সফল নেতৃত্বের অধিকারী শেখ হাসিনা

7092

Published on মে 20, 2018
  • Details Image

ডা. প্রফেসর মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদারঃ

১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশে ফিরে আসেন বাংলার গণমানুষের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তাই প্রতিবছর এই দিনটি তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালিত হয়। এ বছরও দেশব্যাপী পালিত হয়েছে তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালোরাতে দেশবিরোধী একদল ঘাতক সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা বিদেশে থাকায় জীবনে রক্ষা পান। বেঁচে থাকলেও মোশতাক-জিয়া তাঁদের দেশে ফিরতে বাধা সৃষ্টি করে। শুধু তাই নয়, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনাকে হত্যার অপচেষ্টাও চালায় তারা। যার জন্য তাদের ৬ বছর প্রবাস জীবন কাটাতে হয় তাদের। প্রবাসে অবস্থানকালে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা।

১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে দলীয় সভানেত্রী নির্বাচিত করা হয় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয় আবদুল রাজ্জাককে। ১৯৮১ সালের ১৭ মে ঢাকায় আসার জন্য চূড়ান্ত দিন ধার্য করেন সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বাংলার লাখো লাখো মানুষ অকৃপণ প্রাণঢালা অভ্যর্থনার মধ্য দিয়ে বরণ করে নেয় তাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রীকে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাস ট্রাকযোগে মানুষ এসে ভিড় করতে থাকে ঢাকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সময় যতই বাড়তে থাকে, মানুষের ভিড়ও ততই বাড়তে থাকে। দুপুরের মধ্যে বিমানবন্দরে লাখো মানুষের ভিড় জমে যায়। তাঁরা এক নজর নেত্রীকে দেখার জন্যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে। বিকেল সাড়ে চারটায় ইন্ডিয়ান এয়ার লাইন্সের বোয়িং বিমান আকাশে দেখা যায় তখন সমস্ত বাধা, অনুরোধ, আবেদন-নিবেদন অগ্রাহ্য করে হাজার হাজার মানুষ বিমান বন্দরের ভিতরে ঢুকে যায়। তবু অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই বিমানটি অবতরণ করে। বিমানটি অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে চারদিক থেকে অগণিত মানুষ দৌড়ে গিয়ে বিমানটি ঘিরে ফেলে। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। সে দৃশ্য সমসাময়িক ইতিহাসের নজিরবিহীন। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মী এবং পুলিশের এ দৃশ্য দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।

বিমানবন্দর থেকে মানিক মিয়া এভিনিউ পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে শুধু মানুষ আর মানুষ। ঐ দিন স্মরণ করিয়ে দেয় নয় বছর আগের ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারির কথা। সেদিন বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাধীন বাংলার মাটিতে আসেন।

সন্ধ্যে সাড়ে সাতটায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মানিক মিয়া এভিনিউর সংবর্ধনা সভা মঞ্চে আসেন। নেত্রীকে দেখা মাত্র জনতার কণ্ঠে স্লোগান উঠে ‘মুজিব হত্যার বদলা নেবো, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’। সংবর্ধনা সভায় ভাষণ দেয়ার সময় নেত্রী বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কান্না ভেজা কণ্ঠে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য জীবন উৎসর্গ করে দেব। তিনি আরো বলেন, আজকের সভায় আমি লাখো চেনা মুখ দেখছি। শুধু নেই প্রিয় পিতা বঙ্গবন্ধু, মা আর ভাইবোন আরও অনেক প্রিয়জন। ভাই শেখ রাসেল আর কোন দিন ফিরে আসবে না। আপা বলে আর ডাকবে না, সব হারিয়ে আজ আপনারাই আমার আপনজন। স্বামী, সংসার, সন্তান রেখে আমি আপনাদের কাছে চলে এসেছি। তিনি আরো বলেন, বাংলার মানুষের পাশে থেকে মুক্তির সংগ্রামে অংশ নেয়ার জন্য এসেছি। আমি আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসেবে, আপনাদের মেয়ে হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন কর্মী হিসেবে আপনাদের পাশে থাকতে চাই।

১৮ মে সকালে প্রথমে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। সেখানে নেতা-কর্মীদের সামনে বক্তব্য রাখেন। তারপর তিনি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার যান এবং সেখান থেকে জাতীয় তিন নেতার মাজার জিয়ারত করতে যান। বেলা এগারটার আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা মিরপুর বুদ্ধিজীবী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং সেখানে সমবেত বিশাল জনতার সামনে ভাষণ দেন। বেলা চারটায় নেত্রী সাভার জাতীয় স্মৃতি সৌধ-এ যান এবং সেখানে উপস্থিত জনতার সামনে বক্তব্য রাখেন। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ১৯ মে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করতে যান। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সেখানে পৌঁছলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী পিতার মাজারের কাছে যেতেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর সরকার বঙ্গবন্ধুর টুঙ্গিপাড়ার বাড়ি দীর্ঘদিন সীল করে রেখেছিল। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী যাওয়ার পর তা খুলে দেয়া হয়। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বাড়ির দোতলায় দাঁড়িয়ে উপস্থিত জনতার সামনে ভাষণ দেন। তিনি সেখানে জনতার উদ্দেশ্যে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বাংলাদেশে আমার কেউ নেই। সব হারিয়ে আজ আমি আপনাদের কাছে এসেছি। আপনারা আমার সব। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বস্তবায়নে আমি সব দেব। বরিশাল, পটুয়াখালী, ফরিদপুর, খুলনা, বাগেরহাটসহ বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার মানুষ আসে টুঙ্গিপাড়ায় তাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রীকে দেখার জন্য।

২১ মে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে গোপালগঞ্জে সংবর্ধনা দেয়া হয়। ঐ সংবর্ধনা সভা ছিল স্মরণকালের সর্ববৃহৎ এক গণসংবর্ধনা। সভায় লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটে। গোপালগঞ্জের ঈদগাহ মাঠের বিশাল জনসমুদ্রে নেত্রী বলেন, আমার পিতা বঙ্গবন্ধু বাংলার দুঃখী মানুষের মুক্তির জন্য জীবন দিয়েছেন। একটি শোষণহীন সমাজ ব্যবস্থা কায়েমের জন্য তিনি দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচী বাস্তবায়নের মাধ্যমে এদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে আমি জীবন দিতে প্রস্তুত। নেত্রী উত্তাল জনসমুদ্রের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, কেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও চার নেতাকে হত্যা করা হলো? তিনি বলেন, আমি আপনাদের কাছে বিচার চাই। আপনারা এর বিচার করবেন। এ কথা বলেই নেত্রী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। তিনি পরে আর বক্তব্য দিতে পারেননি। মাত্র ১৫ মিনিট সময় কথা বলেই বক্তব্য শেষ করতে হয় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে। গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুল ইসলাম রইসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, আওর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমদ, শেখ সেলিম এম.পি। সভা মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন, আব্দুস সামাদ আজাদ, মহিউদ্দিন আহমদ, ফনি ভূষণ মজুমদার, ড. কামাল হোসেন, জোহরা তাজউদ্দীন, বেগম সাজেদা চৌধুরী, আইভি রহমান, আমির হোসেন আমু, এসএম ইউসুফ, মোঃ নসিম, খালেদ খুররম, শাহ মোঃ আবু জাফর, ইলিয়াস চৌধুরী প্রমুখ।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যখন ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর ধানম-ির বাড়িতে জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করে তখন তাদের প্রধান ও একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করা এবং ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশকে একটি মিনি পাকিস্তানে রূপান্তর করা। ঘাতকরা মনে করেছিল, বঙ্গবন্ধুর তিন ছেলে ভবিষ্যতে তাঁর অবর্তমানে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসতে পারেন, সুতরাং তাঁদেরও হত্যা করে এমনকি ঘাতকরা শিশু রাসেলকেও হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মণিসহ অন্যান্য আত্মীয়ের বেলায়ও একই কথা সত্য। একই উদ্দেশ্যে ঘাতকরা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৩ নবেম্বর হত্যা করে জাতীয় চার নেতাকে। কিন্তু ঘাতকদের সে উদ্দেশ্য সফল হতে দেননি মুজিব কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহণ করে, পিতার কর্মসূচী বাস্তবায়নে অগ্রসর হন।

বঙ্গবন্ধুর সম্পাদিত সিমলা চুক্তি অনুযায়ী সীমান্ত চুক্তি এবং সিটমহল সীমানার স্থায়ী নিষ্পত্তি বাস্তবায়ন ও সমুদ্রসীমা নির্ধারণে আন্তর্জাতিক আদালত কর্তৃক রায়ের স্থায়ী সমাধান। বিশ্ব জলবায়ু দূষণের জন্য ধনী দেশসমূহের নিকট থেকে ক্ষতি-পূরণ আদায়, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করা, ফ্লাইওভার ব্রিজ নির্মাণ, অসংখ্য ব্রিজ ও সড়ক নির্মাণের মাধ্যামে দুর্গম অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিদ্যুত চাহিদা পূরণে এই খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য। এই সরকারের আমলে স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, পরিবার পরিকল্পনায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ একসঙ্গে ছয় হাজারেরও বেশি ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে ইউনিয়ন এবং কমিউনিটি ক্লিনিক চালুর মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসাসেবা নিশ্চত করা, কৃষি, শিক্ষাসহ প্রায় সকল খাতে সাফল্য ও প্রবৃদ্ধি অর্জন। এই সরকারের সময়কালে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি, মাতৃ মৃত্যু ও শিশু মৃত্যুও হার কমা, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, বিনামূল্যে বই বিতরণ, শ্রম বাজারে প্রতিবন্ধকতা দূর করাসহ দেশের অগ্রগতি, অব্যাহত বিশাল বাজেটের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে এসেছিলেন আওয়ামী লীগের হাল ধরতে। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে দুঃখী মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি, দারিদ্র্যমোচন, দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্খা পূরণে, প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর শ্রম, মেধা, প্রজ্ঞা, কৌশল ও সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের মডেল হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যার অসামান্য কৃর্তী হলো মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট - ১ নির্মাণ ও সফল উৎক্ষেপণ। তাই আজ মুজিব-কন্যা শেখ হাসিনা জাতীয় নেতা থেকে বিশ্বনেতার মর্যাদার আসন লাভ করেছেন।

শেখ হাসিনা স্বদেশে ফিরে এসে প্রায় ৪০ বছর আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে দেশ ও জাতিকে সমৃদ্ধ করেছেন। এ সময় তিনি তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকার পরিচালনা করেন। তাঁর নেতৃত্বেই দেশ আজ সার্বিক উন্নয়ন হচ্ছে। যে দেশকে এক সময় যারা তামাশা করে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছেন, তারাই আজ বাংলাদেশকে উন্নয়নের মডেল, এশিয়ার টাইগার হিসেবে আখ্যায়িত করে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, তারাই আজ শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন পদক ও সম্মান সূচক ডিগ্রী দিয়ে প্রশংসা করে যাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনাকে ৩০টি পদক ও সম্মানসূচক ডিগ্রী দিয়েছেন। সাম্প্রতিক বিশ্বের শক্তিধর দেশ আমেরিকার সাময়িকি ২০১৮ সালের বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী শত ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করে। যার মধ্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাও আছেন। সুদীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে দক্ষ নেতৃত্ব দিয়ে জাতীয় নেত্রী থেকে আন্তর্জাতিক নেত্রীতে পরিণত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তিনি সুনাম সুখ্যাতি অর্জন করলেও দেশে তাঁর বিরুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন।

আজকের সফল নেতৃত্বের অধিকারী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে অনেকই অন্যায়ভাবে সমালোচনা করে। এই গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুরও সমালোচনা করেছেন। সমালোচকদের এবং ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইটা সেকালে যেমন দৃঢ়তার সঙ্গে একাই করতে হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে একালে তেমনি শেখ হাসিনাকেই সব ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। গভীর দেশপ্রেম আর মানুষের জন্য ভালবাসায় যিনি দিনে ১৮ ঘণ্টারও বেশি কাজে ডুবে থাকেন। সবার ব্যর্থতার দায় তার কাঁধে চাপালেও, তার একক সাফল্যের কীর্তিটুকুও তাকে দেয়া হয়নি। সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসতে যেমন ভুল করেনি তেমনি শেখ হাসিনাকেও চিনতে ভুল করেনি। তাই বাংলার জনপদে মানুষের নেত্রী শেখ হাসিনার জন্য আজ সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটতে দেখা যায়। তাই আজ বাংলার মানুষ বলে ‘ব্রিটিশের আইন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও শেখ হাসিনার উন্নয়ন’ এ সবই প্রবাদতুল্য।

লেখক: প্রো-ভাইস চ্যান্সলর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়

সৌজন্যেঃ দৈনিক জনকন্ঠ

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত