1165
Published on ফেব্রুয়ারি 6, 2023সরকারে থাকার পুরো সময়জুড়ে দেশে লুটপাট, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, হত্যাযজ্ঞসহ সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বিএনপি-জামায়াত চক্র। তেমনি নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ব্যালট বাক্স ছিনতাই, কেন্দ্র দখল করে ভোটে জেতার অপপ্রয়াস চালায় তারা। এমনকি প্রকাশ্যে সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতা-নেত্রী এবং এমপি-মন্ত্রীদেরও হত্যার হুমকি এবং হামলা করে নির্মম নির্যাতন চালাতেও দিতেও দ্বিধা করেনি এই উগ্রবাদী চক্র।
২০০১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সংবাদ থেকে আরো জানা যায়, ১ অক্টোবর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সেবছর। সেই নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে প্রকাশ্য জনসভা থেকে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানকে মেরে ফেলার ঘোষণা দেয় জামায়াতের তৎকালীন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবু তাহের। সে বলে যে, ১ অক্টোবর নির্বাচনের পর শামীম ওসমানকে হত্যা করে দাফন করা হবে।
একই সসময়, চট্টগ্রামের রাউজানে বেছে বেছে আওয়ামী পরিবারগুলোর ওপর নির্যাতন চালাতে শুরু করে কুখ্যাত রাজাকার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাহিনী। গহিরার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেয় সাকা। দলবল নিয়ে সিরাজ চেয়ারম্যানকে খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়ে আওয়ামী লীগ কর্মী মৃদুল বড়ুয়াকে ডেকে সাকা চৌধুরী বলে- দুদিনের মধ্যে সিরাজ এলাকা না ছাড়লে তাকে হত্যা করা হবে। এমনকি গভীর রাতে শিলক, পদুয়া, কোদালা, রাজানগর এবং পোমরা এলাকায় আওয়ামী সমর্থকদের বাড়িতে গিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে আসে সাকার ক্যাডার বাহিনী।
এছাড়াও দেশজুড়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ক্যাম্প ভাঙচুর, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-লুটপাট, হুমকি-ধামকি, এবং সশস্ত্র মহড়া দিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ভীতি সঞ্চার করে তাদের ভোটদানে বিরত রাখার অপচেষ্টা চালায় বিএনপি-জামায়াত জোট। ২০১৪ সালেও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে পেট্টোল বোমা ছুড়ে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে এই উগ্রবাদীরা। এভাবেই সন্ত্রাসের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায় বিএনপি জামাত।