সর্বস্তরের মানুষের অপরিসীম ত্যাগ ও জীবনের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে বিশ্ব-মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের। ত্রিশ লক্ষ মানুষের জীবনদানসহ এ দেশের স্বাধীনতার জন্য সরকারি হিসেবে দুই লক্ষ, বেসরকারি হিসেবে প্রায় পাঁচ লক্ষ নারী সম্ভ্রম হারিয়েছেন, পনেরো লক্ষেরও বেশি মানুষ পাকিস্তানি সামরিক জান্তা এবং তাদের সহযোগী জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগ, নেজামে ইস...
১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ। ফলে বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রাম বেগবান হয়। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার চূড়ান্ত নির্দেশনা দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ২৩ মার্চ ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র-খচিত পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। দেশজুড়ে উড়তে থাকে লাল-সবুজ...
২৩ মার্চ, ১৯৭১। পাকিস্তান দিবসে ঢাকার প্রেসিডেন্ট ভবন ও সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর ছাড়া বাংলাদেশে আর কোথাও পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা ওড়েনি। অসহযোগ আন্দোলনের এই দিনে মুক্তিপাগল মানুষ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা হাতে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের দিকে দৃপ্ত পদক্ষেপে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে এগিয়ে যায়। আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর সদস্যদের সামর...
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে ১৯৭১ সালের মার্চ মাস ছিল উত্তাল ঘটনাবহুল মাস। ১৯৭১ সালের ১ মার্চ হঠাৎ এক হটকারী সিদ্ধান্তে পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করলে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বাংলার আপামর অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর ২৫ মার্চ পর্যন্ত নানান ঘটনার মধ্য দিয়ে ধীর...
২০০১ সালের ১৩ই জুলাই বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের ঘটনা ঘটে। ৫ বছর দেশ পরিচালনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। এরপরই গর্ত থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা। সারাদেশে শুরু হয় হামলা-খুন-নির্যাতন। ১লা অক্টোবর নির্বাচনের দিন এর মাত্রা বাড়তে থাকে। ভোটকেন্দ্র ও...