২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম ‘বাংলাদেশ’ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের স্ফুলিঙ্গে উজ্জীবিত সশস্ত্র জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মুক্তির ইতিহাস, স্বাধীনতার ইতিহাস। স্ব...

২৫শে মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’

২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবস। মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত হত্যাযজ্ঞের দিন। জাতির পিতার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ’৭০-এর নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পাক-সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তরে নানা টালবাহানা শুরু করে। লোক দেখানো বৈঠকের মাধ্যমে সময় ক্ষেপণ করে নিরস্ত্র বাঙালি নিধনের গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ অসহযোগ...

১০ এপ্রিল ১৯৭১ঃ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র

১০ই এপ্রিল, ১৯৭১ সালের এই দিনে গঠিত হয় বাংলাদেশর প্রথম সরকার যা মুজিবনগর সরকার হিসাবে পরিচিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ৭০ এর নির্বাচনের রায়কে ভিত্তি করে এই সরকার গঠন করা হয় এবং ১৭ই এপ্রিল ১৯৭১ শপথ গ্রহণ করে।

৭ মার্চের ভাষণ ‘বিশ্ব ঐতিহ্য সম্পদ’

ড. জেবউননেছা: ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণ-আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা এবং ১৯৭০ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক বিজয়ের সাক্ষী এ দেশের জনগণ। এরপর পশ্চিম পাকিস্তানিদের ক্ষমতার মসনদে আসীন হওয়ার লিপ্সার প্রতিবাদে বাংলার মানুষকে করে তুলেছিল অদম্য সাহসী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠিত হয় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ। পশ্চিম পাকিস্তানিরা টানা নয়মাস হত্যা, ধর্ষণ, লুন্ঠন ...

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর

মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। ৩০ লাখ শহীদ আর দু’লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সাক্ষর এবারের বিজয়ের মাস নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে পালিত হবে। বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম ঘটনা হলো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক ঘটনার...

গুল্লি বয়ে গা, লবণ দেয়ে গা

নারায়ণ বাল্মিক দাস: চা-শ্রমিকদের ‘গুল্লি বয়েগা...লবণ দেয়ে গা...’ বলেছিল পাকিস্তানি সেনারা। না মানায় ২২ জন চা-শ্রমিককে ঘরে নিয়ে গিয়ে সুপারি খাইয়ে অবচেতন করে হত্যা করা হয়। সেই হত্যাযজ্ঞে আমিই একমাত্র জীবিত। আজও বয়ে বেড়াই ভয়ংকর মুহূর্তগুলো। এখনো সবিস্ময়ে ভাবি, ২২ জনের মধ্যে ২১ জন মারা পড়ল, আমি বাঁচলাম কেমনে! মার্চ থেকে এপ্রিলের মধ্যে হানাদার বাহিনী ...

জগন্নাথ হলেই ছিলাম

কালীরঞ্জন শীলঃ মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কোটি মানুষের স্বপ্নে, ত্যাগে, বীরত্বে রচিত হয়েছে এর ইতিহাস। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর মুখে মুক্তিযুদ্ধের কিছু অবিস্মরণীয় মুহূর্ত। আজকের জানাবো ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে পাকিস্তানি সেনাদের গণহত্যার বিবরণ। আমি থাকতাম জগন্নাথ হলের দক্ষিণ বাড়ির ২৩৫ নম্বর কক্ষে। খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে...

প্রবাসী মন্ত্রীসভার শপথের অপেক্ষা

একাত্তরের ১৬ এপ্রিল একদিকে পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রবাসী মু্জিব নগর সরকারে শপথ গ্রহণের গোপন প্রস্ততি চলতে তাকে। এদিন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ হয়। চুয়াডাঙ্গায় পাকিস্তানি বাহিনীর বিমান হামলায় মুক্তিবাহিনীর সদর দপ্তর সরিয়ে ভৈরব নদের অন্য পাড়ে ইছাখালী ...

১৯৭১-এর ঈদ: রাজাকারদের সহায়তায় ধর্ষণ ও গণহত্যা চালায় পাকিস্তানিরা

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে একটি ঈদ এসেছিল বাঙালির জীবনে। দীর্ঘ একমাস রোজা শেষে নভেম্বরের ২০ তারিখের সেই দিনটি ছিল শনিবার। মুসলিমদের জন্য সংযমের মাস হলেও, সেই রমজানজুড়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অসহায় নারী-পুরুষদের ওপর নৃশংস তাণ্ডব চালায় জামায়াত, রাজাকার ও পাকিস্তানি সেনারা। জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাড়ি-ঘরেও লুটপাট...

স্বাধীনতা সংগ্রামের অমূল্য দলিল

এম নজরুল ইসলাম:  স্বাধীনতা ঘোষণাপত্রটি ১০ এপ্রিল মুজিবনগর থেকে প্রথমে প্রচার করা হয়। এরপর ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে গণপরিষদের সদস্য অধ্যাপক এম ইউসুফ আলী আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। এই ঘোষণার মাধ্যমে নবগঠিত প্রবাসী আইন পরিষদ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করে। একই সঙ্গে এ ঘোষণাপত্র প্রবাসী সরকারের অবস্থা...

২৫ মার্চে গণহত্যা হয়েছিল-এটিই বাস্তবতা

উপরে উল্লেখ করা হয়েছে যে আওয়ামী লীগ সরকার ২৫শে মার্চের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেবার জন্য ২০১৯ সালে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করে। বিভিন্ন সময়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ব্যক্তিবর্গ এই গণহত্যার সার্বজনীন স্বীকৃতি আদায়ে তাদের প্রতিশ্রুতির কথা ব্যক্ত করেছেন। এছাড়াও, গণহত্যা প্রতিরোধ সম্পর্কিত জাতিসংঘের বিশেষ কাউন্সেলর-অ্যাডামা দেইং ২০১৯ সালের ২৪ শে মার্চ আমাদের মাননীয় ...

২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি

বাংলা, বাঙালি ও বঙ্গবন্ধু একই বৃন্তে তিনটি চেতনার ফুল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে গরিব-দুঃখী-মেহনতী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। তিনি জেল-জুলুম-হুলিয়া, শত যন্ত্রণা, দুঃখ-কষ্ট-বেদনাকে সহ্য করে বাংলার কৃষক-শ্রমিক জনতার মুখে হাসি ফোটাতে নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের মাঝে বঙ্গবন্ধু চিরদিন অম্ল...

৭ই মার্চের ভাষণ কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং কী কারণে তা প্রায় ২১ বছর নিষিদ্ধ করে রেখেছিল সামরিক-অগণতান্ত্রিক শাসকরা

৭ মার্চ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উত্তাল জনসমুদ্রে এক ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে স্বাধীনতার চূড়ান্ত রণ-প্রস্তুতির নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান। যার ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানিদের হাত থেকে শাসনব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বাঙালি জাতি, প্রস্তুত হতে থাকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য। এরপর ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানিরা যখন অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নিরস্ত্র মানুষের ওপর হা...

৭ মার্চ ১৯৭১ঃ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের আগে ঘটে যাওয়া ঐতিহাসিক ঘটনাপ্রবাহ

শীতের রুক্ষতার পরে যেমন প্রকৃতিতে ফল্গু-হাওয়া নিয়ে আসে বসন্ত, তেমনি ১৯৭১ সালে মার্চ মাস এসেছিল বাঙালি জাতির নব-জীবনের জন্য প্রাণ-সঞ্চারণী বার্তা নিয়ে। জনতার বুকের রক্তে-রাঙা সেই ব্যতিক্রমী বসন্তের প্রথম দিন থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরাসরি নির্দেশে চলতে শুরু করে বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো। ৩ মার্চ পল্টনের জনসভায় বঙ্গবন্ধু জানা...

বঙ্গবন্ধু, ৭ মার্চ ও রেসকোর্সের মহাকাব্য

জিয়া আহমেদঃ বঙ্গবন্ধু, ৭ই মার্চ ও স্বাধীনতা এই তিনটি শব্দের সমার্থক রূপ হচ্ছে বাংলাদেশ। অথচ এই ৭ই মার্চের ভাষণ একটা সময়ে এই স্বাধীন দেশে প্রচার ও বাজানো নিষিদ্ধ ছিল। একটা ধর্মভিত্তিক গোষ্ঠী ভয় পেত পূর্ব পাকিস্তানের সাময়িক জান্তাদের মতো, যেমন ভয় পেয়ে ১৯৪৭ এর পর থেকে বঙ্গবন্ধুকে ১২ বার জেলে আটকে রেখেছিল জিন্নাহ, আইয়ুব ও ইয়াহিয়ার মতো শাসকরা, যার উপর নজরবন্দী রেখেছিল ১...

উত্তাল মার্চ, ১৯৭১- মিছিলকারীদের উদ্দেশে সারাদিন প্রায় বিরামহীন ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু

২৪ মার্চ, ১৯৭১। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে সমাগত বিভিন্ন মিছিলকারীর উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রায় বিরামহীনভাবে ভাষণ দেন। তিনি বলেন, আর আলোচনা নয়, এবার ঘোষণা চাই। তিনি বলেন, আগামীকালের মধ্যে সমস্যার কোনো সমাধান না হলে বাঙালিরা নিজেদের পথ বেছে নেবে। আমরা সাড়ে সাত কোটি মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। কোনো ষড়যন্ত্রই আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবে না। সরকা...

৭ মার্চের ভাষণ ছিল মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা

- বিভুরঞ্জন সরকার ৭ মার্চে বাঙালি জাতির জীবনে একটি ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক বিশাল সমাবেশে ভাষণ দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের পথ রচনা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটিকে ইউনেস্কো বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ভাষণটিকে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ই...

পহেলা মার্চ থেকেই বঙ্গবন্ধুর শাসন শুরু

একাত্তরের অগ্নিঝরা মার্চের ১ তারিখ থেকেই বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন বাঙালি জাতির মুক্তির নিয়ন্তা। কারণ মার্চের প্রথম দিন থেকেই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশমতো দেশ চলতে শুরু করেছিল। সেদিনের রেসকোর্স ময়দান ও বর্তমানের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৭ মার্চের ভাষণটিকে কেন্দ্র করে দশ লাখেরও বেশি মানুষের সমাবেশ মানব ইতিহাসের বিরল ঘটনা। ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭...

২১শে ফেব্রুয়ারী ১৯৭১, ইতিহাসের এক সন্ধিক্ষণে বঙ্গবন্ধু

স্কোয়াড্রন লীডার সাদরুল আহমেদ খান (অবঃ): ২১শে ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালী ইতিহাসের এক অনন্য অধ্যায় আর এর সাথে বঙ্গবন্ধুর নাম নিবিড়ভাবে জড়িত। জাতির পিতা ১৯৪৮, ১৯৫২, ১৯৫৬, ১৯৬২, ১৯৬৯ এর আন্দোলনের দিনগুলোতে, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়নে, ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে মাতৃভাষা বাংলায় বক্তৃতা করার মাধ্যমে ভাষার মর্যাদা সমুন্নত করেছিলেন। ১৯৭১ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারীতে বঙ্গবন্ধ...

১৯৭১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ছিল বাঙ্গালির ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠারও আন্দোলন। বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদের শ্রেষ্ঠ প্রবক্তা শেখ মুজিব ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে সাড়ে ৭ কোটি বাঙ্গালির সর্বাত্মক লাভ করেন। বায়ান্নোর পথ ধরে জনগণের বিজয় অর্জিত হয়। ১৯৭১ সালের ২০-২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যরাতে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি মশাল মিছিল বের করা হয়। বঙ্গবন্ধু শহীদ মিনার পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করে মিছ...