আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম বিচার দাবি

এম নজরুল ইসলামঃ ১৫ আগস্ট ১৯৭৫। ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে সপরিবারে নিহত হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর এক দীর্ঘ সময় দেশে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ ছিল প্রায় নিষিদ্ধ। সে এক দুঃসহ দিন। জাতি ছিল স্তম্ভিত, দিকনির্দেশনাহীন। তখন সামরিকতন্ত্রের বুটে পিষ্ট গণতন্ত্র। বাকস্বাধীনতা ছিল না দেশে। দেশের বাইরেও কেউ এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ করার সাহস দেখাতে...

মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহিদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের সহধর্মিণী জাহানারা জামানের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহিদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের সহধর্মিণী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন মহোদয়ের মাতা জাহানারা জামানের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে পালিত হয়েছে। আজ সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে মরহুমার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদ...

বঙ্গবন্ধুর খুনিরা জেলহত্যা করেছেঃ সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৭৫ সালে যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিল তারাই জেল হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে, যা একটি সংরক্ষিত স্থান। জাতির পিতার খুনি ছিল জিয়া ও মোশতাক এবং তারাই এই হত্যাকাণ্ড (জেল হত্যা) ঘটিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় সংসদে এক অনির্ধারিত আলোচনায় এসব কথা বলেন...

সব হত্যাকাণ্ড একই সুতায় গাঁথা

ড. সাইফুদ্দীন চৌধুরীঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৈশোর থেকে চারিত্রিক দৃঢ়তার দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। যে কেউ তার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থ পড়লেই এ কথার সত্যাসত্য জানতে পারবেন। একজন অসামান্য ব্যক্তি হয়ে ওঠার নজির ওই সময় থেকেই তার মধ্যে দেখতে পাওয়া গেছে। কলকাতার শিক্ষাজীবন নানা কৌণিকে তার নেতৃত্বের মেধাকে ঋদ্ধ করে। বিশেষ করে হোসেন শহীদ সোহরাওয়...

জেলহত্যা বাঙালীর ইতিহাসের কালো অধ্যায়

কর্নেল (অব) কাজী শরীফ উদ্দিনঃ বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ আজ জেলহত্যা দিবস পালন করছে। ১৯৭৫ সালের এইদিনে তৎকালীন আওয়ামী লীগের চার শীর্ষ নেতা- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে ঢাকার কারাগারে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের পরেই তখন এ চার নেতা ছিলেন দলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শেখ মুজ...

৩ নভেম্বর জেল হত্যা: জাতির আরো একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়

হীরেন পন্ডিতঃ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামান এই চারটি নাম বাংলাদেশের ইতিহাসে উজ্জ্বল নক্ষত্রসম। এই চারজনকে ছাড়া স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা হয়তো সম্ভব না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ১৯৭১ এ স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য অপরিসীম ভূমিকা রেখেছেন এই চারজন। বাংলার ইতিহাসে অনেক গৌরবময় অধ্য...

জেলহত্যাঃ বাঙালি জাতির ইতিহাসে কলঙ্কিত অধ্যায়

৩ নভেম্বর, বাঙালি জাতির ইতিহাসে আরেক কলঙ্কিত দিন রক্তক্ষরা জেলহত্যা দিবস। স্বাধীন বাংলাদেশের যে কয়টি দিন চিরকাল কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে, তার একটি ৩ নভেম্বর। যে কয়েকটি ঘটনা বাংলাদেশকে কাঙ্ক্ষিত অর্জনের পথে বাধা তৈরি করেছে, তার মধ্যে অন্যতমটি ঘটেছিল ১৯৭৫ সালের এই দিনে। বাঙালী জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করতে ৪৭ বছর আগে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্র...

রাজশাহীতে বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতীয় চার নেতাকে স্মরণ

৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবসে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাজশাহীতে বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতীয় চার নেতাকে স্মরণ করা হয়েছে। দিবসটিতে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবর্ক অর্পণ, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া মাহফিল ও মানবভোজ বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী মহানগর আওয়ামী...

জেলহত্যা দিবস: সারাদেশে জাতীয় চার নেতাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ

জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও জাতীয় চার নেতার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা জাতীয় চার নেতাকে ১৯৭৫ সালের এ দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর র...

কারাগার যখন অনিরাপদ, কান্না যেদিন রক্ত

অজয় দাশগুপ্তঃ আজকের প্রজন্ম সেভাবে ইতিহাস জানে না। এ দীনতা যতোটা তাদের, ততোটাই আমাদের লজ্জা। আমরা তখন যৌবনের শুরুতে , বাংলাদেশে ঘটে চলেছে একের পর এক হত্যাকাণ্ড। তাও রাষ্ট্রের মসনদ নিয়ে। ক্যু এর পর ক্যু। কে যে কখন গদিতে বসবে তার কোনও দিশা পাওয়া যাচ্ছিল না। ক্ষমতার পালাবদলের আগেই ঘটছিল নারকীয় সব ঘটনা। পঁচাত্তর সালের ১৫ই অগাস্ট বাংলাদেশের বাঙালির জীবনে নিকৃষ্টতম...

১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় জেলহত্যা

অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান ঃ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড কোনো সাধারণ অভ্যুত্থানের ঘটনা ছিল না। এটি ছিল জাতীয় চেতনাকে ধ্বংস করা বা দেশকে পুনরায় পিছিয়ে দেওয়ার একটি সুপরিকল্পিত চক্রান্তের অংশ। এই একই চক্রান্তের ধারাবাহিকতায় সংঘটিত হয় ৩ নভেম্বরের জেল হত্যাকাণ্ড। এসব হত্যাকাণ্ড কোন...

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতীয় চার নেতা

তোফায়েল আহমেদঃ জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারারুদ্ধ থাকাকালে বা তার অবর্তমানে জাতীয় চার নেতা- সর্বজন শ্রদ্ধেয় সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামান বারবার জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। গভীর পরিতাপের বিষয় সমগ্র বিশ্বে যে কারাগারকে মনে করা হয় সবচেয়ে নিরাপদ স্থান সেই ক...

জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের ওয়েবিনার ৪ নভেম্বর

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাতীয় ৪ নেতাকে ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই বেদনাবিধুর জেল হত্যা দিবস ও জাতীয় ৪ নেতার স্মরণে কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজন করতে যাচ্ছে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা। কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু এমপির সভাপতিত্বে আ...

জেলহত্যা দিবসে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতি আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের শ্রদ্ধা

জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও জাতীয় চার নেতার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। মঙ্গলবার সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে এবং বনানী কবরস্থানে জাতীয় তিন নেতার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। ...

৩রা নভেম্বর: কলঙ্কিত এক প্রহর

অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদঃ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার পর গোটা দেশের মানুষ শোকে মুহ্যমান। পিতৃহত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই জাতিকে সাক্ষী হতে হয় আরেকটি কলঙ্কজনক ঘটনার। যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ও ন্যাক্কারজনক হিসেবে বিদিত। ১৫ আগস্টের বেদনাদায়ক অধ্যায়ের আড়াই মাস পর তৎকালীন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (বর্তমান...

রেখে গেল একরাশ স্মৃতি

এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ৩ নবেম্বর সকালেই আমরা বাবার মৃত্যু সংবাদ পাই। মা অত্যন্ত ভেঙ্গে পড়েন। অনেক চড়াই-উৎরাই পার হয়ে যে মানুষটি কখনও হতোদ্যম হননি, সেই মানুষটিই বাবার মৃত্যু সংবাদে কেমন মুষড়ে পড়েন। এ সময় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী আর আত্মীয়-স্বজনে ভরে যায় আমাদের বাড়ি। মা চাচ্ছিলেন বাবার লাশটা রাজশাহীতে এনে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করতে। কিন্তু খুনীদের দোসররা ত...

বাবার সঙ্গে আর দেখা হলো না

(লেখাটি ২০১৯ সালে প্রকাশিত) মোহাম্মদ নাসিম: ১৯৬৬ সাল। তখন পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে এইচএসসির ছাত্র ছিলাম। ভুট্টা খাওয়ার বিরোধিতা করে ওই অঞ্চলের জনগণ তীব্র আন্দোলনে নেমেছিল। সেই আন্দোলনে রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে আমাকেও নেতৃত্ব দিয়ে হয়েছিল। আন্দোলনের এক পর্যায়ে বাবা এম মনসুর আলীসহ পাবনার অনেক নেতাকর্মীর সঙ্গে আমিও গ্রেফতার হয়ে...

আগস্টে বাবার বিষণ্ণ মুখ

সিমিন হোসেন রিমিঃ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সকালবেলা আমার ঘুম ভেঙেছিল প্রচণ্ড গুলির শব্দে। ঘর থেকে বের হয়ে দেখি- বাবা তাজউদ্দীন আহমদ, মা জোহরা তাজউদ্দীনসহ পরিবারের সবাই বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছেন। আমাদের সাত মসজিদ রোডের সেই বাসা। আমরা বুঝতে পারছিলাম না, কী ঘটছে। বাবাকে খুব অস্থির দেখাচ্ছিল। তিনি নানান জায়গায় ফোন দিচ্ছিলেন, কিন্তু কেউ ফোন তুলছিল না। সকালের আলো ফুটতে ...

হে স্বদেশ ফের সেই কথা জানালাম...

সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপিঃ পঁচাত্তর-পরবর্তী বাংলাদেশের ইতিহাসে ৩ নভেম্বরের জেলহত্যা সবচেয়ে ন্যক্কারজনক ও কলঙ্কময় অধ্যায়। জালিয়ানওয়ালাবাগের নৃশংসতার পর এই জেল হত্যাকাণ্ড বিশ্ববিবেককেও স্তম্ভিত করে দেয়। এদিন মহান মুক্তিযুদ্ধের চার কাণ্ডারি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে যাঁরা স্বাধীনতা যুদ্ধকে দৃঢ়তার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেই চার মহান জাতীয় নেতাকে সভ্যতার ইতিহাস লঙ্ঘন ...

বিশ্বমানবতার ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা ৩ নভেম্বরের জেল হত্যা

এম. নজরুল ইসলাম: দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ গৌরব এই স্বাধীনতায় কিন্তু পরাজিত শক্তি থেমে থাকেনি। সদ্য স্বাধীন দেশে নানা রকম চক্রান্ত চালিয়ে যেতে থাকে। অবশেষে আসে ১৯৭৫ সাল। ১৫ই আগস্ট রাতে সেনাবাহিনীর একটি অংশের সহায়তায় কিছু ‘বিপথগামী’ সেনা সদস্যকে দিয়ে সপরিবারে হত্যা করা হয় জাতির...

ছবিতে দেখুন

ভিডিও