519
Published on মার্চ 15, 2022‘জয় বাংলা’কে যেমন জাতীয় স্লোগান হিসেবে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দিয়েছে, একইভাবে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’কেও জাতীয় স্লোগান করা উচিত বলে দাবি জানিয়েছেন শরীয়তপুর- ১ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. ইকবাল হোসেন অপু। তিনি বলেন, জয় বাংলা- জয় বঙ্গবন্ধু এক ও অভিন্ন। এই স্লোগান একে অপরের পরিপূরক। জয় বাংলা ছাড়া জয় বঙ্গবন্ধু হয় না। এটি বাঙালির হৃদয়ে একই স্লোগান হিসেবে মিশে আছে।
বুধবার (৯ মার্চ) শরীয়তপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে "বঙ্গবন্ধু মেলা-২০২২" এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে তিনি এ দাবি জানান।
ইকবাল হোসেন বলেন, ‘জয় বাংলা’র পর ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানই মানুষকে সবচেয়ে বেশি সাহসী করেছে। তরুণ মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধের সময় এই স্লোগান দিয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে সাহস-শক্তি সঞ্চার করে মুক্তিযুদ্ধের সময় শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধ করেছে। মন্ত্রিপরিষদ যদি জয় বাংলা স্লোগানের সঙ্গে যদি জয় বঙ্গবন্ধুকেও জাতীয়ভাবে সংযুক্ত করতো তাহলে মুক্তিযোদ্ধারা, বাঙালি জাতির যারা স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে, স্বাধীনতার যুদ্ধকে বিশ্বাস করে তারা আরও বেশি খুশি হতো।
অপু বলেন, রাষ্ট্রপ্রধান এবং মন্ত্রিপরিষদ যদি জয় বাংলার পাশাপাশি জয় বঙ্গবন্ধুকেও জাতীয় স্লোগান হিসেবে যুক্ত করতো, তবে এদেশের ১৬ কোটি মানুষ, স্বাধীন চেতা মানুষ যারা স্বাধীনতাকে ধারণ করে আরও বেশি খুশি হতো। শুধু জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধুই নয় এর সঙ্গে জয় শেখ হাসিনাও যুক্ত করা উচিৎ। কেননা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই স্বপ্ন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা তা পূরণ করেছেন। তাই বাংলাদেশ- মুক্তিযুদ্ধ- বঙ্গবন্ধু- শেখ হাসিনা একই সঙ্গে মিশে আছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, জেলা আ্ওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের অন্যতম সদস্য সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম তপাদার, জাজিরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোবারক আলী সিকদার, শরীয়তপুর পৌরসভা মেয়র এ্যাডভোকেট পারভেজ রহমান জন, জাজিরা পৌরসভা মেয়র মোঃ ইদ্রিস মাদবর।