জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই আওয়ামী লীগ সৃষ্টি হয়েছে

454

Published on মার্চ 13, 2022
  • Details Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের রাজনৈতিক ল। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই এই দলের সৃষ্টি হয়েছে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ঘিরেই পরিচালিত হয়েছে আমাদের রাজনৈতিক সংগ্রাম।

শুক্রবার (১১ মার্চ) এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে 'উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে বিবৃতি দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

'সরকার জোর করে মতায় টিকে থাকতে চায়'- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি আরও বলেন, স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় মতায় এসেছে। বিএনপির মতো বন্দুকের নলের মুখে কিংবা পেছনের রজা দিয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কখনও ক্ষমতা দখল করেনি এবং করবেও না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এদেশের মানুষের স্বাধিকার, স্বাধীনতা, মুক্তি, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, অপরদিকে বিএনপির সৃষ্টি এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসনের পটভূমিতে। তাদের নেতা সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের অক্ষরে রচিত পবিত্র সংবিধানকে বিতর্কিত করে এবং ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে জাতির পিতাসহ জাতীয় চার নেতার খুনিদের সুরা প্রদান করে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ও জাতির পিতার খুনিদের স্বার্থসংরক্ষণ এবং মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজনৈতিক আদর্শ বাস্তবায়নের চক্রান্তে আবর্তিত হয়েছে বিএনপির রাজনীতি। বিএনপি শাসনামলে সংখ্যালঘু নির্যাতন এবং বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর দমন-নিপীড়নের ভয়াবহ নজির স্থাপন হয়েছিল। উগ্র-সাম্প্রায়িক অপশক্তিকে সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে বিএনপিই ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল।

তিনি বলেন, বিএনপি যখনই ক্ষমতায় গিয়েছে, তখনই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করেছে এবং পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশ চালিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ভূলুণ্ঠিত করার পাশাপাশি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বারবার হুমকির মুখে ফেলেছে। তারা সবসময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে এবং দেশপ্রেমের বহ্নিশিখায় ঐক্যবদ্ধ প্রজন্ম গঠনে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার আপসহীন নেতৃত্বেই দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসান ঘটেছে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র একমাত্র আওয়ামী লীগের হাতেই নিরাপদ। এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগ সর্বদা বদ্ধপরিকর।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত