জাফর ওয়াজেদঃ বাঙালি জাতির জীবনে নতুন বাঁক নেওয়ার মাস মার্চ, ১৯৭১। বাঙালির নিজ ঘরে ফেরার প্রস্তুতিপর্ব। সহস্র বছরের সাধনা শেষে একটি জাতির নিজস্ব সত্তার দিকে মুখ ফেরানোর এক উজ্জ্বল সময়। সমগ্র বাংলাদেশ তখন শেখ মুজিবের অঙ্গুলি হেলনে পরিচালিত হয়ে আসছে। সে এক যুগান্তকারী ক্ষণ ও সময়। অন্যরকম এক উপলব্ধিতে দেদীপ্যমান পুরো জাতি। এ এক অসহযোগ আন্দোলন, গান্ধীর অহিংস আন্দোলনকে...
'ধন্য সেই পুরুষ, যাঁর নামের ওপর পাখা মেলে দেয়/জ্যোৎস্নার সারস/ধন্য সেই পুরুষ, যাঁর নামের ওপর পতাকার মতো/দুলতে থাকে স্বাধীনতা/ধন্য সেই পুরুষ, যাঁর নামের ওপর ঝরে/মুক্তিযোদ্ধাদের জয়ধ্বনি'- চিরধন্য সেই শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজ জন্মশতবার্ষিকী। আজ মঙ্গলবার নিয়ে এসেছে বহু প্রতীক্ষিত মুজিববর্ষের মঙ্গলবারতা, দেশজুড়ে ...
বাঙালির স্বাধীন ভূমি মানেই বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা। আর সে কারণেই তিনি আমাদের জাতির পিতা। আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত এই নেতা ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এই দিনটি জাতীয়...
চিঠি-১ : বাবা লুৎফর রহমানকেঢাকা জেল১২.১১.৫৮আব্বাআমার ভক্তিপূর্ণ ছালাম গ্রহণ করবেন ও মাকে দিবেন। মা এবার খুব কষ্ট পেয়েছিল, কারণ এবার তাঁর সামনেই আমাকে গ্রেপ্তার করেছিল। দোয়া করবেন মিথ্যা মামলায় আমার কিছুই করতে পারবে না। আমাকে ডাকাতি মামলার আসামীও একবার করেছিল। আল্লা আছে, সত্যের জয় হবেই। আপনি জানেন বাসায় কিছুই নাই। দয়া করে ছেলেমেয়েদের দিকে খেয়াল রাখবে...
১৯৭২ সালের জানুয়ারি, ঢাকা। ভারত সরকার কর্তৃক প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডকুমেন্টস’-এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্টের টেলিভিশন সাক্ষাৎকারের অনুলিখন সন্নিবেশিত হয়। পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর ঢাকায় এই সাক্ষাৎকার গৃহীত হয়। ১৯৭২ সালের ১৮ জানুয়ারি নিউইয়র্ক টেলিভিশনের ‘ডেভিড ফ্রস্ট প্রোগ্রাম ইন ব...
সেই মাহেন্দ্রক্ষণ এলো। কতদিনের প্রতীক্ষা, ক্ষণগণনা শেষ হলো। বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফলÑ/পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক...। অতঃপর মহা পুণ্যের পূর্ণতার দিন এসেছে।আজ ১৭ মার্চ মঙ্গলবার বাঙালিত্বের মহান সাধক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের প্রথম শুভক্ষণ। শততম জন্মবর্ষ। মৃত্যুঞ্জয়ী মহানায়ককে স্মরণ করার এর চেয়ে বড় উপলক্ষ বাঙালীর জীবনে...
লন্ডনে ফেব্রুয়ারির এক বৃষ্টিস্নাত শীতের সকাল। ইতিহাসের কিছু না জানা কথা জানার ইচ্ছায়। যে ইতিহাসের আদ্যোপান্তে জড়িয়ে আছেন সর্বকালে শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর এ ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর পাশে অপর চরিত্রের নাম শশাঙ্ক শেখর ব্যানার্জি! যিনি এই ৮৭ বছর বয়সেও পুঁথিপাঠের মতো করে বলে দিতে পারেন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার ১ যুগের সখ্যতার কথা। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কাট...
সেদিন ছিল ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ, মঙ্গলবার। রাত ৮টার দিকে মা সায়েরা খাতুনের কোল আলোকিত করে আসেন ইতিহাসের মহানায়ক; বাঙালি ও বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজ বাংলার সেই অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জন্মশতবার্ষিকী’।তদানীন্তন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেয়া শ...
মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদঃ রাষ্ট্র হিসেবে যেমন বাংলাদেশ, ব্যক্তি হিসেবে তেমন আমি একটি বিশেষ সময় পার করছি। 'বিশেষ সময়' এ কারণে নয় যে, তৃণমূলে রাজনীতি শুরু করে এখন আমি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক প্রধান। বরং আমার কাছে বর্তমান সময়ের বিশেষত্ব এই- আমি যখন রাষ্ট্রপ্রধান, তখনই পালিত হচ্ছে 'মুজিববর্ষ'। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। আগেও বি...
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আকাশে এক মনোজ্ঞ উড্ডয়ন শৈলী প্রদর্শনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ১০০ সালাম প্রদর্শন করেছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। মঙ্গলবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটি থেকে ১০টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত টুঙ্গিপাড়ার আকাশে এ প্রদর্শনী করে বিমানবাহিনী।বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামানের দিকনির্দেশনায় বিমানবাহিনীর বিভিন্ন উড়ো...
আজ বেঁচে থাকলে স্বাধীনতার নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বয়স হতো ১০০!ক্রিকেট, ফুটবল, হকিতে কত শত সেঞ্চুরির গল্প ও মহাকাব্য ছাপা হয় খেলার পাতায়। একজন বঙ্গবন্ধু শত বছরে নয়, হাজার বছরে একজন আসেন। আমাদের সৌভাগ্য, বঙ্গবন্ধু এই বাংলার মাটিতে জন্ম নিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন বলেই আজ বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্র একটি মূল্যবান পতাকা পেয়েছে। আর এই পতাকা নিয়ে তামিম-জামাল-জিমি-সান...
তাঁর জাদুকরি সম্মোহনী শক্তিই বাঙালি জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিল গুলির সামনে বুক পেতে দিতে। তিনি বরাভয় দিয়েছিলেন বলেই ভয় পায়নি জাতি। ইতিহাসের সেই বরপুত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আমাদের জাতির জনক। আজো তিনি আমাদের প্রেরণার উৎস। আমাদের সত্ত্বায় মিশে আছেন তিনি। আজ ১৭ মার্চ এই মহান বাঙালির জন্মদিন। বাঙালির আত্মপরিচয়ের প্রতিক তিনি। একজন মানুষ যে দেশ ও জাতির সমার্থক ...
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও বঙ্গবন্ধু
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন
আগামী ১৭ মার্চ ২০২০ মঙ্গলবার বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস। ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ তদানীন্তন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায় পিতা শেখ লুৎফর রহমান এবং মাতা সায়েরা খাতুনের ঘর আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেন শেখ মুজিব নামের এ...
- সুলতান মাহমুদ রানা পরাধীন, অবহেলিত ও নিষ্পেষিত এই জাতিকে শতাব্দীর মহানায়ক স্বাধীনতার স্বাদ দিয়েছিলেন। বাঙালির হাজার বছরের স্বাধীনতার স্বপ্নকে যিনি বাস্তবায়িত করেছিলেন, যিনি এই স্বাধীনতার স্বাদ বাঙালিদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন, তিনি মহাকালের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি সাধারণ মানুষ নন। তিনি এক মহানায়ক। মহানায়কের জন্ম একটি জাতিতে বারবা...
তোফায়েল আহমেদঃ ১৯৭১-এর ১৮ মার্চ দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। লাগাতার চলা অসহযোগ আন্দোলনের সপ্তদশ দিবস। স্বাধিকারকামী অসহযোগ আন্দোলনের ধারাক্রমে প্রবীণ-নবীন নির্বিশেষে সমাজের সর্বস্তরের শ্রেণি-পেশার মানুষের ঢল নেমেছে বঙ্গবন্ধুর ধানমণ্ডির ৩২নং বাসভবনে। বাসভবনটি যেন বাংলার মুক্তিকামী মানুষের তীর্থকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ভোর থেকে গভীর রাত অবধি শত শত মিছিলের লাখ লাখ লোকের উপস্...
১৭ মার্চ ১৯৭১। দিনটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫২তম জন্মদিন ছিল। এদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্তরের মানুষ মিছিল করে বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাসভবনে গিয়ে তাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে শুভেচ্ছা জানায়। বঙ্গবন্ধু ঘোষিত বাংলার অহিংস-অসহযোগ আন্দোলনের ষোড়শ দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সকাল ১০টায় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সাথে দ্বিতীয় দফা বৈঠকে...
সুভাষ সিংহ রায়ঃ ‘আমি আমার জন্মদিনের উৎসব পালন করি না। এই দুঃখিনী বাংলায় আমার জন্মদিনইবা কি আর মৃত্যুদিনইবা কি? আপনারা বাংলাদেশের অবস্থা জানেন। এদেশের জনগণের কাছে জন্মের আজ নেই কোন মহিমা। যখনই কারও ইচ্ছা হলো আমাদের প্রাণ দিতে হয়। বাংলাদেশের জনগণের জীবনের কোন নিরাপত্তাই তারা রাখেনি। জনগণ আজ মৃতপ্রায়। আমার আবার জন্মদিন কি? আমার জীবন নিবেদিত আমার জনগণে...