10214
Published on সেপ্টেম্বর 9, 2018ইঞ্জিনিয়ার এমএ মান্নানঃ
বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ শব্দ দুটি একটি অপরটির পরিপূরক। দুটি শব্দকে আলাদা করে বিবেচনা করা যায় না। বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশ আর বাংলাদেশই বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের চিত্র বিশ্লেষণ করলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আর বঙ্গবন্ধু একাকার হয়ে যায়। বাঙালীর অস্তিত্ব রক্ষা আর শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু সারাজীবন আন্দোলন ও সংগ্রাম করে গেছেন। এটা বলা অত্যুক্তি হবে না যে, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হতো না। তাঁর জীবনচরিত এবং সংগ্রামী জীবন আলোচনা করলে দেখা যায় সমসাময়িক বিশ্বে নির্যাতিত নিপীড়িত সুবিধাবঞ্চিত জনমানবের জন্য যে কয়েকজন বিশ্বনন্দিত নেতা আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ঐতিহ্যে লালিত হচ্ছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু, নেতাজী সুভাষ বোস, মহাত্মা গান্ধী, লেনসন ম্যান্ডেলা অন্যতম।
বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় বাংলার নির্যাতিত নিপীড়িত শোষিত বঞ্চিত মানুষের সুখ-শান্তির জন্য নিজের চাওয়া-পাওয়া, আরাম-আয়েশ বিসর্জন দিয়ে, জেলজুলুম হাজতবাস ইত্যাদিতে নিজেকে বিলীন করে দিতে কার্পণ্য করেননি। অন্যায় অবিচার অত্যাচারের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার রয়েছেন। কোন অন্যায় অবিচার মিথ্যার কাছে নতি স্বীকার বা মাথানত করেননি এবং আপোসও করেননি। অন্যায়ের কাছে আপোস করলে জীবনে অগাধ ধনসম্পদের মালিক হতে পারতেন। ক্ষমতা এবং সহায়-সম্পত্তির প্রতি তাঁর কোন লোভ-লালসা ছিল না। তাঁর ক্ষণস্থায়ী জীবনে যে নীতি আদর্শ এবং অনুপ্রেরণার ঐতিহ্য রেখে গেছেন তা যুগ যুগ ধরে প্রজন্ম পরম্পরায় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা যায় তিনি এতই ত্যাগী মনোভাবাপন্ন ছিলেন যে, তাঁর নিজের ছেলেমেয়েদের দেখাশোনা, ভরণ-পোষণের দিকেও মনোযোগ দিতে পারেননি। সংসার কিভাবে চলবে তারও খোঁজখবর নেয়ার মতো সময় পাননি।
আমি কাছে থেকে বঙ্গবন্ধুকে দেখার এবং কথা শোনার সুযোগ পেয়েছি। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের সময় আমি একেবারে মঞ্চের পাশে ছিলাম। তিনি একজন অকুতোভয় অসম্ভব রকমের দক্ষ সাহসী সংগঠক ছিলেন। কোন নেতা-কর্মী সামনে এলে তার সঙ্গে এমনভাবে কথা বলতেন যেন কতকাল থেকে থাকে চিনেন। একজন সাধারণ কর্মীকেও গায়ে হাত দিয়ে আশ্বাসবাণী শুনানির সঙ্গে সঙ্গে আদর সোহাগ বুঝিয়ে দিতেন। এমন জাদুকরী সাংগঠনিক শক্তির কারণে তিনি পুরো জাতি এবং দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাই তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি এক মহানায়ক। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে হাতেখড়ি হলেও ১৯৬৬ সালে ৬ দফা পেশ করার সময় থেকে অদ্যাবধি ৫২ বছর ধরে আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ সেবক এবং কর্মী হিসেবে কাজ করে আসছি। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ জাতিসংঘ কর্তৃক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত হওয়ার পর তিনি বিশ্বসম্প্রদায়ের সম্পদে পরিণত হয়েছেন। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, স্বাধীনতার প্রায় ৪৭ বছর পার হলেও আমরা হিংসা বিদ্বেষ কুলষমুক্ত আদর্শবাদী চরিত্র ধারণ করতে পারিনি। হীনম্মন্যতার কারণে আমাদের কেউ কেউ এমন একজন বিশ্ব নেতাকে এখনও দলের উর্ধে জাতীয় নেতা হিসেবে গ্রহণ করতে পারেনি। এক শ্রেণীর মানুষ এখনও হিংসা বিদ্বেষ অহঙ্কার এবং পরশ্রীকাতরতার কারণে নানাভাবে কটূক্তি বিদ্রƒপাত্মকভাবে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে থাকেন, যা জাতি হিসেবে বোধ ও মর্যাদার দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ হয় না।
বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী রাজনৈতিক ধারাবাহিকতার উত্তরসূরি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাও আমাদের জন্য এক অমূল্য সম্পদ। তার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর রক্তের ধারাবাহিকতা প্রবহমান আছে। শেখ হাসিনা অত্যন্ত দূরদর্শী পরোপকারী মনোভাব নিয়ে দেশ শাসন করার চেষ্টা করছেন। জেল-জুলুমে নির্যাতিত স্বাধীনতা অর্জনকারী পিতার কন্যা দুর্নীতিপরায়ণ হতে পারেন না। তিনি পিতা-মাতা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজনহারা এক দুঃখিনী মায়ের ভূমিকায় লোভ-লালসাহীনভাবে নিজেকে দেশের সেবাব্রতে নিবেদিত করেছেন। পিতার আদর্শ-নীতির সূত্র ধরে শেখ হাসিনা লোভ-লালসার উর্ধে উঠে দেশের সেবা করে যাচ্ছেন। দেশ শাসন করতে হলে ভালমন্দ অনেক কিছু বিবেচনায় নিয়ে কাজ করতে হয়। তার অক্লান্ত পরিশ্রম সামগ্রিকভাবে বিশ্বের চতুর্থ নম্বর দরিদ্র দেশকে নি¤œ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করা জাদুর কাঠি আলাদিনের চেরাগের মতো মনে হতে পারে। প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশের অগ্রগতিকে অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া বললে খুব একটা বেশি বলা হবে না। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ এক শ’ নেতার মধ্যে ২১ নম্বরে স্বীকৃতি পাওয়া এবং বিশ্বের ক্ষমতা ও শক্তিধর মহিলাদের মধ্যে ২ নম্বরে স্থান পাওয়া একটি গর্বের বিষয়। বহু পুরস্কারে ভূষিত উদ্ভাসিত নেতৃত্বের জন্য আমরা গর্ববোধ করতে পারি। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার যে পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে তা আশা করা যায় বাস্তবে পরিণত হবে। আমরা যদি হিংসা বিভেদ ভুলে পরস্পরকে সহমর্মিতা ও ভালবাসা দিয়ে শ্রদ্ধা করতে পারি এবং শেখ হাসিনার নিরলস ও নিরঙ্কুশ পদক্ষেপগুলোকে সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান করি তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে। দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য যে কোন একজনের নেতৃত্ব দরকার। সেই জায়গায় শেখ হাসিনা অনন্য ও অদ্বিতীয়।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশে মিলিটারি শাসন তথা সামরিকতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণ ঘটান। তিনি একাত্তর-পঁচাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও খুনীদের বিচার করে আইনের শাসন এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত অনুন্নত দরিদ্র দেশটি আজ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশকে খাদ্যে উদ্বৃত্ত দেশে রূপান্তরের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গড় আয়ু, জিডিপি ইত্যাদি সর্বক্ষেত্রে বহু উন্নত দেশকেও পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্নদ্রষ্টা তিনি। এসব কারণে বিশ্ব নেতৃত্বে অনেক এগিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা। বলা যায়, আন্তর্জাতিক পরিম-লে তার গুরুত্ব এখন অপরিসীম।
বাস্তবে ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’Ñ এই নীতি ধারণ করেন শেখ হাসিনা। বিশ্বের যে ক’জন নেতাকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গুরুত্ব দেয় শেখ হাসিনা তাদের অন্যতম। ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নিউইয়র্ক টাইমস সাময়িকীর জরিপে বিশ্বের সেরা প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর নারী নেতৃত্বের ১২ জনের তালিকা করা হয়। ওই তালিকায় শেখ হাসিনার অবস্থান হলো সপ্তম। ২০১০ সালে একই পত্রিকার অনলাইন জরিপেও বিশ্বের সেরা ১০ ক্ষমতাধর নারীর মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে ছিলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন এ্যাফেয়ার্স সাময়িকীতে মানবজাতির উন্নয়ন ও কল্যাণের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মৌলিক চিন্তা, গবেষণা, উদ্ভাবন, সৃষ্টি এবং আকর্ষণমূলক কাজের জন্য বিশ্বের যে ১০০ শীর্ষ ব্যক্তির তালিকা করা হয় সেখানে শেখ হাসিনার অবস্থান ১৩তম। ২০১৫ সালে জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’ পদকে ভূষিত হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু তাই নয়, যোগ্য নেতৃত্বের জন্য শেখ হাসিনা বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক পুরস্কারও অর্জন করেন। ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ৩০টি পুরস্কার ও পদক অর্জন করেছেন তিনি। এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার অনন্য ভূমিকা রয়েছে। ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বাহিনীর সঙ্গে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে পাহাড়ে পাহাড়ী-বাঙালীর নিরাপদ আবাস গড়ে তোলেন তিনি। এই চুক্তি পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র বিদ্রোহের অবসান ঘটায়। এর আগে দীর্ঘদিন এই অঞ্চলের মানুষ নিজ দেশে পরবাসীর মতো জীবনযাপনে বাধ্য ছিল। শেখ হাসিনা প্রায় ৬৮ বছর পর ছিটমহলবাসীর বন্দী জীবনের অবসান ঘটিয়ে নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দেন। ১৯৪৭ সালের পর ২০১৬ সালে এসে স্বাধীন দেশের নাগরিকত্ব পায় ১৬২টি ছিটমহলের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ভারতের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে এই মানবতার মেলবন্ধন রচিত হয়।
শেখ হাসিনা দেশের দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য অনেক সামাজিক সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন, যা সকল মহলেই প্রশংসা পেয়েছে। যেমন- গৃহহীনদের গৃহনির্মাণ করে দেয়া ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প, অতি দরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা কেজি চাল বিতরণ, ১০ টাকা দিয়ে কৃষকদের এ্যাকাউন্ট খোলা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, গুচ্ছগ্রাম, বিনা বেতনে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা এবং বই বিতরণ, বৃত্তি-উপবৃত্তি প্রদান ইত্যাদিসহ আরও অনেক বহুমুখী প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে চার খলিফার অন্যতম নূরে আলম সিদ্দিকী সম্প্রতি বাংলাদেশে একজন মাহাথিরের সন্ধান করছিলেন। নূরে আলম সিদ্দিকীর লালিত আকাক্সক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে বাংলাদেশে একজন মাহাথির খুঁজে বের করা কঠিন বিষয়। তবে বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সার্বিক বিবেচনায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা মাহাথিরের ভূমিকা পালন করে চলেছেন। বাংলাদেশের বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা যে সকল পরিকল্পনা, পদক্ষেপ ও বিভিন্নমুখী সাহসী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এবং করছেন তাতে বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর নজরে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। যদি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করতে পারেন তাহলে ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়া এবং অদূর ভবিষ্যতে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দেয়া কঠিন বিষয় নয়।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী জনগণের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই এগিয়ে নিতে হবে। শেখ হাসিনা স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সকল কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছেন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তার প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে। তারা সব দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রীকে অনুরোধÑ দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে দেশের ৩০০ জাতীয় সংসদ আসনে নিজ দলের পক্ষে যদি দুর্নীতিমুক্ত সৎ জনপ্রিয় ব্যক্তিকে নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া হয় তবে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সহজ হবে। গত দশ বছরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যে উচ্চতার শিখরে নিয়ে গেছেন তা ধরে রাখতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ তার গৌরবের স্থানটিতে যে নামটাকে সর্বাগ্রে উচ্চারণ করে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারপরই উচ্চারিত হন শেখ হাসিনা। যিনি শ্রমে-কর্মে দেশ ও দেশের মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আজ বিশ্বে শান্তিকামী মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে মর্যাদার শীর্ষ আসনে। তাই বলতে চাই, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের উত্তরসূরি শেখ হাসিনা।
লেখক : মুক্তিযোদ্ধা , সাবেক পরিচালক বিআরটিএ