বঙ্গবন্ধু একাত্তরের মার্চেই বিকল্প সরকার পরিচালনা করেন

অজয় দাশগুপ্তঃ বাংলাদেশ কেবল স্বাধীনতা  অর্জন নয়, প্রশাসন পরিচালনা, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখার জন্যও যে প্রস্তুত, সেটা স্পষ্ট হয়ে যায় ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে অসহযোগ আন্দোলনের দিনগুলোতে। ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, আজ থেকে এই বাংলাদেশে কোর্ট-কাছারি, আদালত-ফৌজদারি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালেল জন্য বন্ধ থাক...

একাত্তরের এই দিনে- হরতাল অব্যাহত রাখাসহ বঙ্গবন্ধুর ৩৫ নির্দেশ

১৪ মার্চ, ১৯৭১। ঢাকার উত্তাল রাজপথে সেদিন ছিল এক ব্যতিক্রমধর্মী চিত্র। মাঝিমাল্লারা সব বৈঠা হাতে এদিনে রাজপথে নেমে আসে। সেদিনের রাজপথ ছিল মাঝিমাল্লাদের দখলে। সামরিক আইনের ১১৫ ধারা জারির প্রতিবাদে সেদিন বেসরকারী কর্মচারীরাও বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ১১৫-এর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানালেও এদিন শেখ মুজিব এক বিবৃতিতে বলেন, 'বাংলাদেশের মুক্তির স্পৃহাকে স্তব্ধ করা যাবে না। আমাদ...

পহেলা মার্চ দুপুর থেকেই শুরু হয় সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন

১৯৪৮ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জনক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ পাকিস্তান ভেঙে যাওয়ার সম্ভাব্য কারণ ব্যাখ্যা করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘যদি আমরা নিজেদের প্রথমত বাঙালি, পাঞ্জাবি ও সিন্ধি ভাবতে শুরু করি এবং শুধুই ঘটনাচক্রে নিজেদের মুসলমান ও পাকিস্তানি ভাবি, সে ক্ষেত্রে পাকিস্তান ভেঙে যাওয়া অনিবার্য।’ ২৩ বছর পর জিন্নাহর সেই আশঙ্কা সত্য প্রমাণিত হয়; পাকিস্তান ভেঙে ১৯৭১ সালে ...

অসহযোগ আন্দোলনে নারী

নীরু শামসুন্নাহারঃ ১৯৭১ সালের অগ্নিঝরা মার্চ। একাত্তর সালের পহেলা মার্চ দুপুর ১টা ৫ মিনিটে জেনারেল ইয়াহিয়া খান এক বেতার ভাষণে ৩ মার্চ ঢাকায় আহ্বানকৃত জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আকস্মিকভাবে স্থগিত ঘোষণা করেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে কোনোরকম আলোচনা না করেই প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান একতরফাভাবে এ-ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ...

অসহযোগ আন্দোলন- ৭ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ এর ঘটনাবলি

ভাষণ শেষে আড়াইটা বাজে বক্তব্য দেওয়ার কথা থাকলেও বঙ্গবন্ধু কিছুটা দেরিতে মঞ্চে ওঠেন। স্বাধীনতার ডাকসহ ঐতিহাসিক ভাষণটি দেন ঠিকই, কিন্তু সেটি সর্বস্তরে তখনো পৌঁছায়নি। কারণ পাকিস্তানি সামরিক শাসকদের হস্তক্ষেপে বেতারে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের লাইভ সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন বেতারের কর্মকর্তারা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন। পরদিন (৮ মার্চ) পাকিস্তান বেতারে...

অসহযোগ আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু

অজয় দাশগুপ্তঃ   মোহন দাস করমচাঁদ গান্ধী (মহাত্মা গান্ধী) ১৯২০ সালে ভারতবর্ষের স্বাধীনতার জন্য ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসকদের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের সূচনা করেন। এ বছরেই জন্মগ্রহণ করেন শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে অসহযোগ কর্মসূচির সফল প্রয়োগ করেছিলেন ১৯৭১ সালে। কাকতালীয় হতে পারে আরও একটি তথ্য- মহাত্ম...

অসহযোগের উত্তাল দিন

সেলিনা হোসেনঃ বাঙালি-বাংলাদেশের ইতিহাস একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের দিগ্দর্শন। বাঙালির অতিজাগরণে অসহযোগ আন্দোলন এবং পরবর্তী পর্যায়ে যোদ্ধা জাতি হিসেবে বাংলাদেশের সৃষ্টি বাঙালির এক দীপ্ত নতুন পরিচয়। নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশ পৃথিবীর সীমানায় বাঙালি জাতিসত্তার গৌরব ছড়িয়েছে। প্রতিষ্ঠা করেছে আত্মমর্যাদার ভিত্তি। মাতৃভাষার মর্যাদার জন্...

অহিংস অসহযোগ আন্দোলন মহাত্মা ও বঙ্গবন্ধু

মুনতাসীর মামুনঃ   ‘অসহযোগ’ ও ‘অহিংসা’- এ দুটি প্রত্যয় মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী বা মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে যুক্ত। রাজনৈতিকভাবে এ দুটি প্রত্যয় আগে ব্যবহৃত হয়েছে কিনা জানা যায় না, অসহযোগ কোনো কোনো ক্ষেত্রে থেকে পারে, অহিংসা নয়। মহাত্মা গান্ধী অসহযোগ ব্যবহার করেছেন রাজনীতিতে ১৯২০ থেকে ১৯৩০ পর্যন্ত, তবে অসহযোগের ভিত্তি সবসময় রাখতে চেয়েছেন ...