একটি অধ্যাদেশ জারি করেন ‘স্বঘোষিত’ রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহ...
শ ম রেজাউল করিম: ১৯৭৫ সনের ১৫ আগষ্ট স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। আত্মস্বীকৃত খুনিরা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করেন যে “ক্ষমতা থেকে বঙ্গবন্ধুকে সরানোই ছিল তাদের লক্ষ্য। কিন্তু, তিনি এমন যোগ্যতা সম্পন্ন ছিলেন যে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে পরিবেশ পাল্টে দিতে সক্ষম ছিলেন, সে কারণে তাকে হত্যা করা ছাড়া কোন বিকল্প ছিল না&...
একাত্তরের মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করায় একজন অখ্যাত মেজর রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যান। কে জানত যে পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পেছনে তার সমর্থন থাকবে! একদিন ইতিহাস নিশ্চয়ই ওই খলনায়ক জিয়াকে বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টার মাইন্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পেছনে বড় কারণ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম...
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবার-পরিজনকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বাধীন ও জিয়াউর রহমানের মদদপুষ্ট স্বাধীনতাবিরোধীরা। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের যাতে বিচার করা না যায় সেজন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে খন্দকার মোশতাক আহমেদ। আর এই অধ্যাদেশকে সংবিধানে যুক্ত করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এর প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউ...
বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যার পেছনে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা এবং প্রত্যক্ষ মদদ ছিলো বলে মনে করেন সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনলাইন আলোচনা সভায় এমন বক্তব্য উঠে এসেছে। শনিবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আ...
রশীদুল হাসানঃ আগস্ট মানেই বাঙ্গালী জাতির জন্য একটি জঘন্যতম কলংকিত শোকের মাস। এই মাসে আমরা হারাই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের। জাতির পিতার দুই সন্তান বাঙ্গালীর কান্ডারি জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যান বিদেশে অবস্থান করার কারণে। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, অ...
বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকঃ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে বহু কালো কানুন প্রণয়ন করা হয়েছে বা প্রণয়নের চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু খুনীদের, বিশেষ করে রাষ্ট্রপ্রধানের খুনীদের আইনের আওতা থেকে রক্ষা করার জন্য কোন আইন স্মরণকালের ইতিহাসে কোন দেশেই খুঁজে পাওয়া যাবে না। রাষ্ট্রপতির খুনীদের ইনডেমনিটি বা রক্ষা কবচ দেয়ার জন্য শুধু খুনী মোশতাক এবং খুনী জিয়াই অর্ডিনেন্সের ...