ড. সাইফুদ্দীন চৌধুরীঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৈশোর থেকে চারিত্রিক দৃঢ়তার দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। যে কেউ তার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থ পড়লেই এ কথার সত্যাসত্য জানতে পারবেন। একজন অসামান্য ব্যক্তি হয়ে ওঠার নজির ওই সময় থেকেই তার মধ্যে দেখতে পাওয়া গেছে। কলকাতার শিক্ষাজীবন নানা কৌণিকে তার নেতৃত্বের মেধাকে ঋদ্ধ করে। বিশেষ করে হোসেন শহীদ সোহরাওয়...
কর্নেল (অব) কাজী শরীফ উদ্দিনঃ বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ আজ জেলহত্যা দিবস পালন করছে। ১৯৭৫ সালের এইদিনে তৎকালীন আওয়ামী লীগের চার শীর্ষ নেতা- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে ঢাকার কারাগারে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের পরেই তখন এ চার নেতা ছিলেন দলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শেখ মুজ...
হীরেন পন্ডিতঃ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামান এই চারটি নাম বাংলাদেশের ইতিহাসে উজ্জ্বল নক্ষত্রসম। এই চারজনকে ছাড়া স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা হয়তো সম্ভব না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ১৯৭১ এ স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য অপরিসীম ভূমিকা রেখেছেন এই চারজন। বাংলার ইতিহাসে অনেক গৌরবময় অধ্য...
৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবসে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাজশাহীতে বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতীয় চার নেতাকে স্মরণ করা হয়েছে। দিবসটিতে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবর্ক অর্পণ, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া মাহফিল ও মানবভোজ বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী মহানগর আওয়ামী...
অজয় দাশগুপ্তঃ আজকের প্রজন্ম সেভাবে ইতিহাস জানে না। এ দীনতা যতোটা তাদের, ততোটাই আমাদের লজ্জা। আমরা তখন যৌবনের শুরুতে , বাংলাদেশে ঘটে চলেছে একের পর এক হত্যাকাণ্ড। তাও রাষ্ট্রের মসনদ নিয়ে। ক্যু এর পর ক্যু। কে যে কখন গদিতে বসবে তার কোনও দিশা পাওয়া যাচ্ছিল না। ক্ষমতার পালাবদলের আগেই ঘটছিল নারকীয় সব ঘটনা। পঁচাত্তর সালের ১৫ই অগাস্ট বাংলাদেশের বাঙালির জীবনে নিকৃষ্টতম...
অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান ঃ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড কোনো সাধারণ অভ্যুত্থানের ঘটনা ছিল না। এটি ছিল জাতীয় চেতনাকে ধ্বংস করা বা দেশকে পুনরায় পিছিয়ে দেওয়ার একটি সুপরিকল্পিত চক্রান্তের অংশ। এই একই চক্রান্তের ধারাবাহিকতায় সংঘটিত হয় ৩ নভেম্বরের জেল হত্যাকাণ্ড। এসব হত্যাকাণ্ড কোন...
তোফায়েল আহমেদঃ জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারারুদ্ধ থাকাকালে বা তার অবর্তমানে জাতীয় চার নেতা- সর্বজন শ্রদ্ধেয় সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামান বারবার জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। গভীর পরিতাপের বিষয় সমগ্র বিশ্বে যে কারাগারকে মনে করা হয় সবচেয়ে নিরাপদ স্থান সেই ক...
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাতীয় ৪ নেতাকে ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই বেদনাবিধুর জেল হত্যা দিবস ও জাতীয় ৪ নেতার স্মরণে কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজন করতে যাচ্ছে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা। কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু এমপির সভাপতিত্বে আ...
অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদঃ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার পর গোটা দেশের মানুষ শোকে মুহ্যমান। পিতৃহত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই জাতিকে সাক্ষী হতে হয় আরেকটি কলঙ্কজনক ঘটনার। যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ও ন্যাক্কারজনক হিসেবে বিদিত। ১৫ আগস্টের বেদনাদায়ক অধ্যায়ের আড়াই মাস পর তৎকালীন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (বর্তমান...
এম. নজরুল ইসলাম: দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ গৌরব এই স্বাধীনতায় কিন্তু পরাজিত শক্তি থেমে থাকেনি। সদ্য স্বাধীন দেশে নানা রকম চক্রান্ত চালিয়ে যেতে থাকে। অবশেষে আসে ১৯৭৫ সাল। ১৫ই আগস্ট রাতে সেনাবাহিনীর একটি অংশের সহায়তায় কিছু ‘বিপথগামী’ সেনা সদস্যকে দিয়ে সপরিবারে হত্যা করা হয় জাতির...
জাতির পিতা এবং জাতীয় চার নেতা হত্যাকান্ডের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় স্বাধীনতা বিরোধীদের অভিযুক্ত করে বলেছেন, বাংলার মাটিতে রাজাকার, খুনী এবং তাদের দোসরদের কোন স্থান হবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাজাকার, খুনী, আলবদর এবং আল শামস এবং ’৭৫’র ১৫ আগস্ট এবং ৩রা নভেম্বরের খুনীদের যারা দোসর, খুনীদের মদদদাতা তাদের কারোও স্থান বাংলার মাটিতে ...
ড. মো. হাসিবুল আলম প্রধান শোকাবহ ১৫ আগস্টের পর ৩ নবেম্বর বাঙালী জাতির জন্য একটি শোকের দিন, বেদনার দিন। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট ঘাতকরা মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বাঙালী জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছাসহ তাঁর পরিবারের প্রায় সকল সদস্য ও অনেক নিকটাত্মীয়কে নির্মমভাবে হত্যা করে। মীর...