অগ্নিঝরা ২৩ মার্চঃ স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন বঙ্গবন্ধু

২৩ মার্চ, ১৯৭১। পাকিস্তান দিবসে ঢাকার প্রেসিডেন্ট ভবন ও সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর ছাড়া বাংলাদেশে আর কোথাও পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা ওড়েনি। অসহযোগ আন্দোলনের এই দিনে মুক্তিপাগল মানুষ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা হাতে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের দিকে দৃপ্ত পদক্ষেপে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে এগিয়ে যায়। আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর সদস্যদের সামর...

উত্তাল ২৩ মার্চঃ পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে স্বাধীনতা ঘোষণার ইঙ্গিত দেন বঙ্গবন্ধু

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি এবং ত্রিকালদর্শী পুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবনের পুরোটাই ব্যয় করেছেন বাঙালি জাতির মুক্তির লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য। প্রায় দুই যুগ ধরে বিভিন্ন অধিকার আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি ঘুমন্ত বাঙালি জাতিকে জাগিয়ে তুলেছেন এবং ক্রমেই আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেছেন। ২৬ মার্চ সরাসরি স্বাধীনতা ঘোষণার আগে, ২৩ মার্চ ...

জয় বঙ্গবন্ধুকেও জাতীয় স্লোগান করা উচিত

‘জয় বাংলা’কে যেমন জাতীয় স্লোগান হিসেবে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দিয়েছে, একইভাবে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’কেও জাতীয় স্লোগান করা উচিত বলে দাবি জানিয়েছেন শরীয়তপুর- ১ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. ইকবাল হোসেন অপু। তিনি বলেন, জয় বাংলা- জয় বঙ্গবন্ধু এক ও অভিন্ন। এই স্লোগান একে অপরের পরিপূরক। জয় বাংলা ছাড়া জয় বঙ্গবন্ধু হয় না। ...

৭ মার্চের ভাষণ : পটভূমি ও তাৎপর্য

৫০ বছর আগে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ ভাষণটি দিয়েছিলেন। ১০ লক্ষাধিক লোকের সামনে পাকিস্তানি দস্যুদের কামান-বন্দুক-মেশিনগানের হুমকির মুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ওই দিন বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ কী পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু সেই ইতিহাস বিখ্যাত ভাষণ দিয়েছিলেন? ১৯৭০-এর ৭ ডিসেম্...

ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার

ড. সাজ্জাদ হোসেনঃ  জয়। এই শব্দটি বাঙালী জাতির জন্য শুধু একটি শব্দ নয়, বরং জাতির অস্তিত্বের একটি অংশ বললেও ভুল হবে না। জয় শব্দটি কেন বাঙালী জাতির জন্য এত বিশেষ, তা বাংলাদেশের উদ্ভবের ইতিহাস ঘাটলেই খুঁজে পাওয়া যায় উত্তর। ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’-এই ¯েøাগানে ১৯৭১ সালে মুক্তির পথে জেগে ওঠে মুক্তিকামী সমগ্র বাঙালী। স্বাধীনতা সংগ্রামে ত্রিশ...

২৩ মার্চ, ১৯৭১, ঘরে ঘরে উড়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা

একাত্তরের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবস বর্জন করে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ 'প্রতিরোধ দিবস' ও ন্যাপ (ভাসানী) 'স্বাধীন পূর্ববাংলা দিবস' হিসেবে পালন করে সারাদেশে। যদিও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিনটিকে 'ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব দিবস' হিসেবে পালন করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু সারা বাংলায় এদিন সরকারি ছুটিও ঘোষণা করেছিলেন। এদিন রাজধ...

বাংলাদেশের চার মূল নীতি: জাতীয়তাবাদের বিকাশ ও জাতিরাষ্ট্রের জন্ম

পাকিস্তান সৃষ্টির পর, ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বাংলার মানুষের ওপর জাতিগত ও সাংস্কৃতিক নিপীড়ন শুরু হয়। এর প্রতিবাদে নতুন এক বোধ জাগরিত হতে শুরু তরুণপ্রজন্মের মনে। পরবর্তীতে, জান্তাদের সীমাহীন অর্থনৈতিক শোষণ থেকে মুক্তি ও রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের দাবিতে একাট্টা হয়ে ওঠে পুরো বাঙালি জাতি। ছাত্রদের নিয়ে যে আন্দোলন শুরু হয় পঞ্চাশের দশকে, সত্তরের দশকে তাতে সক্রিয়ভাবে...

জয় বাংলার বাংলাদেশ

অধ্যাপক ডাঃ মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) জয় বাংলা বাঙালীর জাতীয় স্লোগান। এই স্লোগান মুখে মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানের দখলমুক্ত করেছিল বাংলাদেশকে। জয় বাংলা তাই আর দশটা স্লোগানের মতো সাধারণ কোন স্লোগান নয়।আমার লেখায় আর বলায় প্রায়ই বাঙালীর ইতিহাসকে টেনে আনি। বাঙালীর যে হাজার-হাজার বছরের ইতিহাস, এমনকি চর্যাপদ থেকে শুরুটা ধরলেও ন্যূনতম যা এক হাজার বছরে...