- অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ-একই সূত্রে গাঁথা। অধিকারবঞ্চিত বাঙালিজাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন তিনি। ভঙ্গুর অর্থনীতি থেকে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ার কাজে হাত দেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজীবন এই মানুষটি বিশ্বের শোষিত মানুষের কথা ভেবেছেন, তাদের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করেছেন। তিনি বাঙালির না বলা কথা ব...
কেউ থানায় গোপনে অস্ত্র জমা দেয় তাদের ক্ষমা করে দেওয়া হবে। কিন্তু গুন্ডাদের বরদাশত করা হবে না বলে হুঁশিয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭২ সালের ২২ ফেব্রয়ারি পত্রিকা বের না হওয়ায় ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘দৈনিক বাংলা’য় প্রকাশিত প্রতিবেদনে একথা বলা হয়। ওই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারির সভায় বঙ্গবন্ধু এ বক্তব্য দেন। তবে সবচেয়ে...
স্বাধীন দেশে প্রত্যাবর্তনের প্রায় দেড় মাসের মাথায় নিজের গ্রাম টুঙ্গিপাড়ায় যান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭২ সালের এই দিনটি সপরিবারে নিজের বাড়িতে কাটান তিনি। এর আগে এক বার্তায় পাকিস্তানে অবস্থানরত বাঙালদের দুর্দশা লাঘবে প্রভাব খাটাতে জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া এশীয় সমস্যা সমাধানের চেষ্টা না করার জন্য নিক্সনকে সতর্ক করেন বঙ্গবন্ধু। ...
- তোফায়েল আহমেদ প্রতি বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি যখন ফিরে আসে; স্মৃতির পাতায় অনেক কথা ভেসে ওঠে। আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ এই দিনটিকে গভীরভাবে স্মরণ করি। ১৯৬৯-এর ২৩ ফেব্রুয়ারির পর থেকে বঙ্গবন্ধুর একান্ত সান্নিধ্য পেয়েছি। প্রিয় নেতা তাঁর যৌবনের ১৩টি মূল্যবান বছর পাকিস্তানের কারাগারে কাটিয়েছেন। কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বসে যে নেতা প্রিয় মাতৃভূমি বাংলার ছবি হৃদয় দিয়ে এঁকেছেন, ফা...
মোঃ শফিকুল ইসলামঃলেখার শুরুতে স্মরণ করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং তাঁকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। ২০২০ সালে এই মহান নেতার জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপিত হবে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ এক বছর সময়কালকে মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য দুটি কমিটিও গঠ...
* ফেব্রুয়ারি ৮ই হবে, ১৯৪৮ সাল। করাচিতে পাকিস্তান সংবিধান সভার (কন্সটিটিউয়েন্ট এ্যাসেম্বলি) বৈঠক হচ্ছিল। সেখানে রাষ্ট্রভাষা কি হবে সেই বিষয়ও আলোচনা চলছিল। মুসলিম লীগ নেতারা উর্দুকেই রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষপাতী। পূর্ব পাকিস্তানের অধিকাংশ লীগ সদস্যেরও সেই মত। কুমিল্লার কংগ্রেস সদস্য বাবু ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত দাবি করলেন বাংলা ভাষাকেও রাষ্ট্রভাষা করা হোক। কারণ, পাকিস্তানের সংখ্যাগ...
- মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূইয়া উনিশ’শ’ একাত্তর সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলেও দেশের কয়েকটি বিহারী অধ্যুষিত এলাকা তখনও উত্তপ্ত ছিল। ওই সব স্থানে বাঙালী-বিহারী সংঘর্ষ বেঁধে যেত প্রায়ই। মুক্তিযুদ্ধের সময় বিহারীদের অমানুষিক ও বর্বর আচরণের কারণে বাঙালীরা ছিল তাদের প্রতি ক্ষুব্ধ। যতদূর মনে পড়ে সময়টা ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে হবে। আমি...
- অসীম সাহা পৃথিবীতে কোনো কোনো মানুষের জন্ম হয় ইতিহাস সৃষ্টি করার জন্য। ইতিহাস যাকে সৃষ্টি করে না, ইতিহাস যার করতলগত হয়, তেমন একজন মানুষ, প্রকৃত অর্থে যিনি মহামানব, তিনি বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ইতিহাসে কখনও বাঙালির একক জাতিরাষ্ট্র ছিল না। একাদশ শতকে যাদের হাতে ভারতের শাসনভার ছিল, তারা কেউ বাঙালি ছিলেন না। সেন ও পালবংশের রাজারাও বা...
২১ জানুয়ারি ১৯৭২। এই দিনটি ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে আছে বিশ্ব শান্তির বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর সরকারের নীতি ও অবস্থান ঘোষণার কারণে। এছাড়াও এই দিনে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গঠিত সব আঞ্চলিক পরিষদ বিলোপের ঘোষণাও আসে। এই দিনটিতে বিশ্ব শান্তি পরিষদের সদস্যরা সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন। এসময় বঙ্গবন্ধু তাদের জানান, তার সরকার বিশ্ব শান্তিতে ব...
দিল্লিতে ৮ জানুয়ারি ১৯৭২-এর সূর্যোদয় হলো প্রাত্যহিক স্বাভাবিকতায়। সময়ের ব্যবধানে লন্ডনে তখন গভীর রাত। দুই মহাদেশ ভরা অন্ধকার চিরে পিআইএর বিশেষ বিমানটি তখন লন্ডনের পথে। দিল্লির চাণক্যপুরীর ছককাটা সুপ্রশস্ত জনপথ, তাদের সদিচ্ছাবাহী নামফলকের সারি আর সুবিন্যস্ত উদ্যানরাজি কুয়াশার আবরণ থেকে ধীরে ধীরে চোখ মেলল। জনবিরল জনপথে নির্ধারিত ক্রমিকতায় অবতীর্ণ হলো সাইকেল, স্কুটার, ...
- সোহরাব হাসান ‘শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এমন ব্যক্তি, যাঁকে ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা যায় না, এমনকি কল্পনাও করা যায় না। ’ এ রকম মন্তব্যই করেছিলেন ১৯৭২ সালে তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়া বিদেশি সাংবাদিকেরা। ১৯৭২ সালে পাকিস্তানের জেলখানা থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে আসার অব্যবহিত পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কয়েকজন বিদেশি সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। এর...
- জেএন দীক্ষিত নিরাপত্তা পরিষদের মিটিং থেকে ২৪ ডিসেম্বর আমি ফিরে এলাম। ১৯৭২ সালের ৭ জানুয়ারি সকালবেলা আমাদের গোয়েন্দা সূত্র থেকে খবর পেলাম, শেখ মুজিবুর রহমানকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আপাতত জানা যাচ্ছে না এমন এক জায়গায় চলে গেছেন এবং সেখান থেকে ঢাকায় ফেরার বন্দোবস্ত করছেন। পাকিস্তানি ইন্টারন্যাশনাল কলের ওপর নজরদারি করে এবং অন্যান্য সূত্রের বরাতে ওই দিনই বিকেল ...
- স্বদেশ রায় আজ ( ১০ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিন থেকে শুরু হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জম্ম শতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা। ১৯৭২ সালে এইদিন বাংলাদেশের আকাশ ছিল মেঘলা, শীতের জড়তা একটু বেশি করেই এদিন ঢাকাসহ সারা দেশের মানুষকে আটকে ধরতে পারতো। কিন্তু ১৯৭২ সালে ঘটনা হয়েছিল তার ঠিক উল্টো। বিদেশি প্রতিটি পত্রিকার রিপোর্ট, বাংলাদেশের পত্রিকার রিপোর্ট, বিদেশি সিনিয়র সাংবাদিকদ...
- তোফায়েল আহমেদ বাঙালি জাতির জীবনে দশই জানুয়ারি চিরস্মরণীয় অনন্য ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭২- এর এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলার মানুষ বিজয়ের পরিপূর্ণতা অর্জন করে। যদিও ১৯৭১-এর ষোলোই ডিসেম্বর বাংলাদেশ হানাদার মুক্ত হয়। কিন্তু বাংলার মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি। কারণ, যার নেতৃত্বে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, তিনি তখনো ...
- সোহরাব হাসান বাঙালির ইতিহাসে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি উজ্জ্বল একটি তারিখ। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাঙালির বিজয় ঘটে। সেদিন এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, ‘এ বিজয় সেদিন পূর্ণতা পাবে, যেদিন আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমা...
- আনিসুজ্জামান এ আমাদের অশেষ সৌভাগ্য—আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন করতে পারছি। তাঁকে আমরা প্রতি বছরেই স্মরণ করব, কিন্তু সব জন্মবর্ষ তো জন্মশতবর্ষ হবে না। এবারে তাঁর জয়ন্তি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে আসছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর অর্জন স্মরণ করব, তিনি যখন বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠেননি, তখনকার কথাও মনে রাখতে চাইব। মহিরুহ তো মাটি ভেদ করেই মাথা তুলে দাঁড়ায়।শেখ মুজিবুর রহমান ...
- অজয় দাশগুপ্ত তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মুসলিম লীগকে জমিদার-নবাব-খান বাহাদুরদের কব্জা মুক্ত করে জনগণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য সচেষ্ট থাকেন। শিক্ষা জীবনের শুরুতে তিনি গোপালগঞ্জে এবং কলেজ জীবনে কলকাতায় ছাত্র সংগঠন ও আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ঢাকায় এসে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগ পুনর্গঠন করেন। একই সঙ্গে তি...
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবাষির্কী উপলক্ষে বছরব্যাপী মুজিব বর্ষ উদযাপনের জন্য আজ ক্ষণগণনার উদ্বোধন করেছেন। পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের এই দিনে দেশে ফিরে আসেন। প্রধানমন্ত্রী নগরীর পুরাতন বিমান বন্দরে আয়োজিত এক বণার্ঢ্য অনুষ্ঠানে মুহূর্তটিকে বঙ্গবন্ধু’র ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসাবে উৎ...
আগামী ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৭২ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি পাকিস্তানের কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠ থেকে মুক্তি লাভ করে তাঁর স্বপ্নের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে ফিরে আসেন। বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী...
আগামীকাল ২৩ ডিসেম্বর জননেতা আব্দুর রাজ্জাকের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১১ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, জননেতা আব্দুর রাজ্জাক লন্ডনে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। সংগ্রামমুখর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী আব্দুর রাজ্জাক তাঁর সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বাঙালির স্বাধিকার, স্বাধীনতা, শান্তি ও সামাজি...