আওয়ামী লীগের ৭৫ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের এই পথচলা কখনোই কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না, ছিল কণ্টকাপূর্ণ ও বিপদসংকুল। গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্যে প্রথমে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর অবর্তমানে তাঁরই সুযোগকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নীতি ও আদর্শে অবিচল, দৃঢ় ও সাহসী থেকে সুখে-দুঃখে- দুর্যোগে দুর্বিপাকে- সর্বদা গণমানুষকে সঙ্গে নিয়ে- হামলা, মামলা, আঘাত ও ষড়যন্ত্র সহ সব প্রতিবন্ধকতা জয় করে এগিয়ে চলে...
বাঙালি জাতির জাগরণ, জাতীয় চেতনার বিকাশ, হাজার বছরের দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মুক্তির জন্য গণজোয়ার, অকুতোভয় সংগ্রাম, জয় বাংলা স্লোগান, নৌকা প্রতীকে ভোটদান ও মহান স্বাধীনতা; এই সবকিছুর মূলেই রয়েছে একটি নাম- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
জানুয়ারি ১৯৬৬তাশখন্দে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী সেপ্টেম্বর ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের জন্য নিজেদের মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এর কিছুদিনের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী মারা যান। ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান লাহোরে পাকিস্তানের বিরোধীদলীয় রাজনীতিকদের একটি সম্মেলনে ছয়...
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারের হত্যা-পরবর্তী এক ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সময়ে, সব হারানোর বেদনা চেপে- জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন বলেই আজ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারছে বাঙালি জাতি। উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের সীমাহীন হিংস্রতা দূরীভূত হয়ে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে প্রতিটি মানুষের, প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আইনের শাসন। দারিদ্র্য...
বঙ্গবন্ধু কন্যার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমেই আবারো মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর স্বপ্ন ফিরে পেয়েছে স্বৈরাচার ও উগ্রবাদীদের ষড়যন্ত্রে ক্ষত-বিক্ষত বীর বাঙালি। তাই পরিবার হারানোর বেদনা বুকে চেপে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, শেখ হাসিনার স্বদেশে ফেরার এই অদম্য সাহসী দিনটিই বাঙালি জাতির লুট হয়ে যাওয়া স্বপ্ন ফিরে পাওয়ার দিন। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজি...