মামুন আল মাহতাবঃ উইকিপিডিয়া বলছে ৬৬’র ছয় দফা ছিল বাঙালির ‘ম্যাগনা কার্টা’ – মুক্তির সনদ। কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে শুধু পররাষ্ট্র আর প্রতিরক্ষার দায়িত্ব রেখে দু’টি প্রায়-স্বাধীন অঞ্চলের সমন্বয়ে পাকিস্তান পুনর্গঠনের প্রস্তাব ছিল ছয় দফায়। দু’টি অঞ্চলের মধ্যে অবাধে বিনিময়যোগ্য কিন্তু পৃথক মুদ্রার প্রচলন, আলাদা সেনাবাহিনী গঠন, বৈদেশিক বাণি...
অজয় দাশগুপ্তঃ ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান স্বায়ত্তশাসনের ছয় দফা কর্মসূচি উপস্থাপন করেন। এ কর্মসূচিতে ছিল- পাকিস্তান ফেডারেশনে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার, সার্বজনীন ভোটাধিকার ব্যবস্থা প্রবর্তন; ফেডারেল সরকারের হাতে থাকবে প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; পূর্ব ও পাশ্চিম পাকিস্তানে পৃথক কিন্তু সহজে বিনিময়...
তৌহিদ রেজা নুরঃ ১৯৬৬ সাল। সামরিক রাষ্ট্রপতি ইস্কান্দার মির্জাকে হটিয়ে আরেক সামরিক রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান তাঁর ‘উন্নয়নের দশক’-এর অষ্টম বছরে সবে পদার্পন করেছেন। এর কয়েকমাস আগে ১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বরে ‘জম্মু-কাশ্মীরে আধিপত্য কার’ প্রশ্নে ভারত আর পাকিস্তান যুদ্ধে জড়িয়ে গেলে বিশ্ব মোড়লেরা আঞ্চলিক (এবং বৈশ্বিক) নিরাপত্তার স্বার্থে যুদ্ধরত দুই পড়শি দেশের ম...
শেরে বাংলা একে ফজলুল হক ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন, লক্ষ্য পাকিস্তান রাষ্ট্র কায়েম। ১৯৩৭ সালে পরাধীন ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ কে ফজলুল হক ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। নিখিল ভারত মুসলিম লীগের লাহোর অধিবেশনে তাকে দিয়েই মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ পাকিস্তান প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। শেরে বাংলা খেতাবটি ওই সম্মেলনেই তাকে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য...
আ.স.ম আব্দুর রহিম পাকন: বাঙালি জাতি চির দুর্বার, চির দুর্দম। যুগে যুগে তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছে। শক্তিবলে অসম হলেও তারা ব্রিটিশদের সামনেও কভু মাথা নত করেনি। পাকিস্তানী শোষকগোষ্ঠীর দুঃশাসন, অত্যাচারে জর্জরিত বাঙালি দৃঢ়কন্ঠে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানিয়েছে। ৫২’র হার না মানা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছে নিজেদের মাতৃভাষার অধিকার । ধীরে ধীরে দৃপ্ত ...