জিয়া আহমেদঃ বঙ্গবন্ধু, ৭ই মার্চ ও স্বাধীনতা এই তিনটি শব্দের সমার্থক রূপ হচ্ছে বাংলাদেশ। অথচ এই ৭ই মার্চের ভাষণ একটা সময়ে এই স্বাধীন দেশে প্রচার ও বাজানো নিষিদ্ধ ছিল। একটা ধর্মভিত্তিক গোষ্ঠী ভয় পেত পূর্ব পাকিস্তানের সাময়িক জান্তাদের মতো, যেমন ভয় পেয়ে ১৯৪৭ এর পর থেকে বঙ্গবন্ধুকে ১২ বার জেলে আটকে রেখেছিল জিন্নাহ, আইয়ুব ও ইয়াহিয়ার মতো শাসকরা, যার উপর নজরবন্দী রেখেছিল ১...
বিভুরঞ্জন সরকারঃ বাঙালির জাতীয় জীবনে কয়েকটি মাস বিশেষ তাৎপর্য নিয়ে উপস্থিত হয়।ফেব্রুয়ারি ভাষার মাস, মার্চ স্বাধীনতার মাস, আগস্ট শোকের মাস, ডিসেম্বর গণঅভ্যুত্থান ও বিজয়ের মাস। ফেব্রুয়ারি এলে ১৯৫২ সালের কথা মনে পড়ে। মার্চ এলে ১৯৭১ সালের কথা মনে পড়ে। আগস্ট এলে চোখ ভিজে আসে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভয়াল স্মৃতি মনে করে। ডিসেম্বরে মনে হয় ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭১...
২৪ মার্চ, ১৯৭১। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে সমাগত বিভিন্ন মিছিলকারীর উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রায় বিরামহীনভাবে ভাষণ দেন। তিনি বলেন, আর আলোচনা নয়, এবার ঘোষণা চাই। তিনি বলেন, আগামীকালের মধ্যে সমস্যার কোনো সমাধান না হলে বাঙালিরা নিজেদের পথ বেছে নেবে। আমরা সাড়ে সাত কোটি মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। কোনো ষড়যন্ত্রই আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবে না। সরকা...
- বিভুরঞ্জন সরকার ৭ মার্চে বাঙালি জাতির জীবনে একটি ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক বিশাল সমাবেশে ভাষণ দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের পথ রচনা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটিকে ইউনেস্কো বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ভাষণটিকে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ই...
এম. নজরুল ইসলামঃ পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের জন্মের ২৩ বছর পর ১৯৭০ সালে দেশটিতে প্রথমবারের মতো সরাসরি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে বাঙালীর প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার গঠনের যোগ্যতা অর্জন করে। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ ঢাকায় পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠিত...