794
Published on মে 17, 2022শ. ম. রেজাউল করিমঃ
দিনটি ছিল অন্য আর দশটি দিনের চেয়ে আলাদা। ১৭ মে ১৯৮১। রবিবার। এ দিন বাংলার মাটিতে ফিরে আসছেন এমন একজন, যিনি বাঙালি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার বাতিঘর, অন্ধকারে আলোকবর্তিকা। তিনি আর কেউ নন, বঙ্গবন্ধুর রক্ত ও আদর্শের উত্তরসূরি শেখ হাসিনা।
ঢাকার কুর্মিটোলা বিমানবন্দর থেকে শের-ই-বাংলা নগরের চারপাশে অধীর আগ্রহে অপেক্ষমাণ লাখো জনতা, যাদের চোখে-মুখে অপার্থিব আনন্দের ঝিলিক। বঙ্গবন্ধুতনয়া শেখ হাসিনাকে শুধু একনজর দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা জনতার কণ্ঠে তখন মুহুর্মুহু মুহুমুর্হু স্লোগান ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’ কিংবা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’। প্রত্যাশায় উন্মুখ মানুষগুলোর সুদীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ ছয় বছরের নির্বাসন জীবন শেষে স্বদেশের মাটিতে পা রাখলেন শেখ হাসিনা। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনসের বিমানে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে ঢাকার কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তিনি। স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দল ও দেশকে বাঁচাতে সেদিন দেশে ফেরেন তিনি। সেদিন বাংলার আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত হয়েছিল নতুন দিনের আগমনিবার্তা। লাখো মানুষের ভালোবাসায় আপ্লুত বঙ্গবন্ধুকন্যা সেদিন জনতার উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আমার আর হারানোর কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেল সবাইকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে বাঙালি জাতির আর্থসামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসের কালজয়ী মহানায়ক বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যার পর সামরিক শাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট হতে থাকে বহু ত্যাগের বিনিময়ে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশ। ১৫ আগস্টের কালরাতে বিদেশে থাকায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। স্বৈরশাসকরা যখন নানা ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে লিপ্ত, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় জন্ম নেওয়া বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতা ও স্বাধিকারের চেতনা থেকে ক্রমবিচু্যত, রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলগুলো যখন জনগণের আস্হাহীনতা ও নানাবিধ সংকটে নিমজ্জিত, ঠিক তখনই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আহ্বানে দেশের রাজনীতির হাল ধরতে রাজি হন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের আগেই ১৯৮১ সালের ১৪ ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় কাউন্সিলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার, স্বৈরতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি। শুরু হয় জাতির পিতার কন্যার ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সংগ্রামী জীবন।
শেখ হাসিনার স্বদেশে ফেরার সময়টা ছিল অত্যন্ত প্রতিকূল। জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়েই তিনি সেদিন দেশে ফিরেছিলেন। সে সময় জিয়াউর রহমান এবং তার দোসররা ভয়ংকর পরিবেশ তৈরিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। এমনকি তার দেশে ফেরা ঠেকাতে ‘শেখ হাসিনার আগমন প্রতিরোধ কমিটি’ গঠিত হয়েছে, কুরুচিপূর্ণ লিফলেট পোস্টার বিতরণ করা হয়েছে। অবশ্য তাতে কোনো লাভ হয়নি। সাহসী সংকল্প আর জনগণের ভালোবাসা নিয়ে তিনি দেশে ফিরতে এতটুকু পিছপা হননি। দেশে ফিরে এক বিশাল শূন্যতায় নিজেকে আবিষ্কার করলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। তার ঘর নেই, ঘরের আপনজনও কেউ নেই। দেশে ফেরার আবেগসিক্ত প্রতিক্রিয়া বঙ্গবন্ধু কন্যা নিজের লেখা গ্রম্হে বর্ণনা করেছেন ঠিক এভাবে, ‘আমার দুর্ভাগ্য, সব হারিয়ে আমি বাংলাদেশে ফিরেছিলাম। লক্ষ মানুষের স্নেহ-আশীর্বাদে আমি সিক্ত হই প্রতিনিয়ত। কিন্তু যাদের রেখে গিয়েছিলাম দেশ ছাড়ার সময়, আমার সেই অতি পরিচিত মুখগুলি আর দেখতে পাই না। হারানোর এক অসহ্য বেদনার ভার নিয়ে আমাকে দেশে ফিরতে হয়েছিল’ (ড. আবদুল মতিন চৌধুরী : আমার স্মৃতিতে ভাস্বর যে নাম, বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম, পৃ. ৭৪)। চারদিকে তখন নানা ষড়যন্ত্র আর স্বৈরশাসনের বাধার দেওয়াল। দেশে ফেরার পর জাতির পিতার কন্যার থাকার জায়গা পর্যন্ত নেই। ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের ৬৭৭ নম্বর বাড়িটি জিয়াউর রহমান সরকারের দখলে। ১৭ মে সন্ধ্যায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের জনসভা শেষে সে বাড়িতে থাকা তো দূরের কথা, শ্রদ্ধা নিবেদন ও মিলাদ পড়ার জন্য পর্যন্ত তাকে যেতে দেওয়া হয়নি।
পরের দিনগুলো তার কেটেছিল অনেকটা উদ্বাস্ত্তর মতো। আজ এ বাসায় তো, কাল আরেক বাসায়। ১৯৮৩ সালের ২৪ মার্চের সামরিক শাসন জারির দুই দিন পর স্বাধীনতা দিবসে একমাত্র শেখ হাসিনাই সাভার স্মৃতিসৌধে গিয়ে বলেছিলেন, ‘আমি সামরিক শাসন মানি না, মানব না। বাংলাদেশে সংসদীয় ধারার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করবই করব।’ ১৯৯০ সাল পর্যন্ত টানা ৯ বছর রাজপথে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। নেতৃত্বে আর কোন্দলে বিভাজিত দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করার চ্যালেঞ্জেও সফল হয়েছেন। তার নেতৃত্বেই ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। পঞ্চম জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা নির্বাচিত হন জননেত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার ব্যবস্হা পরিবর্তন করে সংসদীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার নেতৃত্বে বিপুল ভোটে জয় লাভ করে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। ২১ বছর পর পথ হারানো বাংলাদেশ আবার সঠিক পথে চলতে শুরু করে। প্রশাসন ও অন্যান্য স্তরে তখন স্বাধীনতাবিরোধী ও আওয়ামীবিরোধীরা। সে জঞ্জাল নিয়েই সরকারের দায়িত্ব নিতে হয় তাকে। দক্ষতার সঙ্গে তখন তিনি সব সামলে নেন।
প্রধানমন্ত্রী হয়েই দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বণ্টনে ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তি করেন। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তিচুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে কয়েক দশকের চলমান চরম সংকট নিরসন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নেন। তার দূরদর্শী নেতৃত্বে ২০০৮, ২০১৪ এবং সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সরকারের টানা তিন মেয়াদে বাংলাদেশকে শেখ হাসিনা বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। তার অদম্য ও সাহসী রাষ্ট্র পরিচালনায় অর্থনৈতিক, মানব উন্নয়ন, সামাজিক সব সূচকে পাকিস্তানকে অতিক্রমসহ অনেক সূচকে আমরা প্রতিবেশী ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছি। তার মতো ভিশনারি লিডারকে পেয়েছে বলেই সব প্রতিকূলতাকে জয় করে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের সাংবিধানস্বীকৃত মৌলিক উপকরণ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্হান, শিক্ষা, চিকিৎসা নিশ্চিত হচ্ছে শেখ হাসিনার অনন্য নেতৃত্বে।
বাবা-মাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার পরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফিরে একের পর এক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সদর্পে এগিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। সততা ও আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে কণ্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করতে হয়েছে তাকে। অন্তত ১৯ বার মৃতু্যর মুখোমুখি হয়েও দমে যাননি তিনি। সব বাধাবিপত্তি আর দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র পেছনে ফেলে শেখ হাসিনা উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য গতিতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ধমনিতে যার বঙ্গবন্ধুর রক্ত, যিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পতাকাবাহী, লক্ষ্য যার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ, তার গতি রোধ করার সাধ্য কারো নেই। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে জীবনের ঝুঁকিসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়েছে তাকে। বিডিআর বিদ্রোহ এবং এই ঘটনায় সেনা সদরে উসকানি বন্ধ করা, দ্রুততম সময়ে বিচার সম্পন্ন করা, ক্ষতিগ্রস্ত সেনা পরিবারকে ফ্ল্যাট দেওয়াসহ পুনর্বাসন, বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা, আন্দোলনের নামে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি ও পেট্রোল বোমায় আগুনে পুড়িয়ে নির্বিচারে মানুষ হত্যার মাধ্যমে সাংবিধানিক নির্বাচন ব্যাহত করার নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি মোকাবিলা, শান্তিপূর্ণ কূটনৈতিক সাফল্যের মাধ্যমে স্হলসীমা ও সমুদ্রসীমায় বিজয় অর্জন, ১/১১ সরকারের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা, দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে অকল্পনীয় সাফল্য অর্জন—এর কোনোটাই সহজ ছিল না। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভয়াবহ প্রতিকূলতা দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন অদম্য সাহসী শেখ হাসিনা। বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করে তার পর্বতসম দৃঢ়তায় নিজস্ব অর্থে নির্মিত পদ্মা সেতু এখন উদ্বোধনের দ্বারপ্রান্েত। সাম্প্রতিক সময়ের করোনা মহামারি এবং বিপর্যস্ত বিশ্ব অর্থনীতির কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষায় অসাধারণভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। করোনা সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপ জাতিসংঘ, বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্হা, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম, দি ইকোনমিস্ট, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ফোর্বসসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছে। শেখ হাসিনা আজ বিশ্ব পরিমণ্ডলে হয়ে উঠেছেন দুর্গতদের কণ্ঠস্বর, অভিহিত হয়েছেন প্রাচ্যের নতুন তারকা হিসেবে, হয়ে উঠেছেন মানবতার জননী, ভূষিত হয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সৎ ও পরিশ্রমী প্রধানমন্ত্রীর অভিধায়।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের পুনর্জন্মের রূপকার আর বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষার শেষ আশ্রয়স্হল। দীর্ঘ ১৮ বছর দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে না এলে ইতিহাসের স্বপ্ন ভঙ্গ হতো। তিনি ফিরে না এলে শোষণ ও বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের যে স্বপ্ন নিয়ে ৩০ লাখ শহিদ ও ২ লাখ মা-বোন আত্মত্যাগ করেছিলেন, তা সফল হতো না। তিনি ফিরে না এলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতো না। তিনি ফিরে না এলে স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের দাম্ভিকতা চূর্ণ করা যেত না। তিনি না এলে জাতির পিতার হত্যাকারীদের বাংলার মাটিতে বিচারের মাধ্যমে এ দেশ ও জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করা সম্ভব হতো না। তিনি ফিরে না এলে বঙ্গবন্ধুর উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্ন সফল হতো না। তিনি আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে নিকষ কালো অন্ধকারের বাংলাদেশকে আলোকোজ্জ্বল উন্নয়ন অভিযাত্রায় শামিল করেছেন। তাই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল বিশ্বের কাতারে শামিল হয়েছে। উন্নয়নের বিস্ময়ের অনন্য বাংলাদেশ।
লেখক: মন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
সৌজন্যেঃ দৈনিক ইত্তেফাক