1282
Published on ফেব্রুয়ারি 7, 2023২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনের এক মাস আগে থেকেই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর ব্যাপক হামলা, মারধর, নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে শুরু করে বিএনপি-জামায়াত। ১৯৯৬ সাল থেকে টানা পাঁচ বছর সরকার পরিচালনার পর, নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তিন মাসে দেশজুড়ে তাণ্ডব শুরু করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সন্ত্রাসীরা। প্রতিটি এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করতে শুরু করে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা।
বাংলাদেশের ইতিহাসে শুধু আওয়ামী লীগই সরকারি দল হিসেবে স্বেচ্ছায় সুষ্ঠুভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল, যাতে দেশবাসী একটি সুন্দর নির্বান দেখতে পায়- সেই উদ্দেশ্যে। কিন্তু খালেদা জিয়ার নির্দেশে এরপরেই আওয়ামী লীগ সমর্থকদের বাড়িতে বাড়িতে অত্যাচার শুরু করে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা। নারী ও শিশুরাও রক্ষা পায়নি এই পিশাচদের হিংস্রতা থেকে।
২০০১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর জনকণ্ঠ পত্রিকার সংবাদ থেকে জানা যায়, ১ অক্টোবর নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে, ১৪ সেপ্টেম্বর জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বিএনপির ক্যাডারদের হামলায় নিহত হন স্থানীয় ছাত্রলীগ সভাপতি শাহ কামাল এবং আহত হন আরো ১০ জন। ১৫ সেপ্টেম্বর শরীয়তপুরের জাজিরায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রাণ হারান একজন আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান ব্যাপারী। বাগেরহাটে আওয়ামী লীগের সমাবেশে হামলা করে ৩০ জনকে হাসপাতালে পাঠায় বিএনপির ক্যাডাররা।
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে বিএনপি-জামায়াতের হাতে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহানের পরিবারের ওপরের হামলা চালায় জামায়াত-শিবির। মামলা তুলে না নিলে পরিবারের সদস্যদেরও হত্যা করার হুমকি দেয় তারা। ফলে নিহত পরিবারের সদস্যরাও পালিয়ে বেড়াতে বাধ্য হয়। এমনকি নিহতের বাড়িতে গিয়ে তার অশীতিপর বৃদ্ধ বাবাকেও হত্যার চেষ্টা করে জামায়াতের কর্মীরা। কিন্তু গ্রামের নারীরা সবাই ঝাড়ু নিয়ে রুখে দাঁড়ালে সন্ত্রাসীরা পিছু হঠে।
যশোর-১ আসনে ঘরে ঘরে গিয়ে নৌকায় ভোট না দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষদের শাসিয়েছে বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। এই আসনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বেনাপোলের ভোটব্যাংখ দখল নিতে বিশেষভাবে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মহড়া চালায় মৌলবাদী শক্তি। এমনকি এই আসনের দখল নিতে ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের প্রিসাইডিং অফিসার বানায় তারা। এরফলে সাবেক শিবির ক্যাডাররা নির্বাচনি কেন্দ্রে বসে ভোট নিয়ন্ত্রণের সুযোগ পায়।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় রাজাকার সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর বাহিনীর তাণ্ডবে তটস্থ হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ। ৭টি একে ৪৭সহ ২০ জন কুখ্যাত ও দণ্ডপ্রাপ্ত সন্ত্রাসী মাঠে নামায় সাকা চৌ। রাঙানিয়ার ৫০ হাজার সংখ্যালগু ভোটারকে ভোটকেন্দ্রে যেতে বাঁধা দিতে তাদের ওপর ব্যাপক নিপীড়ন চালায় সাকা চৌধুরীর ক্যাডাররা। এমনকি আওয়ামী লীগ যাতে নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে না পারে, সেজন্য আওয়ামী লীগের নির্বাচনি অফিসগুলো ভেঙে দিয়ে নেতাকর্মীদের ব্যাপক মারধর করে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা। এই মৌলবাদী চক্র গণমানুষের ভোটের ওপর আস্থা না রেখে সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে রাষ।ট্র ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করে। ২০০১ সালে তারা যা করেছিল, ২০১৪ সালেও সেই অপচেষ্টা করে হাজার হাজার মানুষকে পেট্রোল বোমায় পুড়িয়ে মেরেছে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সন্ত্রাসীরা।