২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ সমাবেশে কয়েকটি মিলিটারি-গ্রেডের গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। সেই হামলায় আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত ও স্প্লিন্টারের আঘাতে ৩শ’র বেশি জন আহত হয়। নিহতদের মধ্যে ছিলেন মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমান। আহতদের মধ্যে অনেকের জীবনযাপন দূর্বিষহ হয়...
সবকিছু ঠিক থাকলে ২০০৬ সালের শেষের দিকেই হওয়ার কথা ছিল নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কিন্তু ২০০১ সালের অক্টোবরে সরকার গঠন করা বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতা ছেড়ে দিলে আর সুষ্ঠু ভোটে জিততে পারবে না জন্য দেশজুড়ে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটায়। খালেদা জিয়ার পুরো শাসনামলজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর। সেই ধারাবাহিকতাতেই বিএনপি-জামায়াতের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ২০০৫...
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলার মধ্য দিয়ে সবাইকে অবাক করে দেয় জেএমবি। তবে এরআগে, ২০০৪ থেকে ভয়ংকর হয়ে ওঠা বাংলা ভাইয়ের এই বাহিনীর হাতে সেবছর কমপক্ষে ৩২ জন হত্যার শিকার এবং শতাধিক ব্যক্তি পঙ্গু হয় বলে তথ্য উদঘাটন করে গণমাধ্যম। তাদের মধ্যে- ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল ওয়াসিম ওরফে ওসমান বাবুকে, ১১ এপ্রিল বাগমারার কনোপাড়ার গোলাম রব্বানী মুকুলকে উপরে লটকিয়ে...
বাংলাদেশে নাশকতাকারী সংগঠন বলতে প্রথমেই সবার চোখের সামনে ভেসে ওঠে জেএমবি, হরকত উল জিহাদ, বাংলা ভাই- এদের বর্বরতার দৃশ্য। তাহলে আসুন একবার এসব জঙ্গিবাদী সংগঠনেরর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের রাজনৈতিক সংযোগ ও ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে জেনে আসি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গোয়েন্দাদের তদন্ত ও সাংবাদিকদের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে দেখা গেছে, জেএমবি নামক নিষিদ্ধ সংগঠনটির নেতাদের পরিবার ...
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশজুড়ে ৬৩টি জেলায় বোমা হামলা করে জঙ্গিসংগঠন জেএমবি। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার জেএমবি ও হরকত-উল-জিহাদসহ জঙ্গি সংগঠনগুলোকে বিরোধী দল দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের জন্য তাদের কাছে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করে। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কয়েকবার এসব জঙ্গিদের আটক করলেও খালেদা জিয়া সরকারের নির্দেশে আবারো ছেড়ে দেওয়া হতো এই জঙ্গিদের। উদ্দেশ্য ছিল...