একজন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও গৃহহীনদের স্বপ্ন পূরণের গল্প!

সজল চৌধুরীঃ ‘একটি বাড়ি’ সব মানুষের স্বপ্ন থাকে। কিন্তু হয়তো অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে কারও কারও পক্ষে সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দান করা সম্ভব হয় না। তবুও স্বপ্নগুলো থেকে যায় মনের কোনায়। হোকনা সমাজের সেই মানুষটির যার অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতা এখনও সেই ভাবে সুদৃঢ় হয়নি। তাইতো আজ সবাই আবেগ তাড়িত। তাইতো আজ কান্নাজড়িত কণ্ঠে তারা তাদের খুশির ধারা জানাচ্ছে ...

ভাষা আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা

ভাষা আন্দোলনের পটভূমি  আমরা দেখেছি যে, ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তি সম্পন্ন হবার পর নবগঠিত ভারত রাষ্ট্রের নেতৃবৃন্দ দেশে একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রকৃতির সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের নীতি গ্রহণ করেন। অপরদিকে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী ও মুসলিম লীগ নেতৃত্ব দেশে যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রকৃতির সংসদীয় শাসন অর্থাৎ জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠার নীতি গ্রহণ না করে পূর্ব বাংলার নিরীহ শান্তিপ্রিয় মানুষে...

বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি প্রশ্নে শেখ মুজিব

১৯৫২ সালে নূরুল আমীন সরকার প্রাদেশিক আইন পরিষদে বাংলাকে সরকারী ভাষার মর্যাদা প্রদান ও পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব গ্রহণ করলেও ভাষা আন্দোলনকারীদের ওপর দমন, নির্যাতন অব্যাহত রাখে। ভাষা আন্দোলনকারীরা ভারতের এজেন্ট 'পাকিস্তানের শত্রু', পাকিস্তানের সংহতি বিনষ্টকারী' প্রভৃতি অভিযোগে মওলানা ভাসানী, শামসুল হক, আবুল হাশিস প্রমুখ নেতাসহ অসংখ্য কর্মীকে গ্রেফতার ক...

বঙ্গবন্ধুর কারাসঙ্গী : ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি

মহিউদ্দিন আহমেদঃ আমাকে অনুরোধ করা হয়েছে বিগত রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ও সেই সম্পর্কিত ঘটনাসমূহ বিবৃত করে একটি লেখা দেওয়ার জন্য। হয়তো মাঝে মাঝে আমার অজ্ঞাতে কখনও দু-এক লাইন মনে রাখার জন্য লিখি। কিন্তু ছাপানোর জন্য লেখা দিতে হবে, এ আমার কল্পনারও বাইরে। ঘটনা ঘটেছে ৫২ সালে, ৫০ বছর আগে। আজ এই জীবন সায়াহ্নে, স্মৃতি থেকে লেখা প্রায় একটি অসম্ভব ব্যাপার। ডায়েরি লেখার অভ্যাস আ...

ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা

গাজীউল হক: ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট অত্যন্ত বিরাট, বলা যেতে পারে এটি ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত। আর এই বিশাল প্রেক্ষাপটে ততোধিক বিশালত নিয়ে বিরাজিত একটি নাম-শেখ মুজিবুর রহমান। ভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা সংগ্রাম, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একটি অপরটির সঙ্গে এমনি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত যে, একটিকে ছেড়ে অন্যটি কল্পনাতে আসে না। একে অপরের সাথে অবিচ্ছি...

একটি মানুষও ঠিকানাবিহীন থাকবে নাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

দেশে কোনো লোক গৃহহারা থাকবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মুজিববর্ষে আমাদের লক্ষ্য—একটি মানুষও ঠিকানাবিহীন থাকবে না, গৃহহারা থাকবে না। যতটুকু পারি, হয়তো আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে, তাই হয়তো সীমিত আকারে আমরা করে দিচ্ছি। তাও যাই হোক একটা ঠিকানা আমি সব মানুষের জন্য করে দেব।’ ৬৬ হাজার ১৮৯টি গৃহহীন পরিবারের হাতে শনিবার ঘরের ...

লাখো গৃহহীনের মাথা গোঁজার ঠাঁই দিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা

লাখো গৃহহীনের মাথা গোঁজার ঠাই দিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা

সাংবাদিকদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ছিল হৃদ্যতার সম্পর্ক

বেবী মওদুদঃ চল্লিশের দশকে শেখ মুজিব যখন কলকাতায় ইসলামিয়া কলেজে পড়তে যান, তখন থেকেই তিনি বাংলার ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে যান। কিন্তু তাঁর লক্ষ্য ছিল ভবিষ্যতে রাজনীতি করার। তাই হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর শিষ্য হিসেবে তাঁর আদর্শের ছায়ায় তিনি নিজেকে গড়ে তোলেন। বিশেষ করে তরুণ নেতা হিসেবে শেখ মুজিব সবার দৃষ্টিনন্দিত হন। এই সময় থেকে সংবাদপত্র অফিসে তাঁর যাতায়াত শুর...

ভাষা আন্দোলনঃ মুসলিম লীগের মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করেন শেখ মুজিব

১৯৫১ সালের শেষের দিকে বন্দি শেখ মুজিবকে ফরিদপুর জেল থেকে ঢাকার জেলে নিয়ে আসা হলাে। যদিও প্রচণ্ড অসুস্থ শেখ মুজিবকে জেলে না নিয়ে জেল হাসপাতালে রাখা হয়েছিল এক মাস। কয়েকদিন পর চোখের চিকিৎসার জন্য শেখ মুজিবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই সুযােগে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীসহ প্রচুর মানুষ শেখ মুজিবের সঙ্গে দেখা করতে আসতে লাগল। ১৯৫১ সালের অক্...

মানুষকে ভালোবাসতে হবে ইতিহাস না জানলে রাজনীতি করা যায় না

(সাক্ষাতকারটি ২০১৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে 'উত্তরণ' এ প্রকাশিত হয়েছিল) সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী: উত্তরণ : আমরা আওয়ামী লীগের মুখপত্র ‘উত্তরণ’ থেকে এসেছি। আওয়ামী লীগের ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উত্তরণ বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করবে। আপনি বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্যা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেত্রী, আওয়ামী লীগ সম্পর্কে আপনার কাছে কিছু জানতে এস...

হত্যা ষড়যন্ত্র ও আমার বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভূমিকা বাঙালি তথা সারাবিশ্ব মনে রাখবে। আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপিত হবে। টুঙ্গিপাড়ায় এক কৃষক পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। সেখান থেকে নিজের রাজনৈতিক দক্ষতা ও স্মরণ শক্তির গুণে তিনি বর্তমান বাংলাদেশের জনক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় স্থান চির উজ্জ্বল। কলকাতায় ছাত্র-জীবনে তিনি মুহাম্মদ আলী জ...

স্মৃতির পাতায় জাতির জনক

তোফায়েল আহমেদ : আমাদের মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন ‘মুজিববর্ষ’ – করোনা মহামারির এই ক্রান্তিকালে – সীমিত পরিসরে সগৌরবে দেশজুড়ে মর্যাদার সাথে পালিত হচ্ছে। জাতি প্রতি বছর এই দিনটি যথাযথভাবে পালন করে। প্রতি বছর দিনটি যখন আমাদের জীবনে আসে, তখন জাতির জনকের কথা স্মৃতির পাতায় বারবার ভেসে ওঠে। সৌভাগ্যবান মা...

‘এই লভিনু সঙ্গ তব’

গীতালি দাশগুপ্তাঃ “ঐ মহামানব আসে / দিকে দিকে রোমাঞ্চ লাগে / মর্ত ধূলির ঘাসে ঘাসে।” আজ ইংরেজির ২০২০ সাল। এখন থেকে শত বছর আগে অর্থাৎ ইংরেজি ১৯২০ সালে প্রত্যন্ত অজপাড়াগাঁয়ে জন্মেছিলেন এক মুষ্টিবদ্ধ শিশু। সেদিন সেই গাঁয়ের নাম এমনিভাবে বিকশিত ছিল না। ছিল না মানুষের মুখেও সেই গাঁয়ের নামটি। কখনও খুব একটা শোনাও যায়নি। অথচ আজ, সেই অজপাড়াগাঁয়ের নামটি ...

স্মৃতির মণিকোঠায় বঙ্গবন্ধু

এইচ টি ইমাম: সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে জানাই তার প্রতি অসীম শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা। তার সাথে রয়েছে বাঙালির আত্মার সংযোগ; বাঙালি খুঁজে পেয়েছে আত্মপরিচয়ের ঠিকানা। তিনি এমনভাবে আমাদের জীবনে-কর্মে-হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন, যেন মনে হয় আমাদের মাঝেই আছেন। দেশভাগের পূর্ব হতে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ প...

বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যে কয়েকটি কথা

আমির হোসেন আমু : আমাদের পারিবারিক ব্যবসা ছিল কলকাতায় (কাপড়ের দোকান)। থাকার বাড়িও ছিল। Hotel Bilkmore- এ আমার নানার শেয়ার ছিল। তার নাম ছিল বাদশা মিয়া (দত্তপাড়ার জমিদার)। পাকিস্তান হওয়ার পর পরিবারের সবাই একসাথে সবকিছু উইন্ডআপ/বিক্রি করে দেওয়ার জন্য যায়। ঐ সময় একদিন বিকেলে জনাব জাফর সাদেক (তানু নানা) বাসায় আসেন, কথাবার্তা বলার সময় আমাকে কোলে নিয়ে আদর করলে...

আমার দেখা মুজিব

সুফিয়া কামাল: শেখ মুজিবুর রহমান যখন বঙ্গবন্ধু হননি, বলা যেতে পারে তার কিশোর বয়স থেকেই আমি তাকে জানি। সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে তাকে প্রথম দেখি কলকাতায়। তখন ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র সে। রাজনীতিতে সোহরাওয়ার্দীর খ্যাতি যখন তুঙ্গে, সেই সময় থেকে ছাত্রকর্মী ছাত্রনেতা হিসেবে মুজিবুর রহমানকে আমি চিনি। নেতা হিসেবে সারাবিশ্বে পরিচিত হয়েছে মুজিবুর রহমান। কিন্তু আমার কাছে আমার ছ...

মুজিববর্ষ উপলক্ষে ১৪ হাজার অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবার পাবেন "বীর নিবাস"

মুক্তিযোদ্ধাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। স্বাধীন একটি দেশের জন্য জীবন বাজি রাখা রক্তক্ষয়ী মহান এক যুদ্ধে তাদের মধ্যে অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। আর্থ-সামাজিক বিবেচনায় অনেকের জীবনই মর্যাদাপূর্ণ নয়। অনেক মুক্তিযোদ্ধা এখনও মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেকেরই পরিবার পরিজন নিয়ে মাথা গোঁজাবার মতো সম্মানজনক ঠাঁইটুকুও নেই। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবং স্বাধীনতার ৫০ ব...

'বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক পুরস্কার' প্রবর্তন করতে যাচ্ছে ইউনেস্কো

সৃজনশীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তনের জন্য সর্বসম্মতভাবে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে ইউনেস্কোর কার্যনির্বাহী বোর্ড। সৃজনশীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী তরুণদের উদ্যোগকে এই পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হবে। সংস্থাটির ২১০তম কার্যনির্বাহী বোর্ডের ভার্চুয়াল সভায় এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনেস্কো। বাংলাদেশ যখন ...

৩০ মে, ১৯৫৭: দলের স্বার্থে মন্ত্রীত্ব ছাড়লেন বঙ্গবন্ধু

অজয় দাশগুপ্তঃ ৩০ মে, ১৯৫৭। আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় অফিস, সিম্পসন রোড। শেখ মুজিবুর রহমান, আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ, তাজউদ্দীন আহমদ, মনসুর আলীসহ অন্যান্য নেতা উপস্থিত। মুজিব- সকলকে উদ্দেশ্য করে- একটু আগেই আমি পূর্ব পাকিস্তানের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগপত্র মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আতাউর রহমান খানের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। সকলে করতালি। তাজউদ্দীন- মুজিব ভাই, সাংবাদিকরা হাজির হয়েছে। আ...

জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ‘প্রদর্শনীতে বঙ্গবন্ধু’ নামে একটি প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৫ নভেম্বর (রবিবার) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে সংসদের বিশেষ অধিবেশন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী এ প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন...