৭ নভেম্বর : মুক্তিযোদ্ধা হত্যা এবং ইতিহাস বিকৃতির সংক্ষিপ্ত পাঠ

আলীম হায়দার: নভেম্বরের সন্ধ্যা। শীত শীত চারপাশ। হালকা কুয়াশা। আলো-আঁধারের খেলা। সেনানিবাসের ভেতরে শুরু হয় গোপন ফিসফাস। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় হয়ে ওঠে সেনাসদস্যদের একটি হঠকারী চক্র, বিশেষ করে জিয়াউর রহমানের অনুগত ও পাকিস্তানফেরত পুনর্বাসিত সেনাদের একটি বড় অংশ। রাত ১২টার পর, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে বর্বরভাবে হত্যার অন্যতম হোতা মেজর মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে শুরু হয়...

৭ নভেম্বর: একই দিনের বহু নাম

বিভুরঞ্জন সরকারঃ ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর বাংলাদেশে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল, যা পরবর্তী সময়ে দেশের রাজনীতিতে বিভক্তির ধারাকে পোক্ত করেছিল। ৭ নভেম্বরের ঘটনার পরিকল্পনাকারী ছিলেন সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যাওয়া কর্নেল আবু তাহের এবং তার রাজনৈতিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদ এবং ঘটনার পুরো সুফল নিজের ঝুলিতে ভরতে সক্ষম হয়েছিলেন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। ওইদিন হত্যা কর...

৭ নভেম্বর: মুক্তিযোদ্ধা হত্যা ও রাজাকারের ক্ষমতায়ন শুরু করেন জিয়া

তন্ময় আহমেদ: ৭ নভেম্বর ১৯৭৫। বাংলাদেশের ইতিহাসের আরও একটি কালো অধ্যায়। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা, ৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহচর ও জাতীয় চার নেতাকে জেলের মধ্যে বর্বরভাবে হত্যার পরেও থামেনি স্বাধীনতাবিরোধীদের রক্তপিপাসা। নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে ৭ নভেম্বর সেনানিবাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নির্বিচারে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাদের। এ...

৭ নভেম্বর: সেনানিবাসে বিশৃঙ্খলা ও মুক্তিযোদ্ধা সেনা হত্যার ষড়যন্ত্রময় অধ্যায়

১৯৭৫ সালের ৬ নভেম্বর রাত ১২টার পর থেকেই বিশৃঙ্খলা শুরু হয় ঢাকা সেনানিবাসে। বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্য কুশীলব ও সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠে কর্নেল তাহেরের বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার সদস্যরা। বঙ্গবন্ধুর খুনি মেজর মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে হত্যা ও লুটপাট শুরু করে পাকিস্তানফেরত সৈন্যরা। বাঙালি জাতির ইতিহাসে এটি একটি ন্যাক্কারজনক অধ্যায়। ১৫ আগস্টের বর্বরতা...

রক্তাক্ত নভেম্বর: কিছু ঐতিহাসিক বাস্তবতা

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে পরিবারসহ হত্যা এবং ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রের গভীরতা বিশ্লেষণ এবং কুশীলবদের পরিচয় প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বুদ্ধিজীবীরা। পাশাপাশি ৭৫ পরবর্তী সময়ে মুক্তিযোদ্ধা এবং সেনা সদস্যদের হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র যারা রচনা করেছিল তাদের মুখোশ উন্মোচনে জাস্টিস কমিশন গঠনের প্রস্তাব করা ...

কমিটিতে ত্যাগী কর্মীদের মুল্যায়ন করার নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি

নিজস্ব বলয় শক্তিশালী করতে নিজের লোক দিয়ে কমিটি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন ত্যাগী কর্মীদের দুরে সরিয়ে না রেখে কাছে টেনে নিতে হবে,তাদের রাজনীতির পথ মসৃন করতে হবে কারন তারাই দু:সময়ে দলের পাশে থাকবে। ওবায়দুল কাদের আজ সকালে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন। তিনি তাঁর সরকারি ব...

মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যার কলঙ্কময় দিন

সরদার মাহমুদ হাসান রুবেলঃ ৭ নভেম্বর বাংলাদেশে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যার কলঙ্কিত ষড়যন্ত্রের দিন, বিশ্বাসঘাতকতার দিন, পাকিস্তানি ভাবাদর্শের রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টার দিন। এদিনের ঘটনা জাতীয় রাজনীতিতে যে ওলটপালট করে দেয় তার রেশ থেকে আজও মুক্ত হতে পারেনি বাংলাদেশের রাজনীতি। দেশী এবং বিদেশী শক্তি যারা স্বাধীনতাবিরোধীদের সাহায্য করেছে, তারা যৌথভাবে ষড়যন্ত্র করে...

মুক্তিযোদ্ধা ও সেনা সদস্য হত্যাকারীদের চিহ্নিত করা হোক

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে পরিবারসহ হত্যা এবং ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রের গভীরতা বিশ্লেষণ এবং কুশীলবদের পরিচয় প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বুদ্ধিজীবীরা। পাশাপাশি ৭৫ পরবর্তী সময়ে মুক্তিযোদ্ধা এবং সেনা সদস্যদের হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র যারা রচনা করেছিল তাদের  মুখোশ উন্মোচনে জাস্টিস কমিশন গঠনের প্রস্তা...

"রক্তাক্ত নভেম্বর: কিছু ঐতিহাসিক বাস্তবতা" শীর্ষক বিশেষ ওয়েবিনার ৬ নভেম্বর

৭ নভেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত কলংকময় দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে শুরু হয় মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্যদের হত্যা করার ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান ও তার সহযোগীরা দেশের সুর্যসন্তানদের নাম মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এই দিনটিকে স্মরণ করতে এবং এর সঠিক ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করতে একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করতে যাচ্ছে বা...

৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস

তথাকথিত সিপাহী বিপ্লবের নামে ১৯৭৫ সালের এদিন থেকে শুরু হয় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যদের হত্যার ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। ১৯৭৫ সালের পনের আগস্টের কালরাত্রিতে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ঘাতকরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর একই প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি জেলখানার অভ্যন্তরে ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এর মাত্র চারদিন পরই সাতই নভেম্বর থেকে শুরু হয় মু...

৭ই নভেম্বরকে 'বিপ্লব ও সংহতি দিবস' বলাটা কতটা যুক্তিসংগত?

ক্ষমতা দখলের জন্য সেনাবাহিনীর উচ্চাভিলাষী ও পাকিস্তান ফেরত এবং জাসদ সমর্থিত কিছু অফিসারদের পারস্পরিক হানাহানি এবং নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডকে বিপ্লব বলা চরম মূর্খতা ছাড়া আর কিছু নয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের অবমুক্ত করা ওই সময়ের কিছু গোপন দলিল ও নথিপত্রের দেখা যায় যে ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিস ইউজিন বোস্টার ‘৭ই নভেম্বররের সিপাহী বিদ্রোহ&rsq...

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানের দায়

রাজেশ পাল: ১৫ই আগস্ট, ১৯৭৫। বাঙালি জাতির জীবনে কলঙ্কজনক একটি অধ্যায়। এদিন দেশী বিদেশী অপশক্তির প্রত্যক্ষ মদদে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, এদেশের স্বাধিকার আন্দোলনের রূপকার , বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রামের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। শুরু হয় এক নদী রক্তের বিনিময়ে কেনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধুলিস্যাত করে, পাকিস্তানবাদ প্রচ...

কথিত বিপ্লবের নেতা কে, আদর্শ কী? - মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.)

ক্যালেন্ডারের পাতায় আবার আরেকটি ৭ নভেম্বর উপস্থিত। প্রতিবছর এই দিনটি এলেই পত্রিকায় লিখতে হয় এবং তা লেখার জন্য যথেষ্ট সংগত কারণও রয়েছে। তা এই জন্য যে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির জন্য যে কলঙ্ক রচিত হয়েছিল তার অভিঘাত থেকে এখনো আমরা মুক্ত হতে পারিনি। শুধু মুক্ত হতে পারিনি তাই নয়, যারা ওই কলঙ্কের পরিণতি থেকে রাজনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছে, তারা গোয়েবলসে...

৭ নভেম্বর, প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির ষড়যন্ত্র - ফনিন্দ্র সরকার

  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সংগ্রামী জীবনের মহান সাফল্য স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। রক্তে রঞ্জিত ইতিহাসের বাঁক পেরিয়ে যে সাফল্য আমরা পেয়েছি তা সত্যি বিস্ময়কর ও অভাবনীয়। আমাদের মহান নেতা শেখ মুজিবুর রহমান জন্মেছিলেন বলেই আত্মমর্যাদাশীল একটি জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছি। আমাদের বীরগাথা রক্তাক্ত ইতিহাস বিশ্ব সমাজে অবিস্মরণীয়। আধুনিক, মানবিক ও প্রগতিশীল...